খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা, রামগড়, সাজেকে পৃথকভাবে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার দীঘিনালায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলা পরিবেশ রক্ষা কমিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে। দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার(০৫ জুন) সকাল ৯টায় একটি র্যালি বাবুছড়া নোয়াবাজার হতে শুরু হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাবুছড়া মুখ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ঘুরে পূনরায় নোয়াবাজারে এসে শেষ হয় এবং সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ৩৬নং ধনপাদা মৌজা হেডম্যান যুব লক্ষন চাকমার সভাপতিত্বে ও শান্তি প্রিয় চাকমার সঞ্চালনা বক্তব্য রাখেন, বাবুছড়া বাঁশ ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি অরুন বিকাশ চাকমা, ইউপি সদস্য প্রতিভা চাকমা ও বাবুছড়া চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা প্রমুখ।
ইউপি প্রতিভা চাকমা বলেন,বেশি দূরের কথা নয়, ৪০-৫০আগে এলাকায় সবুজ বন ছিলো। বন্য প্রাণী দেখা যেতো। বর্তমানে সেইরূপ নেই। বনকে অপরিকল্পিত ব্যবহারের ফলে দিন দিন বন উজাড় হচ্ছে। তিনি সবাইকে পরিবেশের জন্য উপযোগী বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এবং বাঁশ বন সৃজন করার আহ্বান জানান।
অরুন বিকাশ চাকমা বলেন, কেবল গাছ-বাঁশ ধ্বংসের ফলে পরিবেশ ক্ষতি হচ্ছে তা নয়, মানুষের অসচেতনভাবে ব্যবহৃত প্লাস্টিকসহ নানা রাসায়নিক পদার্থও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন অপরিকল্পিত জুমচাষ, সেগুন ও রাবার গাছের বাগান সৃজন, তামাক চাষ, যত্রতত্র পাহাড় কাটা, পাথর উত্তোলন, বিরল বন্যপ্রাণী শিকার, অবাধে গাছ কাটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই এসব বন্ধ করতে হবে।
চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা বলেন, পরিবেশ রক্ষার্থে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। এলাকায় এলাকায় প্রচারণা চালাতে হবে। পরিবেশ বান্ধব বৃক্ষ রোপন করতে হবে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাঁশ, গাছ কাটা ও জুম চাষ রোধ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশের সভাপতি যুব লক্ষন চাকমা বলেন, এ অঞ্চলকে ঠিক রাখতে হলে সবাইকে পরিবেশ বিষয়ে সচেতন হতে হবে, পরিবেশের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা অনেকেই অপরিকল্পিতভাবে জুমচাষ করি। এই জুমচাষ করতে গিয়ে আমরা অনেক গাছপালা, বাঁশবন কেটে ফেলি এবং তাতে আগুন লাগিয়ে দিই। এটাও পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বন ও বন্য প্রাণী রক্ষায় সামাজিকভাবে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন মন্তব্য করে বলেন, বৃটিশ আমলে গড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল এখন প্রায় নেই। এতে সরকারি বন বিভাগও বন এবং পরিবেশ ধ্বংসের জন্য কম দায়ি নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি
বন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাচ্ছুরি বেচা-কেনা বন্ধ করা, অবাধে গাছ কাটা বন্ধ করা, বন্যপ্রাণী শিকার হতে বিরত থাকা, প্লাস্টিক-পলিথিন ব্যবহারে সচেতন হওয়া এবং প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্র ব্যবহারের পর সুনির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিয়ে ধ্বংস করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
র্যালি ও সমাবেশে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বন, নদী ও প্রাণী বাঁচাও; যেখানে সেখানে বনে আগুন লাগাবেন না; বাঁশ ও গাছ বন থেকে কর্তন থেকে বিরত থাকুন; ছড়া-নদীতে বিষ দিয়ে ইছামাছ ও কাঙরা ধরবেন না; মাঘ-ফাগুন মাস থেকে ৩০ জৈষ্ঠ পর্যন্ত বেঙ- বেঙাচি খাবেন না; বৈশাখ থেকে ৩০শ্রাবন পর্যন্ত বাচ্চুরী ক্রয়- বিক্রয় থেকে বিরত থাকুন; যেখানে সেখানে পলিথিন-প্লাষ্টিক বর্জ্য ফেলাবেন না; হাট-বাজার, দোকানপাট,পথ-ঘাট পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। বন্য প্রাণী, পশু-পাখি শিকার থেকে বিরত থাকুন ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
