নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রুথ কমিশনে দুর্নীতির দায় স্বীকার করা ও কালুরঘাট সড়ক প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের দায়ে চাজশিটভূক্ত আসামী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন সামস এর দখলে ৮টি পদ পদবীর দায়িত্ব দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ। তার মধ্যে বর্তমানে ৫টি আর পদাধিকার বলে ৩টি দায়িত্ব রয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৬ জুন)বিকালে গণপুর্ত মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব( প্রশাসন অনুবিভাগ-২ শাকিলা জেরিন আহমেদ বদলী সংক্রান্ত নথিটি চুড়ান্ত অনুমোদন প্রধান করেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস এর স্থলে সিলেট গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) ওম প্রকাশ নন্দীকে প্রেষণে চউকের প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে পদায়ন করা হয়।

সুত্রে জানা গেছে, সর্ব কাজের কাজী হাসান বিন শামস পদে বহাল থাকার জন্য জনৈক প্রভাবশালী মন্ত্রীর কাছে বদলী রোধে ধর্ণা দেওয়াসহ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিবকে ব্যবহার করছে। সিডিএর এই ওয়ানম্যান শো-এর বদলীর খবরে সৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আনন্দে মাতোয়ারা।

তার সমসাময়িক আরো বেশ কয়জন দক্ষ প্রকৌশলী থাকা সত্বেও কেন কর্তৃপক্ষ তাকে এতগুলো পদে আসীন করেছে তা বোধগম্য নয়। এমনিতেই চউকে লোকবল সংকট প্রকট। অলস বসে থাকা প্রকৌশলীদের এ দায়িত্বগুলো বন্টন করে দিলে সেবাগ্রহীতারা সঠিক সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারতো। এছাড়াও ওই কর্মকর্তা মাসে গড়ে ১৫ কার্যদিবস অফিসে অনুপস্থিত থাকে। মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন সভায় তাকে উপস্থিত থাকতে হয়। ফলে সেবাগ্রহীতারা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তার দখলে থাকা আটটি দায়িত্ব হলো- নির্বাহী প্রকৌশলী (এটি তার মুল পদ), পিডি, চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড; তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-১ ( চলতি দায়িত্ব); প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ; প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ( ভারপ্রাপ্ত); পদাধিকার বলে নগর উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব, পদাধিকার বলে বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন কমিটির চেয়ারম্যান,পদাধিকার বলে ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান। সবগুলো পদ সাংঘর্ষিক।

আর্থিক সংক্রান্ত ও নকশা অনুমোদন, ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র অনুমোদন, নগর উন্নয়ন কমিঠির ছাড়পত্র অনুমোদন ও বিশেষ প্রকল্পের ছাড়পত্র অনুমোদন সংক্রান্ত বিভিন্ন্ গোঁজামিল নথি অনুমোদনে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য এখানে হয়ে থাকে। বিশেষকরে “বাইন্যা সিন্ডিকেটের” অনুমোদিত ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র, অনুমোদিত নকশা, নগর উন্নয়ন কমিটির ছাড়পত্র ও বিশেষ প্রকল্পে ছাড়পত্র পযার্লোচনা করলে কি পরিমান ঘুষ-দুর্নীতি হয়েছে তা বের হয়ে আসবে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিধি অনুযায়ী একই ব্যক্তি আটটা পদে দায়িত্ব পালন করতে পারে না। তার মধ্যে নগর উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এবং ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান থাকা আইনগতভাবে সাংঘর্ষিক। আইনগতভাবে সাংঘর্ষিক থাকার পরও গৃহায়ণ গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে।

এক কর্মকর্তার এতোগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকায় গ্রাহক সেবায় সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরণের জটিলতা। সরকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টের কাজ নিয়ে সাধারণ নাগরিকের মাঝে চরম দুর্ভোগ বাড়ছে, বাড়ছে অসন্তোষ ও ক্ষোভ। একই ব্যক্তির কাছে এতোগুলো পদের দায়িত্ব থাকাতে একক ক্ষমতা দেখিয়ে দুর্নীতি করে যাচ্ছে বলে সেবা গ্রহীতারা মনে করেন।

