রাজশাহী সংবাদদাতা: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের চাঁইসাড়া গ্রামে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নবাব হোসেন ওরফে বাচ্চু, যিনি সম্প্রতি গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন (বর্তমানে সাময়িক বহিষ্কৃত)।

সুত্রে জানা গেছে, গ্রামের প্রায় ১০০টি হিন্দু পরিবারের পাশে তিন শতক জমি কিনে বাড়ি করেন নবাব। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি স্থানীয় হিন্দু পরিবারগুলোর কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় শুরু করেন। চাঁদা না দিলে পাড়ায় থাকতে দেবেন না বলে হুমকিও দিচ্ছে। চাঁদাবাজি শুধু টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। পুকুরের মাছ, হাঁস, কলার কাঁদি, ধান পর্যন্ত জোর করে নিয়ে যাচ্ছে। কারও আপত্তি থাকলে হাতে হাঁসুয়া কিংবা ছুরি নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। অনেক সময় বয়স্ক মায়েদের কাছে গিয়ে বলতেন, “আপনার ছেলে টাকা দিয়ে দিতে বলুন, না হলে সমস্যা হবে।”

গতকাল মঙ্গলবার(১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নবাব হোসেন ৬০ বছরের প্রবীণ ব্যক্তি নারায়ণ ভবানীর পথরোধ করে টাকা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি নারায়ণকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে যান। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে শতাধিক হিন্দু নারী-পুরুষ প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বাগমারা থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা নবাবের গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তার দাবি জানান। পুলিশের আশ্বাসে বিকেল আড়াইটায় তাঁরা থানা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

ঘটনার পর নবাব হোসেন পালিয়ে যান। তবে রাতেই নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালীনগর এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আহত নারায়ণ ভবানীও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগেও নবাব হোসেন স্থানীয় একটি স্কুলে হাঙ্গামা ও অস্ত্রসহ ধরা পড়েছিলেন, তবে ছাড়া পেয়ে যান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপির নেতাদের জানিয়েও কোন প্রতিকার পাননি তাঁরা।

চাঁইসাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভয়ের মধ্যে আছেন। চাঁদা না দিলে ভয়ভীতি, বাড়ির জিনিসপত্র লুট, এমনকি প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন নবাব হোসেন। তিনি গ্রেপ্তার হলেও আতঙ্ক কাটেনি। তাঁরা প্রশাসনের কাছে স্থায়ী নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।

রাজশাহী সংবাদদাতা: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের চাঁইসাড়া গ্রামে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নবাব হোসেন ওরফে বাচ্চু, যিনি সম্প্রতি গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন (বর্তমানে সাময়িক বহিষ্কৃত)।

সুত্রে জানা গেছে, গ্রামের প্রায় ১০০টি হিন্দু পরিবারের পাশে তিন শতক জমি কিনে বাড়ি করেন নবাব। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি স্থানীয় হিন্দু পরিবারগুলোর কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় শুরু করেন। চাঁদা না দিলে পাড়ায় থাকতে দেবেন না বলে হুমকিও দিচ্ছে। চাঁদাবাজি শুধু টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। পুকুরের মাছ, হাঁস, কলার কাঁদি, ধান পর্যন্ত জোর করে নিয়ে যাচ্ছে। কারও আপত্তি থাকলে হাতে হাঁসুয়া কিংবা ছুরি নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। অনেক সময় বয়স্ক মায়েদের কাছে গিয়ে বলতেন, “আপনার ছেলে টাকা দিয়ে দিতে বলুন, না হলে সমস্যা হবে।”

গতকাল মঙ্গলবার(১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নবাব হোসেন ৬০ বছরের প্রবীণ ব্যক্তি নারায়ণ ভবানীর পথরোধ করে টাকা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি নারায়ণকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে যান। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে শতাধিক হিন্দু নারী-পুরুষ প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বাগমারা থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা নবাবের গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তার দাবি জানান। পুলিশের আশ্বাসে বিকেল আড়াইটায় তাঁরা থানা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

ঘটনার পর নবাব হোসেন পালিয়ে যান। তবে রাতেই নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালীনগর এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আহত নারায়ণ ভবানীও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগেও নবাব হোসেন স্থানীয় একটি স্কুলে হাঙ্গামা ও অস্ত্রসহ ধরা পড়েছিলেন, তবে ছাড়া পেয়ে যান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপির নেতাদের জানিয়েও কোন প্রতিকার পাননি তাঁরা।

চাঁইসাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভয়ের মধ্যে আছেন। চাঁদা না দিলে ভয়ভীতি, বাড়ির জিনিসপত্র লুট, এমনকি প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন নবাব হোসেন। তিনি গ্রেপ্তার হলেও আতঙ্ক কাটেনি। তাঁরা প্রশাসনের কাছে স্থায়ী নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।