রামগড় উপজেলা:
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘সীমান্ত সড়ক নির্মাণের নামে বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের’ বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ির রামগড়ে র্যালি ও সমাবেশ করেছে রামগড় পরিবেশ রক্ষা কমিটি। বৃহস্পতিবার(০৫ জুন) সকাল ১০টায় “প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার্থে সচেতন হোন” এই ব্যানার শ্লোগানে রামগড়-ঢাকা সড়কের দাতারাম পাড়া রাস্তা মুখ থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে যৌথখামার বাজারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। র্যালিতে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ অংশ গ্রহণ করেন। র্যালি পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রামগড় সরকারি কলেজের ছাত্র তৈমাং ত্রিপুরা, নয়ন চাকমা ও ধনো ত্রিপুরা।
বক্তারা বলেন, আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম এক সময় অনেক সুন্দর ও ফুল-ফল, পশুপাখি ও গাছগাছালিতে ভরা ছিল। কিন্তু বর্তমানে অনেক প্রাণী এবং ঔষধি গাছসহ নানা প্রজাতির গাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাই আমাদের বনাঞ্চল ও পরিবেশ রক্ষার্থে গাছ-বাঁশসহ জীববৈচিত্র রক্ষায় আরো বেশি সচেতন হতে হবে।
তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শাসকগোষ্ঠি আমাদেরকে ধ্বংস করার জন্য, জাতির অস্তিত্ব ধ্বংস করে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কথিত উন্নয়নের নামে. পর্যটনের নামে পাহাড়িদের জায়গা- জমি, ঘরবাড়ি, ফসল ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে প্রতিবছর পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বান্দরবানে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের নামে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা ম্রোদের জমি কেড়ে নিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সীমান্ত সড়ক নির্মাণের নামে মাটিরাঙ্গায় ধনিরাম পাড়ায় বুলডোজার দিয়ে পাহাড়িদের ধান্য জমি, ফসল ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। তারা বলেন, সীমান্ত সড়কের ফলে ধনিরাম পাড়া, লক্ষ্মীছড়া, যামিনী পাড়া, সাদিয়া বাড়ি এলাকার অনেক পরিবার জমি, জুম পাহাড়, বাগান হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। ছড়ার ওপর দিয়ে সড়ক নির্মাণের কারণে পানি প্রবাহ আটকে যাওয়ায় ২০২৪সালে ওই এলাকায় বড় ধরনের বন্যায় কবলিত হয়েছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। বক্তারা শাসকগোষ্ঠির পাহাড়ি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশ থেকে বক্তারা কথিত উন্নয়নের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ, পর্যটনে কেন্দ্র নির্মাণসহ পাহাড়ি উচ্ছেদ ও পরিবেশ ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। একই সাথে তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে যেসব অবৈধ ইটভাটা চালু করা হয়েছিল সেগুলোও বন্ধের দাবি করেছেন।
সাজেক খানা:
“প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হোন” শ্লোগানে ‘লংগদু- নান্যাচর সড়ক নির্মাণের নামে বনাঞ্চল, জীববৈচিত্র ধ্বংসের” বিরুদ্ধে রাঙামাটির সাজেকে র্যালি ও সমাবেশ করেছে সাজেক পরিবেশ রক্ষা কমিটি। বৃহস্পতিবার(০৫ জুন) সকাল ৯টার সময় দ্ব-পদা লাদু মুনি বাজার থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি সাজেক পর্যটন সড়ক হয়ে উজোবাজারে এসে ইউপিডিএফ-এর কার্যালয়েল সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বাঘাইহাট, গঙ্গারাম ও বঙ্গলতলী এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন অংশ গ্রহন করেন।
সমাবেশে সাজেক পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি ও সাজেক কারবারী সমিতির সভাপতি নতুন জয় চাকমার সভাপতিত্বে ও সাজেক পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্য বাবু ধন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাজেক জুম চাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জোতি লাল চাকমা ও সাজেক ইউপির ৫নং ওয়াডের মেম্বার পরিচয় চাকমা।
