সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া : সাতকানিয়ায় জায়গার সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের কিরিচের কোপে নুরুল কবির (৩৮) নামে এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন। শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিন বিকালে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছড়ারকূল সুয়ার বাপের বাড়ি এলাকায় প্রতিপক্ষের কিরিচের কোপে গুরুতর আহত হন নুরুল কবির।

নিহত নুরুল কবির একই এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে। এ ঘটনায় অন্যান্য আহতরা হলেন-নিহতের মা মমতাজ বেগম (৫৫), ভাই জানে আলম (২৭) ও মো. আবছার (৩৭)। আহতদের মধ্যে জানে আলম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় শনিবার মধ্য রাতে নিহতের চাচাতো ভাই নেজাম উদ্দিন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও ২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে, মামলার আসামিদের পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

জানা যায়, গেল মাসে নিহতের প্রতিবেশী আব্দুল মজিদ, শহিদুল ইসলাম, নজির আহমদ, নেয়াজুর রহমান ও আব্দুস সোবাহান মিলে নিহত নুরুল কবিরের বসতঘরের পার্শ্ববর্তী বাথরুম উচ্ছেদ করে একটি বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের চেষ্টা চালায়। ওই সময় উভয় পক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়ায়। এরপর নিহত নুরুল কবির বাদী হয়ে গত (৩১ আগস্ট) সাতকানিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

আরও জানা যায়, শনিবার অভিযুক্তরা পুনরায় বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা নুরুল কবিরের মাথায় কিরিচের কোপ দেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল কবিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আহত জানে আলমকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রাখা হয়। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

নিহত দিনমজুর নুরুল কবিরের মা মমতাজ বেগম বলেন, অভিযুক্তরা প্রথমে একবার আমাদের বাথরুম ভেঙে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের চেষ্টা করলে আমরা পুলিশের আশ্রয় নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তারা পুনরায় একই চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিয়েছিলাম। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলের মাথায় কিরিচের কোপ দেয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আমাদেরকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের দুই অবিবাহিত মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তারাতো এতিম হয়ে গেল। তাদের এখন কে দেখবে। সামান্য সীমানার জন্য এভাবে একজন অপরজনকে কুপিয়ে হত্যা করতে পারে ? আমি এ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

নিহতের চাচাতো ভাই মো. হারুন বলেন, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে নুরুল কবিরকে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত জানে আলমের অবস্থাও সংকটাপন্ন। এর আগেও অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে আমাদের উপর হামলার চেষ্টা চালায়। এ পরিকল্পিত হত্যাকান্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই।

এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল মজিদ ও শহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুদীপ্ত রেজা বলেন, জায়গার সীমানা বিরোধের জেরে দিনমজুর নিহতের ঘটনায় শনিবার মধ্য রাতে নিহতের চাচাতো ভাই নেজাম উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।

সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া : সাতকানিয়ায় জায়গার সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের কিরিচের কোপে নুরুল কবির (৩৮) নামে এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন। শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিন বিকালে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছড়ারকূল সুয়ার বাপের বাড়ি এলাকায় প্রতিপক্ষের কিরিচের কোপে গুরুতর আহত হন নুরুল কবির।

নিহত নুরুল কবির একই এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে। এ ঘটনায় অন্যান্য আহতরা হলেন-নিহতের মা মমতাজ বেগম (৫৫), ভাই জানে আলম (২৭) ও মো. আবছার (৩৭)। আহতদের মধ্যে জানে আলম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় শনিবার মধ্য রাতে নিহতের চাচাতো ভাই নেজাম উদ্দিন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও ২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে, মামলার আসামিদের পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

জানা যায়, গেল মাসে নিহতের প্রতিবেশী আব্দুল মজিদ, শহিদুল ইসলাম, নজির আহমদ, নেয়াজুর রহমান ও আব্দুস সোবাহান মিলে নিহত নুরুল কবিরের বসতঘরের পার্শ্ববর্তী বাথরুম উচ্ছেদ করে একটি বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের চেষ্টা চালায়। ওই সময় উভয় পক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়ায়। এরপর নিহত নুরুল কবির বাদী হয়ে গত (৩১ আগস্ট) সাতকানিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

আরও জানা যায়, শনিবার অভিযুক্তরা পুনরায় বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা নুরুল কবিরের মাথায় কিরিচের কোপ দেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল কবিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আহত জানে আলমকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রাখা হয়। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

নিহত দিনমজুর নুরুল কবিরের মা মমতাজ বেগম বলেন, অভিযুক্তরা প্রথমে একবার আমাদের বাথরুম ভেঙে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের চেষ্টা করলে আমরা পুলিশের আশ্রয় নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তারা পুনরায় একই চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিয়েছিলাম। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলের মাথায় কিরিচের কোপ দেয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আমাদেরকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের দুই অবিবাহিত মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তারাতো এতিম হয়ে গেল। তাদের এখন কে দেখবে। সামান্য সীমানার জন্য এভাবে একজন অপরজনকে কুপিয়ে হত্যা করতে পারে ? আমি এ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

নিহতের চাচাতো ভাই মো. হারুন বলেন, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে নুরুল কবিরকে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত জানে আলমের অবস্থাও সংকটাপন্ন। এর আগেও অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে আমাদের উপর হামলার চেষ্টা চালায়। এ পরিকল্পিত হত্যাকান্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই।

এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল মজিদ ও শহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুদীপ্ত রেজা বলেন, জায়গার সীমানা বিরোধের জেরে দিনমজুর নিহতের ঘটনায় শনিবার মধ্য রাতে নিহতের চাচাতো ভাই নেজাম উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।