বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারী কলেজে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের চার নেতা আহত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে চলে আসা বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে ছাত্রলীগের কলেজ কমিটির সভাপতি সেলিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুল আবরার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী মেহেদী হাসান সানি ও ইমাত সিকাদার। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে হামলার এই ঘটনার জন্য ছাত্রদলের বহিরাগত নেতাকর্মীসহ নিজ দলের এক অংশকে দায়ী করেছেন ছাত্রলীগের আহতরা।
ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক শিক্ষার্থী জানান, গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রলীগ নেতা সেলিম-আবরার গ্রুপ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে সোমবার মানববন্ধনও করেছে শিক্ষার্থীরা। ওই মানববন্ধনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ বহিরাগত ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মীও ছিল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আবরার মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, নিজ দলের কয়েকজন নেতার ইন্দনে বহিরাগত ছাত্রদলের দুষ্কৃতিকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। তাদের নেতৃত্ব দুর্বল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন- কলেজ ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র সহ আটককৃত বহিরাগত ছাত্রদল নেতাদের আটক করা হলেও অদৃশ্য কারণে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এই প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টান্টু সাহা বলেন- কলেজ ক্যাম্পাসে কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে রাস্তায় কয়েকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
হাজী এম এ কালাম সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ও আ ম রফিকুল ইসলাম সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে হামলাকারীদের কে কোন দল করে আমার জানা নেই। গত কয়েকদিন ধরে চলে আসা বিরোধ নিরষনের জন্য বৈঠক চলাকালীন এই সংঘর্ষের ঘটনা দুখজনক। বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বসে সমাধান করা হবে।




