মোঃ হারুন আল রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মসজিদ রোডে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধা মহিলার তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ সকালে ওই বৃদ্ধা পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় যান। পরিকল্পনা ছিল-দু’লাখ টাকার একটি মেয়াদি আমানত এবং তিন লাখ টাকার আরেকটি মেয়াদি আমানত খোলা। ব্যাংকের জনৈক কর্মকর্তা কাগজপত্র তৈরি করে দেন এবং টাকা জমা দিতে বলেন। পরে তিনি দু’লাখ টাকার স্লিপ দিলেও তিন লাখ টাকার স্লিপ দশ দিন পর নেওয়ার কথা জানান। কিন্তুু নির্ধারিত সময়ে ব্যাংকে গেলে কর্মকর্তারা জানান, বৃদ্ধা কেবল দু’লাখ টাকা জমা দিয়েছেন, তিন লাখ টাকার কোনো হিসাব নেই। অভিযোগ করতে গেলে শাখা ব্যবস্থাপকও কোনো সহযোগিতা না করে উল্টো তাকে ব্যাংক থেকে বের করে দেন। শুধু তাই নয়, এক কোটি টাকা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসিয়ে দিবেন বলে হুমকি দেন।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোর অনুরোধ জানালে ব্যবস্থাপক দাবি করেন-ফুটেজ সর্বোচ্চ ২৮ দিন সংরক্ষণ থাকে, পরে তা মুছে যায়। তাই যাচাই সম্ভব হয়নি।

সাংবাদিকরা বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গেলে প্রথমে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সময় নেন, পরে নানা অজুহাতে ভিডিও ফুটেজ দেখাতে ব্যর্থ হন। এমনকি বিশেষজ্ঞের সহায়তায় ফুটেজ উদ্ধার করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও ব্যাংক শেষ পর্যন্ত রাজি হয়নি। দ্বিতীয়বার ব্যাংক কর্মকর্তার নির্ধারিত আনিত টেকনিশিয়ান সাংবাদিকদের সামনেই বলেন, ওই ১৩ মার্চের কম্পিউটারের হার্ডডিক্সের ছবি ফুটেজ রিকভার করা যাবে। আর তাতে খরচ হবে এক লক্ষ টাকার উপরে। এ যেন মরার উপর খারার গা। মূলত অভিযোগটি হলো ৩ লক্ষ টাকার প্রতারণা।

ভুক্তভোগী বৃদ্ধা একাধিকবার ব্যাংকে গিয়েও কোনো সমাধান পাননি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমার কষ্টার্জিত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর এখন উল্টো আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।”

স্থানীয়রা জানান, একজন নিরক্ষর বৃদ্ধার টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংক কর্মকর্তারা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

মোঃ হারুন আল রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মসজিদ রোডে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধা মহিলার তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ সকালে ওই বৃদ্ধা পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় যান। পরিকল্পনা ছিল-দু’লাখ টাকার একটি মেয়াদি আমানত এবং তিন লাখ টাকার আরেকটি মেয়াদি আমানত খোলা। ব্যাংকের জনৈক কর্মকর্তা কাগজপত্র তৈরি করে দেন এবং টাকা জমা দিতে বলেন। পরে তিনি দু’লাখ টাকার স্লিপ দিলেও তিন লাখ টাকার স্লিপ দশ দিন পর নেওয়ার কথা জানান। কিন্তুু নির্ধারিত সময়ে ব্যাংকে গেলে কর্মকর্তারা জানান, বৃদ্ধা কেবল দু’লাখ টাকা জমা দিয়েছেন, তিন লাখ টাকার কোনো হিসাব নেই। অভিযোগ করতে গেলে শাখা ব্যবস্থাপকও কোনো সহযোগিতা না করে উল্টো তাকে ব্যাংক থেকে বের করে দেন। শুধু তাই নয়, এক কোটি টাকা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসিয়ে দিবেন বলে হুমকি দেন।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোর অনুরোধ জানালে ব্যবস্থাপক দাবি করেন-ফুটেজ সর্বোচ্চ ২৮ দিন সংরক্ষণ থাকে, পরে তা মুছে যায়। তাই যাচাই সম্ভব হয়নি।

সাংবাদিকরা বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গেলে প্রথমে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সময় নেন, পরে নানা অজুহাতে ভিডিও ফুটেজ দেখাতে ব্যর্থ হন। এমনকি বিশেষজ্ঞের সহায়তায় ফুটেজ উদ্ধার করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও ব্যাংক শেষ পর্যন্ত রাজি হয়নি। দ্বিতীয়বার ব্যাংক কর্মকর্তার নির্ধারিত আনিত টেকনিশিয়ান সাংবাদিকদের সামনেই বলেন, ওই ১৩ মার্চের কম্পিউটারের হার্ডডিক্সের ছবি ফুটেজ রিকভার করা যাবে। আর তাতে খরচ হবে এক লক্ষ টাকার উপরে। এ যেন মরার উপর খারার গা। মূলত অভিযোগটি হলো ৩ লক্ষ টাকার প্রতারণা।

ভুক্তভোগী বৃদ্ধা একাধিকবার ব্যাংকে গিয়েও কোনো সমাধান পাননি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমার কষ্টার্জিত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর এখন উল্টো আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।”

স্থানীয়রা জানান, একজন নিরক্ষর বৃদ্ধার টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংক কর্মকর্তারা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।