নুরুল ইসলাম : দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে পার্বত্য বান্দরবানের থেকে নেমে আসা টংকাবর্তী নদী। সেই নদীর উপর কাট ও বাঁশ দিয়ে তৈরী একটি নরবড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে আমিরাবাদের মুহুরীপাড়া, ঘোনাপাড়া, চৌধুরী পাড়া, রাহাত আলীপাড়াসহ কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ। অন্ততঃ ১৫বছর আগে সাঁকোটি স্থানীয়
লোকজনদের চাঁদায় তৈরী করেছেন এলাকাবাসী। বৃষ্টির সময় নদীর পানিতে সাঁকোটি ভেঙ্গে নিয়ে যায় পানির স্রোতে। তাই শুষ্ক মৌসুমে পুনরায় গ্রামবাসী নিজেদের অর্থে মেরামত করে।
বৃষ্টির সময় স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ এলাকার বয়স্ক লোকদের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। খালের উপর পাড়ে রয়েছে উত্তর আমিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চ বিদ্যালয় ও বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়তে চরম কষ্ঠ ভোগ করতে হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবী এ নদীর উপর একটি স্থায়ী ব্রিজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ জনপ্রতিনিধিরা শুধু আস্বাস দিয়ে গেছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমতাবস্থায় বর্তমান সরকারের প্রতি তাদের চাওয়া-পাওয়াও অনেক। এ সরকার যাতে তাদের একটি ব্রিজ করে দেয়।
এলাকাবাসী জানান, বৃষ্টির সময় তাদের সাঁকো দিয়ে পারাপারে দূর্ভোগ পোহাতে হয়। তাছাড়া ১০ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী জানান, তারা ছোটবেলা থেকে এ সাঁকো দিয়ে নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। তাই তারা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি ব্রিজের জোর প্রার্থনা।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী জানান, প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে ব্রিজ তৈরীর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া যেতে
পারে।




