মোস্তফা কামাল পাশা : দেশে পাতি কাক বেশি না অনলাইন পোর্টাল/টিভি বেশি? প্রশ্নটা আমি বা আপনি যে কোন আহাম্মক করতেই পারে! সরি, বাক্যটা শুধরে দিচ্ছি। আপনি নন আমার মতো আহম্মকই হবে। যা বলছিলাম, প্রশ্নটা কোন আহাম্মক যদি করে বসে, আপনি নিশ্চয়ই ভড়কাবেন। কারণ, আপনি বাদশাহ আকবরের নবরত্ন সভার রসের হাড়ি মোল্লা দো পেয়াজা নন!
বাদশাহর রসিক প্রশ্নের জবাবে চট জলদি বলে দিবেন, দিল্লিতে এখন কাকের সংখ্যা ৯৯,৯৯৯ টি বাদশাহ নামদার। আর পোর্টাল/টিভি! না, জনাব ওই বস্তুর নাম বাদশাহ আকবর কখনো শুনেননি। যেমন তিনি এতগুলো টিভি চ্যানেলের রিমোট কন্ট্রোল টিপাটিপিও জানতেননা। ওনার বেগম সাহেবাও না। কী করেইবা জানবেন! ওনি চড়তেন হাতির হাওদায়। গিন্নিও তাই। বিশাল হাতির পিঠে মখমলের হাওদা সাজিয়ে আরাম করে বসে সামনে-পিছে সিপাই-মনসবদার, সেনাপতি নিয়ে শিকার বা যুদ্ধে যেতেন।
শরীর চাঙ্গা রাখতে তাগড়া শাহী ঘোড়া চেপে ভোরে কয়েক চক্কর দৌড়ও নিত্য রুটিন। ল্যান্ড ক্রূজার, ভলবো,মার্সিডিজ বেন্জ জিপ, রোল রয়েস, বিলাসবহুল আলিশান লিমুজিন, ল্যাম্বারগিনিসহ হরেক নামের গাড়ির নামও তাঁর সাত জনমে শোনা হয়নি! চড়াতো স্বপ্নই! বাদ দেন অত্তোসব বড় বড় কথা! আপনি আমি সুইচ টিপে বাতি জ্বালাই-নিভাই। গরমে গা খুলে পাখার বাতাস খাই। গাড়ি/ বাড়ি/ আপিসে ভাগ্যবানরা এ/সি’র শীতল খুশবুদার হাওয়া বাড়ান-কমান রিমোট বা চিপস চিপে। বাদশাহ আকবর বেডাকে পাংখাওয়ালির ইয়াবড় নক্সাদার কাপড়ের পাংখার বাতাসেই খুশি থাকতে হয়েছে। দেখুননা, দুনিয়ার সেরা ক্ষমতাধর বাদশাহ হয়েও তিনি আসলে আমাদের তুলনায় কতো বেচারা!
