দি ক্রাইম ডেস্ক: বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমান বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও দায়িত্বশীল উৎপাদন খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জীবন রক্ষায় সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিয়ে থাকে এই খাতের কারখানাগুলো। শুধু উৎপাদন নয়, ফায়ার ও বিল্ডিং সেফটি হচ্ছে পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি। সকল কারখানায় ফায়ার সেফটি ও কমপ্লায়েন্স বজায় রাখার বিকল্প নেই। ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ও ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন সহজ করা এবং অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পোশাক শিল্প মালিকদের সার্বক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
গত শনিবার নগরীর বিজিএমইএ ভবনে অনুষ্ঠিত ফায়ার অ্যান্ড সেইফটি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান রায়হান শামস্।
বিজিএমইএর পরিচালক ও ফায়ার অ্যান্ড সেইফটি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির পরিচালক ইনচার্জ রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, একটি কারখানায় আগুন লাগলে মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও বিভিন্ন জটিলতায় পড়েন। ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর, কাস্টমস বন্ড, ইন্স্যুরেন্স ও ব্যাংকিং জটিলতায়ও ভুগতে হয়। এসব জটিলতা নিসরনের জন্য কাস্টমস বন্ডসহ প্রতিষ্ঠানগুলো যদি আন্তরিক হয় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা কিছুটা হলেও উপকৃত হতেন।
বক্তারা ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন প্রতিবন্ধকতা, ফায়ার সেইফটি প্ল্যান প্রণয়নে অনুমোদিত ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের সংখ্যা বাড়ানো, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ, পোশাক কারখানায় অগ্নি নিরাপত্তা, ভবন কাঠামোগত নিরাপত্তা এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, অগ্নি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর, কাস্টমস বন্ড সংশ্লিষ্ট জটিলতা, ইন্স্যুরেন্স সংশ্লিষ্ট সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মো. সাইফউল্লাহ মনসুর, এনামুল আজিজ চৌধুরী, ফায়ার অ্যান্ড সেইফটি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো–চেয়ারম্যান তসলিম আরিফ, মোহাম্মদ নাকিম, কমিটির সদস্য কাজী মো. শফিকুল ইসলাম টিটু, আরশাদ–উর–রহমান, মোহাম্মদ আবদুল শুক্কুর, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, ওদুদ মোহাম্মদ চৌধুরী, সিএম সালাহ্উদ্দিন আকবর, রফিকুল আনাম চৌধুরী, মোহাম্মদ নাকিম উদ্দিন ও মোহাম্মদ ইছা।