কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে উঠা ফিশ ফ্রাইয়ের (ভাজা মাছ) কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কক্সবাজার জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ সময় চারটি ভাজা মাছের দোকানে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
অভিযোগ ওঠে, দোকানগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা পঁচা-বাসি মাছের ফিস ফ্রাই খাওয়ানো হচ্ছে পর্যটকদের।
কয়েক সপ্তাহ আগের পুরা তেলে সেগুলো ভাজা হচ্ছিল।
গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া চারটি ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা সহ সিলগালাও করে দেওয়া হয়।
পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের দায়ে চারটি ভ্রাম্যমাণ দোকানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া দোকানগুলো সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সবগুলো ফিশ ফ্রাই দোকান আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যদি সামনে ঠিক মানের প্রমাণ দিতে পারে, তাহলে পুনরায় চালু করার অনুমতি দেওয়া হবে দোকান গুলো।
কক্সবাজারের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, সবগুলো ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পঁচা-বাসি মাছ ভাজা হচ্ছিল। এছাড়া সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে সেগুলো পুরা খাবার অনুপযুক্ত তেলে ভাজা হয়। দোকানগুলোতে খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
তিনি আরও বলেন, এসব খাবার খাওয়ার ফলে মানবদেহে গ্যাস্টিকসহ মরণঘাতী রোগ ক্যান্সার হতে পারে।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, সুগন্ধা পয়েন্টসহ সৈকতের কয়েকটি স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভাজা মাছ ও কাঁকড়া বিক্রি হচ্ছে। এসব খেয়ে প্রতিনিয়ত পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
অভিযোগ আছে, বাজার থেকে কমমূল্যে পচা মাছ কিনে এনে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা ভ্যানে করে পর্যটকদের কাছে ভাজা মাছ ও কাঁকড়া বিক্রি করে। এমনকি পর্যটকদের কাছ থেকে চড়া দাম রাখা হয়। এসব বন্ধ করা না গেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে পর্যটক সহ স্থানীয়রা।




