পেকুয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানায় করাতকলের প্রতিযোগিতা চলছে।একের পর এক করাতকল বসানোর হিড়িক পড়েছে পেকুয়ায়। বনভূমি ধ্বংস করে বনের গাছ গিলে খাচ্ছে অন্তত ২৫টি অবৈধ করাতকল। এতে করে পরিবেশ বিপর্যয়সহ ধ্বংস হচ্ছে সংরক্ষিত বনভূমি। সম্প্রতি বনভূমি ধ্বংসের প্রতিযোগিতায় নেমেছে কিছু অসাধু গাছ ব্যবসায়ী। গাছ ব্যবসার পাশাপাশি চলছে করাতকল বসানোর প্রতিযোগিতা। এসব করাতকলের মালিক সবাই গাছ ব্যবসায়ী।
কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় একটি উপজেলা নাম পেকুয়া। এতে রয়েছে সামুদ্রিক আবহাওয়ার বিচরণ, রয়েছে পাহাড় আর প্রাকৃতিক বন। সাগরের লবণাক্ত আবহাওয়া এখানকার মানুষকে যেমন তেজোদ্দীপ্ত করে, তেমনি সবুজ বনাঞ্চলের বিশুদ্ধ অক্সিজেন মানুষের মনে আনয়ন করে শীতলতা। এ দুই ভিন্ন আবহাওয়া যোগান দেয় এ জনপদের বাসিন্দাদের অন্ন। ঘুরায় অর্থনীতির চাকা।
May be an image of outdoors, tree and text that says "REDMI NOTE 9 AI QUAD CAMERA"
খবর নিয়ে জানা গেছে, এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে লবণ উৎপাদন, চিংড়ি চাষ ও ধান উৎপাদনে নির্ভরশীল হলেও পরোক্ষভাবে বনাঞ্চলের প্রতি নির্ভরতা কারো কম নয়। সাড়ে এগারো হাজার একর বনভূমি যোগান দেয় উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের জ্বালানি কাঠ, মৌসুমি ফল ও নির্মল অক্সিজেনের। আদিকাল থেকে বংশ পরম্পরায় এসব বনভূমির উপযোগিতা ভোগ করে আসছে এ জনপদের বাসিন্দারা। তবে পেকুয়া উপজেলা সৃষ্টির পর থেকে এসব বনভূমির উপর লোলুপ দৃষ্টি দেয় স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী। তাদের ইশারায় পাচারকৃত গাছ যাচ্ছে করাতকলের কবলে। ফলে উজাড় হতে শুরু করেছে সংরক্ষিত বনভূমি।
স্থানীয় পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, সংরক্ষিত বনভূমিতে গড়ে উঠছে বিশাল বিশাল দালান। রাতারাতি স্থাপিত হচ্ছে বসতি। তাছাড়া সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চালানো হচ্ছে ২৫টি অবৈধ করাতকল। তাই কাউকে পরোয়া না করে এসব করাতকলে স্থান পাচ্ছে সংরক্ষিত বনভূমি থেকে চুরি করে কেটে আনা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এতে উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কমে আসছে সেগুন, গর্জনসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ। চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত সামাজিক বনায়নের বৃক্ষ।
May be an image of 1 person, outdoors, tree and text that says "REDMI NOTE 9 AI QUAD CAMERA"
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বন রক্ষায় আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পূর্বের তুলনায় অবৈধ গাছ পাচার অনেকটা আয়ত্বে এসেছে । তবে জনবল সংকটসহ বিবিধ কারণে গাছ চোর ও বনভূমি দখলদারদের নির্মূলে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া অবৈধ করাতকলের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছ। শীঘ্রই অবৈধ করাতকলগুলো উচ্ছেদ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বন কর্মকর্তা জানান, বনভূমি আমাদের সম্পদ। কাজেই এ সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। খুব শীঘ্রই বনবিভাগের সমন্বয়ে বনভূমির অবৈধ দখলদার ও অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, পেকুয়া সদরে ১২টি,বারবাকিয়ায় ৪টি,শিলখালীতে ২টি,টইটংয়ে ৪টি ও রাজাখালীতে ৩টি অবৈধ করাতকল বসানো হয়েছে। এসব করাতকলে শোভা পেয়েছে বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এসব করাতকলে গাছ চিরাই করে বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করছে।