ধ্যাৎতেরিকা! গাধা আস্ত! না না আপনি না, আমি জনাব। হাত ধুতে বসে ভুলে পতলুন ধোয়া শুরু করেছি! শুকাবো যে কোথায়! বলছিলাম অনলাইন পোর্টাল/টিভি। মোল্লাজি কাকের হিসাব উপস্থিত বুদ্ধিতে সামলালেও আল্লাহ এতদিন হায়াত দারাজ করলে পোর্টাল/টিভির হিসাব পারতেন না। একদম গ্যারান্টি-ওয়ারেন্টি কার্ড ধরিয়ে দিতে পারি, আপনাকে! জাকারবার্গের ফেসবুক যন্ত্রণায় এমনিতে বাঙালি জীবন অতিষ্ঠ। ফেসবুকিং কান্ডে বিএনপি/ঐক্যফ্রন্ট/জামাত তথা বিরোধী জোট আন্দোলনও জমাতে পারছেনা। জমার আগেই চ্যাটিং-ডেটিং, ইনবক্সিং, ক্লিপিংয়ে চটকে যায় বার বার! এর মাঝে ফাঁক বুঝে নাক পুরোই ঢুকিয়ে দিয়েছে অনলাইন পোর্টাল/টিভি।
মূল বাহন ফেসবুক, ইউটিউব। ‘মুখ কিতাবে’র ঘাড়ে চড়ে আরামছে ঘুরে বেড়ায় অনলাইন/ টিভি। খরচপাতি খুব কম। মাত্তর হাজার আড়াই টাকায় ডোমেইন/হোষ্টিং বেপারি ও প্রোগ্রামাররা অনলাইন পোর্টাল/ টিভি একলগে বানানোর বিজ্ঞাপন ছাড়ছে। কাজের বুয়ারাও এই খরচে আরামছে পোর্টাল/ টিভি যমজ মিডিয়ার মালিক/ সম্পাদক হতে পারবেন। কিছু ফুটপাতের সস্তা সামানা ও কয়েকজন চতুর বকাবাজ ক্যানভাসার মিলেই বুয়া টিভি হয়ে গেল মাশাল্লাহ হিট টিভি! আম পাবলিক বুয়ার মালকে টিভি চ্যানেল ভেবে অনেক সময় আচ্ছামতো ধোকাও খায়। সংখ্যাটা দিন দিন বিশাল হচ্ছে। কাঁধে স্ট্রাইপ, লোগো লাগানো ইয়াবড়া ভিডিও ক্যামেরা, “হাতে বুম” নিয়ে জবরজং একেক জন ক্রূ! ছাড়ছে লাইভ নিউজ এর দোকানের, ওর বেলকনির, কারো বা বৈঠকখানার, কারো হেঁসেলের টাটকা সব রগরগে মাল! গরমা-গরম ফুলকো লুচি! স্ক্যাম, স্ক্যান্ডাল, কেচ্ছা-কাহানি ! আরো কত্তোসব।
শুদ্ধ বাংলার চে’ আবার আঞ্চলিক ভাষা উপভাষায় আসক্তি দারুণ! এসব নাকি ব্রান্ডিং! তো অনলাইন টিভি গোনা যাবেনা। কীভাবে! আপনি কী সর্ষে দানা গুনতে পারবেন? চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা এই অঞ্চলের ৯০% ঘরে এখন চর্চাই হয়না। কিন্তু বুয়া টিভিতে বড় বড় জন প্রতিনিধি, এমপি, নেতা, মেয়র, মন্ত্রীর আঞ্চলিক ভাষার লাইভ সাক্ষাৎকার/ ভাষন প্রচার হচ্ছে, হরদম! এদের কারো কারো নাকি লাখ লাখ দর্শক/সাবস্ক্রাইবারও। কেরামতির টিপস যারা জানেন, তারা মুখ টিপে মুচকি হাসি ঝাড়েন। কারণ একই কেরামতি ব্যবহার করে ওনারাও ফে’ বু সেলিব্রিটি!
আর অনলাইন পোর্টাল। উন্নত দেশগুলোতে মূলধারার সংবাদ মাধ্যমকে ল্যাং মেরে দারুণ ব্যবসা করছে ভাল পোর্টালগুলো। ভারতে তেহেলকা ডট কম’তো পুরোই ফাটিয়ে দিয়েছিল! দুঃখিত, ‘ছিল’ লিখতে হচ্ছে বলে। এ্যন্টি এষ্টাবলিষ্টমেন্ট লাইনে অনড় থাকায় তেহেলকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তরুণ তেজপালকে চরম মূল্য শুধতে হয়েছে। পেশাগত সূত্রে তিনি বন্ধু মানুষ। তেহেলকার উল্কা ঝলক নয়া শতকের শুরুতে। সম্ভবত ২০০৮/০৯ সালে। তেহেলকা আরো বড় হয়েছে, ডালপালা বেড়েছে। কিন্তু শুরুর স্বাদ-গন্ধে নয়, অন্য স্বাদ ও ব্যবস্থাপনায়।
