মুন্নি আক্তার,নগর প্রতিবেদকঃ ‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ বুধবার(২২ অক্টোবর) ৯ম বারের মতো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উযদাপিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ চট্টগ্রামের সভাপতি ও বিশিষ্ট কলামিস্ট মুহাম্মদ মুসা খান।

দিবসটি পালন উপলক্ষে চট্টগ্রামে বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট, পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ-চট্টগ্রাম ও ক্যাব চট্টগ্রামের উ্দ্যোগে নগরীর জামাল খান প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে মানববন্ধন ও গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়।

সভা সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ও দৈনিক পূর্বদেশের বার্তা প্রধান আবু মোশারফ রাসেল।

বক্তব্য রাখেন- ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও ক্যাব চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি এম নাসিরুল হক, ক্যাব বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, রাজনীতিবিদ মিটুল দাস গুপ্ত, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী রোটারিয়ান এস এম আজিজ, অপকার নির্বাহেী পরিচালক মোঃ আলমগীর, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক লায়লা ইয়াসমিন, অপরাজেয় বাংলাদেশ এর বিভাগীয় সমন্বয়কারী জিনাত আরা বেগম, পার্কের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম মান্না, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ চেয়ারম্যান, সাংবাদিক কমল চক্রবর্তী, ক্যাব সীতাকুন্ডের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন অনিক, এডাব চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোঃ ফোরকান, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, ক্যাব পাচলাইশের মাজেদ ভাষানী, যুব ক্যাব কর্নফুলী উপজেলা সভাপতি আরফিন সুমন, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক আমজাদুল হক আয়াজ, সদস্য মোঃ সালমান রশীদ, সমাজকর্মী, মুজিব উল্লাহ তুষার, অধিকার চট্টগ্রামের সমন্বয়ক সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হলে সড়কের সাথে জড়িত সকল স্টেকহোল্ডারকে সম্মিলিতভাবে কাজ কতে হবে। সড়কে দুর্ঘটনার জন্য চালক ও হেলপার একা দায়ী নয়। এর সাথে যাত্রী, সড়কের অবকাঠামো, ফুটপাত দখল ও আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। আইন প্রয়োগে ক্ষমতাসীন দল ও বড়লোকদের প্রতি আইনের আওতায় আনতে অনীহা ও বিমাতাসুলভ আচরন আইন মানতে সর্বসাধারণের অনাগ্রহী দায়ী।

বক্তরা আরও বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র একা সড়কে দখল ও ফুটপাত উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছেন। কিন্তু সিটিকরপোরেশনের প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সিডিএ ও বিআরটিএসহ অন্যরা সেখানেই নাই। সেকারণে সকালে হকার উচ্ছেদ হলেও বিকালে আবার বসে যাচ্ছেন। ফলে যে লাউ সেউ কদু। পুরো চট্টগ্রাম নগরী যানজটের নগরীরতে পরিনত হলেও বিআরটিএ ও সিএমপি’র কোন মাথা ব্যাথা নাই। সড়কে প্রতিদিন শুধু চট্টগ্রামে বিপুল প্রাণহাণি ঘটলেও কারো কোন উদ্বেগ আছে, সেরকম দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। নগরীর নতুন ব্রীজ, কর্নেলহাট, বহদ্দারহাট, বিমানবন্দর সড়ক, হালিশহর, দেওয়ানহাটসহ অনেক এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে লেগে আছে। ট্রাফিক বিভাগ এখানে পুরোপুরি নিস্কৃয়। শ্রমিক সংগঠনগুলো আগের মতো নতুন মোড়কে চাঁদা আদায়ে ব্যস্ত। সরকার পরিবর্তন হলেও ব্যবস্থা সেই আগের মতো।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিস্টেম পরিবর্তন না হলে বাংলাদেশ ঠিক আগের অবস্থানেই থেকে যাবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আমুল পরিবর্তন করতে হবে। যাত্রীদেরকে ট্রাফিক আইন কানুণ জানাতে হবে। একই সাথে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মোটরসাইকেলের চালকদের হেলমেট পরা নিশ্চিত ও আইনের কঠোর প্রতিপালনের বিষয়ে আরও কঠোর হবার বিকল্প নাই। প্রয়োজনে এসমস্ত চালকদের সাথে সচেতনতামুলক কার্যক্রম গ্রহন করতে হবে। একটি দুর্ঘটনা শুধু সাধারণ ঘটনা নয়, সারা জীবনের কান্না। তাই যে কোন দুর্ঘটনাকে সামান্য বলে চালিয়ে না দিয়ে দূর্ঘটনা প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি ও সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, রোড ক্র্যাশ বা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে বেপরোয়া বা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালানো এবং মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার না করা। তাই ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ পরিহার করলে রোড ক্র্যাশের সম্ভাবনাও কমে যাবে। নিরাপদ বা নিয়ন্ত্রিত গতিই পারে সড়কে চলাচলরত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সেইসঙ্গে সঠিক ও মানসম্মত হেলমেট-এর ব্যবহার মোটর সাইকেল চালক ও আরোহীর পথচলাকে নিরাপদ করে তুলতে পারে।