জানা যায়, কাজী হাসান বিন শামস চউকের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় তিনি অক্সিজেন-কুয়াইশ-বুড়িশ্চর সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ওই প্রকল্পে কাজ না করেই বিপুল অঙ্কের বিল উত্তোলনসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অন্তত ১৬টি মামলা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এমন মামলার আসামি তিনি নিজেও।

সূত্র জানায়, ট্রুথ কমিশনে দায় স্বীকার ও মামলার কারণে অনেকের মতো কাজী হাসানেরও আর নিয়মিত পদোন্নতি হয়নি। তবে কাগজে-কলমে পদোন্নতি না হলেও প্রকৌশল ও পরিকল্পনা বিভাগের সর্বোচ্চ পদসহ অন্তত ৮টি পদ তিনি একাই দখল করে আছেন। তাকে চউক কর্তৃপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব), প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে। একইভাবে তিনি বর্তমানে সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের পরিচালক (পিডি)। ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইল) অনুযায়ী ওই প্রকল্পে ফুলটাইম বা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের কথা তার। সেখান থেকে তিনি ৪০ শতাংশ ভাতাও পান। বড় প্রকল্পে পরিচালক সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন না করলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায় না। একাধিক দায়িত্ব থাকলে কাজের বিঘ্ন ঘটে। আড়াই হাজার কোটি টাকার রিং রোড প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৪-এ এসেও তা শেষ হয়নি। প্রকল্পভুক্ত দুই ফিডার রোডের কাজ এখনো ঝুলে আছে।

সিডিএতে সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ব্যাক্তি বলেন, যদি তিনি দুর্নীতি না করতো তাহলে ট্রুথ কমিশনে দুর্নীতির দায়ে চাজশিটভূক্ত আসামী কি করে হলেন ?

নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রুথ কমিশনে দুর্নীতির দায় স্বীকার করা ও কালুরঘাট সড়ক প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের দায়ে চাজশিটভূক্ত আসামী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন সামস এর দখলে ৮টি পদ পদবীর দায়িত্ব দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ। তার মধ্যে বর্তমানে ৫টি আর পদাধিকার বলে ৩টি দায়িত্ব রয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৬ জুন)বিকালে গণপুর্ত মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব( প্রশাসন অনুবিভাগ-২ শাকিলা জেরিন আহমেদ বদলী সংক্রান্ত নথিটি চুড়ান্ত অনুমোদন প্রধান করেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস এর স্থলে সিলেট গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) ওম প্রকাশ নন্দীকে প্রেষণে চউকের প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে পদায়ন করা হয়।

সুত্রে জানা গেছে, সর্ব কাজের কাজী হাসান বিন শামস পদে বহাল থাকার জন্য জনৈক প্রভাবশালী মন্ত্রীর কাছে বদলী রোধে ধর্ণা দেওয়াসহ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিবকে ব্যবহার করছে। সিডিএর এই ওয়ানম্যান শো-এর বদলীর খবরে সৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আনন্দে মাতোয়ারা।

তার সমসাময়িক আরো বেশ কয়জন দক্ষ প্রকৌশলী থাকা সত্বেও কেন কর্তৃপক্ষ তাকে এতগুলো পদে আসীন করেছে তা বোধগম্য নয়। এমনিতেই চউকে লোকবল সংকট প্রকট। অলস বসে থাকা প্রকৌশলীদের এ দায়িত্বগুলো বন্টন করে দিলে সেবাগ্রহীতারা সঠিক সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারতো। এছাড়াও ওই কর্মকর্তা মাসে গড়ে ১৫ কার্যদিবস অফিসে অনুপস্থিত থাকে। মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন সভায় তাকে উপস্থিত থাকতে হয়। ফলে সেবাগ্রহীতারা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তার দখলে থাকা আটটি দায়িত্ব হলো- নির্বাহী প্রকৌশলী (এটি তার মুল পদ), পিডি, চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড; তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-১ ( চলতি দায়িত্ব); প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ; প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ( ভারপ্রাপ্ত); পদাধিকার বলে নগর উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব, পদাধিকার বলে বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন কমিটির চেয়ারম্যান,পদাধিকার বলে ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান। সবগুলো পদ সাংঘর্ষিক।