তেহেলকার প্রভাব নিজকেও আচ্ছন্ন করে। ‘১১ সালে নিজের নিউজ এজেন্সি ইপিবি’র ব্যানারে ‘ইপিবি নিউজ ক্লাব’ নামে বাংলা-ইংরেজি দ্বিভাষিক একদম অন্য ধারা, আঙ্গিক ও মাত্রার নিউজ পোর্টালের পরীক্ষামূলক পরিবেশনা শুরু করি। নাম নির্বাচন করেন প্রয়াত সহকর্মি, প্রিয়জন, শুদ্ধ সাংবাদিক সিদ্দিক আহমেদ। ওনার সাথে আত্মিক ও পেশাগত টান ছিল প্রায় সার্বক্ষণিক। সম্ভবত আমাদেরটাই দেশের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দ্বিভাষিক নিউজ পোর্টাল। রুচি-আঙ্গিক ও পরিবেশনা শৈলীতে অবশ্যই প্রথম। ছোট পুঁজি। ডোমেইন হোষ্টিংস, ডিজাইন, কারিগরি সেবা কেনার সাথে এক্সপার্ট পুষতে জান জেরবার। আয় শূন্য; তুলনায় ব্যায় বিশাল। আবার নিজকে চব্বিশ ঘন্টা শান দেয়ার মত নিউজ হ্যান্ড যোগাড়, অসম্ভব এক মিশন! অবশ্য, ভয়ঙ্কর রোখ চাপে। হারজিৎ এর ধার ধারিনা। দম যতক্ষণ, পেশার ভাংচুরও ততক্ষণ চলছেই। ভাঙচুর করে চালিয়ে নিই আরো দু’বছর। দফায় দফায় হ্যাকার কবলিত হয়ে সব উৎপাদন গায়েব বহুবার। পোর্টালের নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র করাও বিশাল খরচের ধাক্কা। অবশ্য এখন অনেক কম খরচে সম্ভব।
জেদ আরো বাড়ে। ২০১৩ সালে হঠাৎ কয়েক সহযোগী পেয়ে যাই। পুরো প্রকল্পে বিনিয়োগে রাজি তারা ত্রিরত্ন! অফিস নেন, ভিআইপি টাওয়ারের প্রথম লেভেলে। মূল অফিস এবং আলাদা ওয়র্ক ষ্টেশন। চট্টগ্রাম ‘ভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাধব দীপ, সাংবাদিক বন্ধু শামসুদ্দিন হারুনকে নিয়ে নিউজ হ্যান্ড বাছাই কমিটি করে প্রায় দু’শ প্রার্থীর মাঝে সাত জনকে ছেঁকে এনে একটা টিম গড়ি। বেশির ভাগ ভাসিটির সাংবাদিকতা ও ইংরেজি বিভাগের মেধাবী তরুন । ইন হাউস সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষন শেষে তাদের কিছু বিশেষায়িত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের রসদ যোগাড়ে মাঠে নামাই।
নতুন সহকর্মিদের সব ধরনের লজিস্টিক সহযোগিতার পাশাপাশি অন্য পেশার কাভার দিই। কাজগুলো খুবই স্পর্শকাতর এবং বিপজ্জনক বলেই কাভার। বিস্ময়কর হলেও সত্য, মেয়ে ইন্টার্নরাই সবচে’ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ প্রথম বেছে নেন। জানিনা কেন, ওরা আমার নেতৃত্বের প্রতিও সাংঘাতিক মোহাবিবিষ্ট হয়ে পড়ে! কাভার তৈরিতে এনজিও ব্যাক্তিত্ব ক্যাব সহসভাপতি নাজের হোসাইন ভাই সর্বাত্মক সহযোগিতা দেন। বাছাইকরা কাজগুলোতে নেমেই প্রচুর বাধা টপকাতে হয় সহকর্মিদের। কয়েক ভিমরুল চাকের ‘নো-ম্যান্সল্যান্ড’ পর্যন্ত পৌঁছে যান তাঁরা। নিরাপত্তার বাড়তি ব্যবস্থাও নিতে হয়। কিন্তু মার্চ মাসের মাঝামাঝি অফিস চালু করে জুন শেষেই ধাক্কা! উদ্যোক্তাদের থলের বিড়াল মিঁউ শব্দে লাফিয়ে পড়ে ঘাড়ে। প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পুঁজি সরবরাহে অক্ষম! শুধু তাইনা, কয়েক এসিসহ সব প্রযুক্তি কেনা হয়েছে মাত্র ১৫% ডাউন পেমেন্টে! প্রচুর দায় চাপিয়ে দেয়া হয় দুর্বল কাঁধে! মহাসঙ্কট! তবুও দম হারাইনা। চট্টগ্রামের অত্যন্ত প্রভাবশালী তিন কাছের মানুষ কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠান চেয়ারম্যান ও পরিচালকের দায়িত্ব নেন। তাঁরা অফিস, সাইটের নমুনা আইটেমগুলো দেখে দারুণ মুগ্ধ। সংস্থার অবকাঠামো মেরামত করতে প্রচুর সময় খরচ হয়। কাফফারা দিতে হয়, বিশেষ কাজে মনোযোগ ঢিল দেয়ার!
