ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে চুরির স্টাইলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল লুটপাট করা হয়েছে। ডাকাতের প্রহারে আহত হয়েছে তিনজন। খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।

ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড নাপিতখালী চাক্কার দোকান এলাকার মৃত ফজল করিমের পুত্র সৌদি প্রত্যাগত ও স্থানীয় দোকানদার সাহাব উদ্দিনের বসত বাড়িতে দুর্ধর্ষ এ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। শনিবার আনুমানিক রাত দু’টা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে সশস্ত্র সাত/ আট জন ডাকাত এ ঘটনা ঘটায়। চুরির স্টাইলে ঘরের সম্মুখের গেস্ট রুমের জানালার রড কেটে ডাকাতরা ভেতরে ঢুকে। পরে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল সেট লুট করে। এসময় গৃহকর্তাসহ তিনজন আহত হন।

স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী নুরুল হুদা নকশা জানায়, সকালে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। গৃহকর্তার কাছ থেকে ডাকাতির বিস্তারিত ঘঠনা জানতে পারি।

ঘরের মালিক সাহাব উদ্দিন জানান, তিনি ডাকাত দলের ৭/৮ জন সদস্য দেখতে পেয়েছেন। আনুমানিক রাত সাড়ে তিনটার দিকে তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ডাকাতদের হাতে দা, কোড়াল সহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। তারা দু-একটি মোবাইল আছাড় মেরে ভেঙ্গে দেয়। ডাকাতের প্রহারে তিনি নিজে, তার ভাই মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং তার ভাইপো ফাহিম আহত হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, ডাকাত দল ৯ ভরি স্বর্ণ, এক লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল লুট সহ দুইটি মোবাইল ভাঙচুর করেছে। আজ রাতে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সমাজ সর্দার জহির আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন গৃহকর্তার শাশুড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। তাই ডাকাত দল প্রচুর স্বর্ণ লুটপাট করার সুযোগ পায়।

ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মছিউর রহমান ঘটনাস্থল থেকে এসে বিকেলে বাড়ির মালিকের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদককে জানান, সাত/ আট ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল লুট করার কথা জানিয়েছে ভূক্তভোগীরা।তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ বা জিডি করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্যানেল চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন মোঃ বাবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিক কি পরিমাণ স্বর্ণ ও টাকা লুটপাট হয়েছে তা আমি সঠিক করে বলতে পারব না।

ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার জাহেদা বেগম ঘটনাস্থল থেকে ফিরে জানান, এলাকায় প্রায় প্রতি রাতে চুরি ডাকাতি হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এলাকায় পুলিশ উপস্থিত থাকছে বলা হলেও আমরা পুলিশকে দেখতে পাচ্ছি না।

এদিকে পুলিশের ওসি ঘটনা স্থলে গেলে স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত হন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অছিয়র রহমান, হেলাল উদ্দিন, আব্দুস শুক্কুর, সরওয়ার প্রমুখ

ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে চুরির স্টাইলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল লুটপাট করা হয়েছে। ডাকাতের প্রহারে আহত হয়েছে তিনজন। খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।

ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড নাপিতখালী চাক্কার দোকান এলাকার মৃত ফজল করিমের পুত্র সৌদি প্রত্যাগত ও স্থানীয় দোকানদার সাহাব উদ্দিনের বসত বাড়িতে দুর্ধর্ষ এ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। শনিবার আনুমানিক রাত দু’টা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে সশস্ত্র সাত/ আট জন ডাকাত এ ঘটনা ঘটায়। চুরির স্টাইলে ঘরের সম্মুখের গেস্ট রুমের জানালার রড কেটে ডাকাতরা ভেতরে ঢুকে। পরে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল সেট লুট করে। এসময় গৃহকর্তাসহ তিনজন আহত হন।

স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী নুরুল হুদা নকশা জানায়, সকালে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। গৃহকর্তার কাছ থেকে ডাকাতির বিস্তারিত ঘঠনা জানতে পারি।

ঘরের মালিক সাহাব উদ্দিন জানান, তিনি ডাকাত দলের ৭/৮ জন সদস্য দেখতে পেয়েছেন। আনুমানিক রাত সাড়ে তিনটার দিকে তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ডাকাতদের হাতে দা, কোড়াল সহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। তারা দু-একটি মোবাইল আছাড় মেরে ভেঙ্গে দেয়। ডাকাতের প্রহারে তিনি নিজে, তার ভাই মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং তার ভাইপো ফাহিম আহত হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, ডাকাত দল ৯ ভরি স্বর্ণ, এক লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল লুট সহ দুইটি মোবাইল ভাঙচুর করেছে। আজ রাতে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সমাজ সর্দার জহির আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন গৃহকর্তার শাশুড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। তাই ডাকাত দল প্রচুর স্বর্ণ লুটপাট করার সুযোগ পায়।

ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মছিউর রহমান ঘটনাস্থল থেকে এসে বিকেলে বাড়ির মালিকের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদককে জানান, সাত/ আট ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল লুট করার কথা জানিয়েছে ভূক্তভোগীরা।তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ বা জিডি করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্যানেল চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন মোঃ বাবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিক কি পরিমাণ স্বর্ণ ও টাকা লুটপাট হয়েছে তা আমি সঠিক করে বলতে পারব না।

ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার জাহেদা বেগম ঘটনাস্থল থেকে ফিরে জানান, এলাকায় প্রায় প্রতি রাতে চুরি ডাকাতি হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এলাকায় পুলিশ উপস্থিত থাকছে বলা হলেও আমরা পুলিশকে দেখতে পাচ্ছি না।

এদিকে পুলিশের ওসি ঘটনা স্থলে গেলে স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত হন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অছিয়র রহমান, হেলাল উদ্দিন, আব্দুস শুক্কুর, সরওয়ার প্রমুখ