মিজবাউল হক, চকরিয়া: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে দু’জন ডিলারের বিরুদ্ধে টিসিবির খাদ্য পন্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ডিলার নিউ জুবাইর স্টোর আজ বুধবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে ৫৮৭ জন স্মার্ট কার্ডধারী সুবিধাভোগী মানুষের জন্য টিসিবির খাদ্য পন্য উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন ৪১২ জনকে। উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে এমন তথ্য লিপিবদ্ধ থাকলেও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ডিলার সাজ্জাদ হোসাইন বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ডধারীদের বদলে বহিরাগতদের মাঝে টিসিবির পন্য বিক্রির হিসাব দেখাচ্ছেন মোট ৫৮৭ জনের মাঝে বিক্রি করা হয়েছে।

বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান বলেন, তাঁর ইউনিয়নে টিসিবির পন্য ৫৮৭ জনকে বিক্রি করা হয়েছে। একই কথা বলেছেন, ডিলার সাজ্জাদ হোসাইন। তিনি বলেন, স্মার্ট কার্ডধারী ৫৮৭ জনকে টিসিবির পন্য বিক্রি করা হয়েছে। বহিরাগত লোকজনকে বিক্রি করা হয়নি।

মঙ্গলবার কাকারা ইউনিয়নে ১১৭২ জন স্মার্ট কার্ডধারী সুবিধাভোগী মানুষের জন্য টিসিবির পন্য উত্তোলন করে ডিলার মেসার্স আবদুল্লাহ সন্সের মালিক অহিদুর রহমান পুরোটাই বিক্রি করা হয়েছে দেখিয়েছেন। অথচ এদিন কাকারা ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ডধারী শতাধিক মানুষ অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের নামীয় বরাদ্দের টিসিবির পন্য ডিলার অহিদুর রহমান বিতরণের শেষ সময়ে এসে কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের যোগসাজশে কার্ডবিহীন লোকজনদের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। যদিও স্মার্ট কার্ডধারী সুবিধাভোগী ছাড়া টিসিবির পন্য তাদের বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই নীতিমালায়।

কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিসিবির পন্য বিক্রিতে কিছুটা অনিয়ম অসঙ্গতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, স্মার্ট কার্ডধারী যে সব সুবিধাভোগী অনুপস্থিত ছিলেন, তাদের পন্যগুলো বিকালের দিকে বিতরণস্থলে উপস্থিত কার্ডবিহীন লোকজনদের নিকট বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু টিসিবির পন্য এভাবে বহিরাগত লোকজনকে বিক্রি করা উচিত হয়নি।

তিনি বলেন, ভুল হয়েছে, আগামী মাস থেকে স্মার্ট কার্ডধারী লোকজন ছাড়া অন্য কাউকে টিসিবির খাদ্য পন্য বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা চত্বরে পৌরসভার ১৩২৭ জন স্মার্ট কার্ডধারীর মাঝে টিসিবির পন্য বিক্রি করতে যান ডিলার নিউ জুবাইর স্টোরের মালিক সাজ্জাদ হোসাইন। কিন্তু তিনি সেইদিন বিতরণস্থলে পন্য নিয়ে যান এক হাজার জনের জন্য। অবশিষ্ট ৩২৭ জনের বরাদ্দের টিসিবির পন্য বিক্রি না করে তিনি এখনো পন্য গুলো নিজের অনুকুলে রেখে দিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, সরকারি নীতিমালা মোতাবেক টিসিবির পন্য বিক্রি করা যাবে শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ডধারী সুবিধাভোগীর মাঝে। কার্ড ছাড়া কাউকে বিক্রির সুযোগ নেই। যদি ডিলাররা নীতিমালা লঙ্ঘন বা অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে থাকেন, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মিজবাউল হক, চকরিয়া: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে দু’জন ডিলারের বিরুদ্ধে টিসিবির খাদ্য পন্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ডিলার নিউ জুবাইর স্টোর আজ বুধবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে ৫৮৭ জন স্মার্ট কার্ডধারী সুবিধাভোগী মানুষের জন্য টিসিবির খাদ্য পন্য উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন ৪১২ জনকে। উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে এমন তথ্য লিপিবদ্ধ থাকলেও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ডিলার সাজ্জাদ হোসাইন বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ডধারীদের বদলে বহিরাগতদের মাঝে টিসিবির পন্য বিক্রির হিসাব দেখাচ্ছেন মোট ৫৮৭ জনের মাঝে বিক্রি করা হয়েছে।

বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান বলেন, তাঁর ইউনিয়নে টিসিবির পন্য ৫৮৭ জনকে বিক্রি করা হয়েছে। একই কথা বলেছেন, ডিলার সাজ্জাদ হোসাইন। তিনি বলেন, স্মার্ট কার্ডধারী ৫৮৭ জনকে টিসিবির পন্য বিক্রি করা হয়েছে। বহিরাগত লোকজনকে বিক্রি করা হয়নি।

মঙ্গলবার কাকারা ইউনিয়নে ১১৭২ জন স্মার্ট কার্ডধারী সুবিধাভোগী মানুষের জন্য টিসিবির পন্য উত্তোলন করে ডিলার মেসার্স আবদুল্লাহ সন্সের মালিক অহিদুর রহমান পুরোটাই বিক্রি করা হয়েছে দেখিয়েছেন। অথচ এদিন কাকারা ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ডধারী শতাধিক মানুষ অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের নামীয় বরাদ্দের টিসিবির পন্য ডিলার অহিদুর রহমান বিতরণের শেষ সময়ে এসে কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের যোগসাজশে কার্ডবিহীন লোকজনদের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। যদিও স্মার্ট কার্ডধারী সুবিধাভোগী ছাড়া টিসিবির পন্য তাদের বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই নীতিমালায়।

কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিসিবির পন্য বিক্রিতে কিছুটা অনিয়ম অসঙ্গতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, স্মার্ট কার্ডধারী যে সব সুবিধাভোগী অনুপস্থিত ছিলেন, তাদের পন্যগুলো বিকালের দিকে বিতরণস্থলে উপস্থিত কার্ডবিহীন লোকজনদের নিকট বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু টিসিবির পন্য এভাবে বহিরাগত লোকজনকে বিক্রি করা উচিত হয়নি।

তিনি বলেন, ভুল হয়েছে, আগামী মাস থেকে স্মার্ট কার্ডধারী লোকজন ছাড়া অন্য কাউকে টিসিবির খাদ্য পন্য বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা চত্বরে পৌরসভার ১৩২৭ জন স্মার্ট কার্ডধারীর মাঝে টিসিবির পন্য বিক্রি করতে যান ডিলার নিউ জুবাইর স্টোরের মালিক সাজ্জাদ হোসাইন। কিন্তু তিনি সেইদিন বিতরণস্থলে পন্য নিয়ে যান এক হাজার জনের জন্য। অবশিষ্ট ৩২৭ জনের বরাদ্দের টিসিবির পন্য বিক্রি না করে তিনি এখনো পন্য গুলো নিজের অনুকুলে রেখে দিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, সরকারি নীতিমালা মোতাবেক টিসিবির পন্য বিক্রি করা যাবে শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ডধারী সুবিধাভোগীর মাঝে। কার্ড ছাড়া কাউকে বিক্রির সুযোগ নেই। যদি ডিলাররা নীতিমালা লঙ্ঘন বা অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে থাকেন, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।