জোতি লাল চাকমা বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে মনে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আশির দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল আর বর্তমান সময়ের বনাঞ্চল আকাশ-পাতাল ব্যবধান রয়েছে। এক সময় চাম্পাফুল, গর্জনসহ নানা প্রজাতির গাছ-গাছালিতে যেখানে আকাশ দেখা যেত না, সেখানে আজ কাজলং ফরেষ্ট এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ঠেগা-বরকল-বিলাইছড়ি, কাচলং ফরেষ্ট অঞ্চলের গাছগুলো কাঠব্যবসায়ীদের দ্বারা কর্তন করে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া পাকা সড়ক নির্মাণের ফলে পাহাড় কেটে প্রচুর বনভূমি উজাড় করে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান এই উজোবাজারটিও এক সময় বনাঞ্চল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীতে ভরপুর ছিল। কাচলং-গঙ্গারাম নদীতে ছিল প্রচুর মাছ। পার্বত্য জেলাগুলোতে সেটেলার পুনর্বাসন করার পর পর কাজলংসহ অপরাপর নদীগুলোর মাছ ধ্বংস করা হয়েছে। সেটেলার বাঙালিদের কাছ থেকে মাছ ধরার বিভিন্ন পদ্ধতি শিখে আজ পাহাড়িরাও মাছ ধরে খালে মাছ শূন্য করে তুলেছে। তিনি বন্য প্রাণী সংরক্ষণের বন্য প্রাণী শিকার বন্ধ করা এবং বনাঞ্চল রক্ষার্থে অবাধে গাছ কাটা ও সড়ক নির্মাণের নামে পাহাড়, বন- জঙ্গল ধ্বংস বন্ধ করার দাবি জানান।
ইউপি সদস্য পরিচয় চাকমা বলেন, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ঠিক না থাকার কারণে ম্যালেরিয়ার প্রভাব বেড়েছে। যত্রতত্র পলিথিন মাটিতে ফেলার কারণে সেসব পলিথিনে পানি জমা হয়ে মশাবাহিত জীবানু বৃদ্ধির ফলে ম্যালেরিয়াসহ নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। তাই যত্রতত্র পলিথিন না ফেলে নির্ধারিত জায়গায় ফেলার পর আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সাজেকসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাধে গাছ কেটে ফেলার কারণে বনাঞ্চল উজাড় হয়েছে। একটা গাছ কর্তন করে যেখানে ৫/৭টা গাছ লাগানোর কথা থাকলেও আমরা সেটা করছি না। জীবিকার প্রয়োজনে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় আমাদের বনাঞ্চল সৃজন করতে হবে। কারণ মানুষ যে হারে বাড়ছে, সে হারে বন বাড়ছে না।
নতুন জয় চাকমা বলেন, আজকের এই দিনটি সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। যে কারণে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি সেটা ইতিমধ্য আমরা জেনেছি। পৃথিবীতে কোন কিছুই স্ধসঢ়;হায়ী নয়। আজকে যে রাজনৈতিক ও ধর্মীয়ভাবে আমরা দ্বিধাবিভক্তি তাও স্থায়ী নয়। আমাদের জাতিগত অধিকার নেই, রাজনৈতিক অধিকার নেই। দভাগ করে শাসন করার’ রাষ্ট্রীয় শাসন নীতিতে আমরা পরিচালিত হচ্ছি। রাজনৈতিক ও জাতিগত অধিকার নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে যাতে আমাদের প্রজন্ম ঠিকমত বেঁচে থাকতে পারে তার জন্য আমাদের পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি বিরল প্রজাতির প্রাণী ও গাছ-গাছালি হারিয়ে গেছে। বনভূমি উজাড় হয়ে যাওয়ার ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটেছে। এর ফলে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি হচ্ছে। ছড়া, ঝিরি-ঝর্ণা শুকিয়ে গিয়ে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্যের কারণে মৌসুম ভিক্তিক ফলমূলসহ ফসল উৎপাদন ঠিকমত হচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার ইতোমধ্যে লংগদু-নান্যাচর সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। সেই সড়কটি নির্মিত হলে সেখানে বন, পাহাড় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। যেভাবে সীমান্ত সগড়ক ও সাজেকে সড়ক নির্মাণের ফলে বনজঙ্গল উজাড় হয়ে গেছে। লংগদু-নান্যাচর সড়কটি নির্মাণ করা হলেও একইভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়বে। তিনি উক্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাচ্ছুরি(বাঁশ কোড়ল) মৌসুম শুরু হয়েছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ বাচ্ছুরি(বাঁশ কোড়ল) বিক্রি করে বাঁশ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তাই তিনি বাচ্ছুরি বিক্রি/নিধন বন্ধ করার সকলের প্রতি আহ্বান জানান।




