চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় মের্সাস পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজ এর কর্ণধার মুন্সিরহাট ইউনিয়ন এর আওয়ামী লীগ নেতা ঠিকাদার সুমন পাটোয়ারীর প্রকল্প দূর্নীতিতে অতিষ্ঠ ইউনিয়নের পারুয়ারা গ্রামবাসী।
স্থানীয়রা এ প্রতিবেদককে জানান, মনগড়াভাবে নিজের ইচ্ছে মতো করে যাচ্ছে রোডের কাজ। তিন নাম্বার ইট ও সম্পূর্ণ দুই নাম্বার উপকরণ দিয়ে করে যাচ্ছে সড়কের কাজ। স্থানীয়রা বাধা দিলে উল্টো দিচ্ছে প্রশাসনের ভয়।
স্থানীয়দের দাবী ঠিকাদার সুমন পাটোয়ারীর খুটির জোর কোথায়?
সুত্রে জানা যায়, এলজিআরডি অধিদপ্তর এর ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার একটি গ্রাম্য সড়ক নির্মাণে ইট বালি কংক্রিট কালবার্ট সহ নানান স্থাপনা ইতিমধ্যেই খসে পড়ছে।কাশিনগর বাজার পাশ্ববর্তী যাত্রাপুর থেকে শুরু হওয়া নির্মাণাধীন সড়কটি প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত এসে শরীফপুর গ্রাম্য সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কাজের ধীর গতি বালির জায়গায় মাটির ব্যবহার সহ নিন্মমানের ইট কংক্রিটে ও ব্যাপক দূর্নীতি করে।
বিগত ৫ আগষ্টের আগে গ্রামের কোন মানুষের কথাকে নূন্যতম কর্নপাত না করে সুমন পাটোয়ারী বিভিন্ন পর্যায়ের অনিয়ম করে কাজ চালিয়ে গেছেন। কিন্তু ৫ আগষ্ট এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সূত্র ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এর পরপরই গ্রামের ছাত্র জনতা উক্ত সড়ক নির্মাণ এর অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে সরাসরি কথা বলা শুরু করলে ঠিকাদার সুমন পাটোয়ারী উক্ত প্রকল্পের চলমান কাজ ফেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এখন আবারও বিভিন্ন লোকজন পাঠিয়ে উক্ত সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করতে গেলে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। তারই ধারাবাহিকতা গত ৩০ অক্টোবর বুধবার পারুয়ারা গ্রামের সর্বসাধারণ উক্ত সড়ক নির্মাণ কাজের ব্যপক অনিয়ম দূর্নীতির দৃশ্য সরাসরি স্থানীয় সাংবাদিকদের পরিদর্শন করান।
এসময় গ্রামবাসী উক্ত সড়ক নির্মাণ কাজের দৃশ্যটি সরাসরি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা এলজিআরডি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে পরিদর্শন করার আহবান রেখে উক্ত সড়ক নির্মাণ কাজে কোন প্রকার দূর্নীতি অনিয়ম ছাড়াই সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের মাধ্যমে উপজেলা এলজিআরডি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর এর সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নির্মাণাধীন সড়ক এর বেহাল দশা নিয়ে আলাপ করার একাধিক চেষ্টা করে ও সুমন পাটোয়ারীকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
গ্রামবাসীর ঐক্যবদ্ধ দাবির বিষয়টি তদন্ত সাক্ষেপ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা এলজিআরডি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান।