মুন্নি আক্তার,নগর প্রতিবেদকঃ ‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ বুধবার(২২ অক্টোবর) ৯ম বারের মতো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উযদাপিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ চট্টগ্রামের সভাপতি ও বিশিষ্ট কলামিস্ট মুহাম্মদ মুসা খান।

দিবসটি পালন উপলক্ষে চট্টগ্রামে বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট, পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ-চট্টগ্রাম ও ক্যাব চট্টগ্রামের উ্দ্যোগে নগরীর জামাল খান প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে মানববন্ধন ও গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়।

সভা সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ও দৈনিক পূর্বদেশের বার্তা প্রধান আবু মোশারফ রাসেল।

বক্তব্য রাখেন- ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও ক্যাব চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি এম নাসিরুল হক, ক্যাব বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, রাজনীতিবিদ মিটুল দাস গুপ্ত, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী রোটারিয়ান এস এম আজিজ, অপকার নির্বাহেী পরিচালক মোঃ আলমগীর, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক লায়লা ইয়াসমিন, অপরাজেয় বাংলাদেশ এর বিভাগীয় সমন্বয়কারী জিনাত আরা বেগম, পার্কের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম মান্না, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ চেয়ারম্যান, সাংবাদিক কমল চক্রবর্তী, ক্যাব সীতাকুন্ডের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন অনিক, এডাব চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোঃ ফোরকান, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, ক্যাব পাচলাইশের মাজেদ ভাষানী, যুব ক্যাব কর্নফুলী উপজেলা সভাপতি আরফিন সুমন, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক আমজাদুল হক আয়াজ, সদস্য মোঃ সালমান রশীদ, সমাজকর্মী, মুজিব উল্লাহ তুষার, অধিকার চট্টগ্রামের সমন্বয়ক সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হলে সড়কের সাথে জড়িত সকল স্টেকহোল্ডারকে সম্মিলিতভাবে কাজ কতে হবে। সড়কে দুর্ঘটনার জন্য চালক ও হেলপার একা দায়ী নয়। এর সাথে যাত্রী, সড়কের অবকাঠামো, ফুটপাত দখল ও আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। আইন প্রয়োগে ক্ষমতাসীন দল ও বড়লোকদের প্রতি আইনের আওতায় আনতে অনীহা ও বিমাতাসুলভ আচরন আইন মানতে সর্বসাধারণের অনাগ্রহী দায়ী।

বক্তরা আরও বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র একা সড়কে দখল ও ফুটপাত উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছেন। কিন্তু সিটিকরপোরেশনের প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সিডিএ ও বিআরটিএসহ অন্যরা সেখানেই নাই। সেকারণে সকালে হকার উচ্ছেদ হলেও বিকালে আবার বসে যাচ্ছেন। ফলে যে লাউ সেউ কদু। পুরো চট্টগ্রাম নগরী যানজটের নগরীরতে পরিনত হলেও বিআরটিএ ও সিএমপি’র কোন মাথা ব্যাথা নাই। সড়কে প্রতিদিন শুধু চট্টগ্রামে বিপুল প্রাণহাণি ঘটলেও কারো কোন উদ্বেগ আছে, সেরকম দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। নগরীর নতুন ব্রীজ, কর্নেলহাট, বহদ্দারহাট, বিমানবন্দর সড়ক, হালিশহর, দেওয়ানহাটসহ অনেক এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে লেগে আছে। ট্রাফিক বিভাগ এখানে পুরোপুরি নিস্কৃয়। শ্রমিক সংগঠনগুলো আগের মতো নতুন মোড়কে চাঁদা আদায়ে ব্যস্ত। সরকার পরিবর্তন হলেও ব্যবস্থা সেই আগের মতো।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিস্টেম পরিবর্তন না হলে বাংলাদেশ ঠিক আগের অবস্থানেই থেকে যাবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আমুল পরিবর্তন করতে হবে। যাত্রীদেরকে ট্রাফিক আইন কানুণ জানাতে হবে। একই সাথে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মোটরসাইকেলের চালকদের হেলমেট পরা নিশ্চিত ও আইনের কঠোর প্রতিপালনের বিষয়ে আরও কঠোর হবার বিকল্প নাই। প্রয়োজনে এসমস্ত চালকদের সাথে সচেতনতামুলক কার্যক্রম গ্রহন করতে হবে। একটি দুর্ঘটনা শুধু সাধারণ ঘটনা নয়, সারা জীবনের কান্না। তাই যে কোন দুর্ঘটনাকে সামান্য বলে চালিয়ে না দিয়ে দূর্ঘটনা প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি ও সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, রোড ক্র্যাশ বা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে বেপরোয়া বা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালানো এবং মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার না করা। তাই ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ পরিহার করলে রোড ক্র্যাশের সম্ভাবনাও কমে যাবে। নিরাপদ বা নিয়ন্ত্রিত গতিই পারে সড়কে চলাচলরত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সেইসঙ্গে সঠিক ও মানসম্মত হেলমেট-এর ব্যবহার মোটর সাইকেল চালক ও আরোহীর পথচলাকে নিরাপদ করে তুলতে পারে।