আর্থিক সংক্রান্ত ও নকশা অনুমোদন, ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র অনুমোদন, নগর উন্নয়ন কমিঠির ছাড়পত্র অনুমোদন ও বিশেষ প্রকল্পের ছাড়পত্র অনুমোদন সংক্রান্ত বিভিন্ন্ গোঁজামিল নথি অনুমোদনে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য এখানে হয়ে থাকে। বিশেষকরে “বাইন্যা সিন্ডিকেটের” অনুমোদিত ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র, অনুমোদিত নকশা, নগর উন্নয়ন কমিটির ছাড়পত্র ও বিশেষ প্রকল্পে ছাড়পত্র পযার্লোচনা করলে কি পরিমান ঘুষ-দুর্নীতি হয়েছে তা বের হয়ে আসবে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিধি অনুযায়ী একই ব্যক্তি আটটা পদে দায়িত্ব পালন করতে পারে না। তার মধ্যে নগর উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এবং ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান থাকা আইনগতভাবে সাংঘর্ষিক। আইনগতভাবে সাংঘর্ষিক থাকার পরও গৃহায়ণ গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে।

এক কর্মকর্তার এতোগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকায় গ্রাহক সেবায় সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরণের জটিলতা। সরকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টের কাজ নিয়ে সাধারণ নাগরিকের মাঝে চরম দুর্ভোগ বাড়ছে, বাড়ছে অসন্তোষ ও ক্ষোভ। একই ব্যক্তির কাছে এতোগুলো পদের দায়িত্ব থাকাতে একক ক্ষমতা দেখিয়ে দুর্নীতি করে যাচ্ছে বলে সেবা গ্রহীতারা মনে করেন।

জানা যায়, কাজী হাসান বিন শামস চউকের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় তিনি অক্সিজেন-কুয়াইশ-বুড়িশ্চর সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ওই প্রকল্পে কাজ না করেই বিপুল অঙ্কের বিল উত্তোলনসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অন্তত ১৬টি মামলা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এমন মামলার আসামি তিনি নিজেও।

সূত্র জানায়, ট্রুথ কমিশনে দায় স্বীকার ও মামলার কারণে অনেকের মতো কাজী হাসানেরও আর নিয়মিত পদোন্নতি হয়নি। তবে কাগজে-কলমে পদোন্নতি না হলেও প্রকৌশল ও পরিকল্পনা বিভাগের সর্বোচ্চ পদসহ অন্তত ৮টি পদ তিনি একাই দখল করে আছেন। তাকে চউক কর্তৃপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব), প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে। একইভাবে তিনি বর্তমানে সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের পরিচালক (পিডি)। ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইল) অনুযায়ী ওই প্রকল্পে ফুলটাইম বা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের কথা তার। সেখান থেকে তিনি ৪০ শতাংশ ভাতাও পান। বড় প্রকল্পে পরিচালক সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন না করলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায় না। একাধিক দায়িত্ব থাকলে কাজের বিঘ্ন ঘটে। আড়াই হাজার কোটি টাকার রিং রোড প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৪-এ এসেও তা শেষ হয়নি। প্রকল্পভুক্ত দুই ফিডার রোডের কাজ এখনো ঝুলে আছে।

সিডিএতে সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ব্যাক্তি বলেন, যদি তিনি দুর্নীতি না করতো তাহলে ট্রুথ কমিশনে দুর্নীতির দায়ে চাজশিটভূক্ত আসামী কি করে হলেন ?