ঢাকা ব্যুরো: দেশে করোনা ভাইরাসের টিকার আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ। শুধু ১৩ দিনেই রাজধানীসহ সারাদেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৩২ লাখ মানুষকে।
বুধবার (২ মার্চ) স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিগত ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা একটা বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করি। যেটা ২৬শে মার্চ এটা নির্ধারিত দিন ছিলো। ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১ লা মার্চ পর্যন্ত আমরা বিশেষ ভাবেই এটার দিকে নজর দেই। ক্যাম্পেইন এবং ক্যাম্পেইনের সময় বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য।
১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১লা মার্চ পর্যন্ত আমরা প্রথম ডোজের টিকা দিতে পেরেছি দুই কোটি ৩২ লাখ মানুষকে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিয়েছে এক কোটি সাত লাখ মানুষকে এবং বুস্টার দিয়েছে ১০ লাখ মানুষকে। এই কয়েকদিনে আমরা ৩ কোটি ৪৯ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আসতে পেরেছি বিভিন্ন ডোজে। ২৬ তারিখে ছিলো ৮ লাখ এবং বুস্টার মিলিয়ে এককোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয় বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত মোট টিকা পেয়েছি ২৯ কোটি ৬৪ লাখ।
এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ দিয়েছি ১২ কোটি ৪৭ লাখ মানুষকে। দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছে ৮ কোটি ৪৮ লাখ মানুষকে এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৩৯ লাখ মানুষ। স্কুলের ১ কোটি ৬৯ লাখ শিক্ষার্থীও পেয়েছেন বুস্টারের টিকা। প্রথম দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেয়া চলমান থাকবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ঐদিন আমরা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অনেক মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় এনেছি। তারপরও কেউ যদি বাদ পড়ে থাকেন, তারা আমাদের স্থায়ী কেন্দ্রে এসে টিকা নিতে পারবেন। এটা রেজিস্ট্রেশন করেও নিতে পারবেন, যদি রেজিস্ট্রেশন না থাকেন তিনি কার্ডের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
বিশেষ কয়েকটি এলাকা সাভার, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এসব জায়গায় শিল্প কারখানা বেশি এবং অনেক মানুষ আমাদের টিকার আওতার বাইরে ছিলেন বলে জানান শাসসুল হক। তিনি বলেন, তাদের জন্য টিকাদান কার্যক্রম স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে এই কার্যক্রম তারা আরেকটু বৃদ্ধি করতে পারবেন। এই সুযোগ তাদের দেয়া হয়েছে।




