নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত ৫ জুন থেকে ১০ দিনের ঈদুল আজহার ছুটি চলমান ছিল। অন্যান্য সকল সরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও খোলা আছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আওতাধীন সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। মাঠ পর্যায়ে ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র কর্মী সংকট সত্ত্বেও কেন্দ্রগুলোতে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাগণ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দিকনির্দেশনায় ২৪ ঘন্টা অবস্থান করে জরুরি সেবার আওতাধীন গর্ভবতী মায়ের চেকআপ, সাধারণ প্রসব সেবা এবং জরুরী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা প্রদান করেছেন।
খুটাখালি, মানিকপুর, শাহারবিল, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, স্থানীয় সেবা গ্রহীতাদের সরব উপস্থিতি। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত সেবা প্রদানকারীদের ব্যস্ততা।
সেবা নিতে আসা হালিমা বেগম বলেন, আমি গর্ভবতী হওয়ার শুরু থেকেই নিয়মিত চেকআপ করিয়েছি, গভীর রাতে প্রসব বেদনা নিয়ে এই কেন্দ্রে আসি। আসার সাথে সাথেই খুব ভালো সেবা পেয়েছি। আমি ও আমার সন্তান দুজনেই ভালো আছি। এখানের সবাই আন্তরিক ও ভালো।
তিনি আরো বলেন, এত ভালো ও নিরাপদ সেবা থাকতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে ডেলিভারি করা উচিত নয়। আর এক সেবা গ্রহীতা তার অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমার প্রথম বাচ্চা বাড়িতে ডেলিভারি করাতে গিয়ে হারায়েছি, পরের দুটি ডেলিভারি এখানে হয়েছে। এখানের সেবার মান ও পরিবেশ খুবই ভালো।
মানিকপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকা জানান, আমরা এখানে সার্বক্ষণিক গর্ভবতী চেকআপ, নরমাল ডেলিভারি সেবা এবং সেবা গ্রহীতার চাহিদা অনুসারে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবাও প্রদান করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাপস দত্ত বলেন, আমাদের লক্ষ্য মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। এজন্য ঈদের ছুটি দীর্ঘ ১০দিন হওয়াতে যে সব কেন্দ্রে প্রসব সেবা চালু আছে সেগুলো সহ সকল কেন্দ্র গুলোকে ছুটির আগেই প্রয়োজনীয় সকল নিদর্শনা দেওয়া হয়েছে এবং নিয়মিত তদারকি করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, কেন্দ্রে আগত সেবা গ্রহীতারা সেবায় সন্তুষ্ট। এছাড়াও জেলা অফিস থেকেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও সহযোগীতা করেছে। ফলে সহকর্মীদের প্রচেষ্টায় এই দীর্ঘ ছুটির মধ্যেও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগিতা পেলে ৩৬৫ দিন সেবা গ্রহীতাদের কাংখিত সেবা প্রদান করাই আমাদের লক্ষ্য।
সেবা গ্রহীতারা ঈদের ছুটি চলাকালীন আন্তরিকতার সাথে জরুরি সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এমন উদ্যোগ সেবা গ্রহীতা ও স্থানীয়দের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।