পেকুয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানায় করাতকলের প্রতিযোগিতা চলছে।একের পর এক করাতকল বসানোর হিড়িক পড়েছে পেকুয়ায়। বনভূমি ধ্বংস করে বনের গাছ গিলে খাচ্ছে অন্তত ২৫টি অবৈধ করাতকল। এতে করে পরিবেশ বিপর্যয়সহ ধ্বংস হচ্ছে সংরক্ষিত বনভূমি। সম্প্রতি বনভূমি ধ্বংসের প্রতিযোগিতায় নেমেছে কিছু অসাধু গাছ ব্যবসায়ী। গাছ ব্যবসার পাশাপাশি চলছে করাতকল বসানোর প্রতিযোগিতা। এসব করাতকলের মালিক সবাই গাছ ব্যবসায়ী।
কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় একটি উপজেলা নাম পেকুয়া। এতে রয়েছে সামুদ্রিক আবহাওয়ার বিচরণ, রয়েছে পাহাড় আর প্রাকৃতিক বন। সাগরের লবণাক্ত আবহাওয়া এখানকার মানুষকে যেমন তেজোদ্দীপ্ত করে, তেমনি সবুজ বনাঞ্চলের বিশুদ্ধ অক্সিজেন মানুষের মনে আনয়ন করে শীতলতা। এ দুই ভিন্ন আবহাওয়া যোগান দেয় এ জনপদের বাসিন্দাদের অন্ন। ঘুরায় অর্থনীতির চাকা।
May be an image of outdoors, tree and text that says "REDMI NOTE 9 AI QUAD CAMERA"
খবর নিয়ে জানা গেছে, এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে লবণ উৎপাদন, চিংড়ি চাষ ও ধান উৎপাদনে নির্ভরশীল হলেও পরোক্ষভাবে বনাঞ্চলের প্রতি নির্ভরতা কারো কম নয়। সাড়ে এগারো হাজার একর বনভূমি যোগান দেয় উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের জ্বালানি কাঠ, মৌসুমি ফল ও নির্মল অক্সিজেনের। আদিকাল থেকে বংশ পরম্পরায় এসব বনভূমির উপযোগিতা ভোগ করে আসছে এ জনপদের বাসিন্দারা। তবে পেকুয়া উপজেলা সৃষ্টির পর থেকে এসব বনভূমির উপর লোলুপ দৃষ্টি দেয় স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী। তাদের ইশারায় পাচারকৃত গাছ যাচ্ছে করাতকলের কবলে। ফলে উজাড় হতে শুরু করেছে সংরক্ষিত বনভূমি।
স্থানীয় পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, সংরক্ষিত বনভূমিতে গড়ে উঠছে বিশাল বিশাল দালান। রাতারাতি স্থাপিত হচ্ছে বসতি। তাছাড়া সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চালানো হচ্ছে ২৫টি অবৈধ করাতকল। তাই কাউকে পরোয়া না করে এসব করাতকলে স্থান পাচ্ছে সংরক্ষিত বনভূমি থেকে চুরি করে কেটে আনা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এতে উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কমে আসছে সেগুন, গর্জনসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ। চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত সামাজিক বনায়নের বৃক্ষ।
May be an image of 1 person, outdoors, tree and text that says "REDMI NOTE 9 AI QUAD CAMERA"
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বন রক্ষায় আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পূর্বের তুলনায় অবৈধ গাছ পাচার অনেকটা আয়ত্বে এসেছে । তবে জনবল সংকটসহ বিবিধ কারণে গাছ চোর ও বনভূমি দখলদারদের নির্মূলে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া অবৈধ করাতকলের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছ। শীঘ্রই অবৈধ করাতকলগুলো উচ্ছেদ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বন কর্মকর্তা জানান, বনভূমি আমাদের সম্পদ। কাজেই এ সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। খুব শীঘ্রই বনবিভাগের সমন্বয়ে বনভূমির অবৈধ দখলদার ও অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, পেকুয়া সদরে ১২টি,বারবাকিয়ায় ৪টি,শিলখালীতে ২টি,টইটংয়ে ৪টি ও রাজাখালীতে ৩টি অবৈধ করাতকল বসানো হয়েছে। এসব করাতকলে শোভা পেয়েছে বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এসব করাতকলে গাছ চিরাই করে বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করছে।