অসম্ভবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নতুন উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে তহবিল নেয়ার মতো জমি তৈরি করার আগেই শুরুর উদ্যোক্তারা সব দায় ঘাড়ে চাপিয়ে গায়েব। সব দায় শোধ করে অক্টোবরে অফিস সরিয়ে নিই আন্দরকিল্লার নজির আহমদ চৌধুরী রোডের একটি ভবনের চারতলায়। ততদিনে অনুসন্ধানী আইটেম কবরে। ইন্টার্নরাও অনেকে সরে যান। চার জনের সেট নিয়ে ট্রায়াল কাজ চলতে থাকে। এক বছর পর অফিস বদলাই আবার। এবার নাসিরাবাদ পুলিশ সুপার অফিসের বিপরীতে মুস্তাফিজ ভিলায় ২৫০০ বর্গফুটের অভিজাত অফিস। আবার নতুন উদ্যোগ। সহকর্মি পেয়ে যাই সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ সিরাজ, রাশেদ মাহমুদের মত প্রাজ্ঞদের।
নয়া টিম তৈরিতে সহযোগিতা দেন চট্টগ্রাম ‘ভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আলী আজগর চৌধুরী, জাকারিয়া সাহেব ও তাঁদের কয়েক সহকর্মি। আবার শুরু! নতুন উদ্যম ও নতুন পুরানো কম্বিনেশন সেট নিয়ে। বিশাল খরচের অঙ্ক আট ডিজিটের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায়। সব টানতে হয় একক ঘাড়ে। চেয়ারম্যান সাহেব ও কয়েক বন্ধু সামান্য সহযোগিতা দেন। যা এক মাসের খরচওনা।
২০১৬ সালের মে পর্যন্ত টেনে দম শেষ। টানা পাঁচ বছরের লড়াইশেষে যুদ্ধ বিরতি। ইপিবি নিউজ ক্লাব আপাতত কোমায়! পঙ্গু সন্তান জন্ম দেয়ার চেয়ে ভাঁজা থাকা অনেক ভাল। ইন্টার্ণ সহকর্মি ও অফিস কর্মিদের টুকটাক কিছু থাকলে অজান্তে হতেও পারে। বাস্তবে কারো পাওনা বাকি রাখিনি। বেশ কয়েকজন অগ্রিম নিয়ে ফেরতও দেননি। ওসব নিয়ে কোন দুঃখ নেই। বরং সবার কাছে ঋণী থাকবো চিরদিন। উদগমের আগেই ওদের স্বপ্ন ভেঙে দেয়ার দায়তো নিজের। তো, ইপিবি নিউজ ক্লাব ঘুমুক! অবশ্য সরকারি নিবন্ধন আবেদন তালিকায় প্রথম বিশটির মাঝেই আছে এই পোর্টাল।
দু’ বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে (অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের অসুস্থতাজনিত কারণে) প্রশ্নোত্তর পর্বের একটি মন্তব্য প্রসঙ্গেই এতো ইতিহাস ভূগোল চর্চা। বাজেট সম্পর্কিত আর্কাইভ ঘাঁটাঘাঁটি করার সময় হঠাৎ করে ক্লিপটা ভেসে উঠে। সংবাদ সম্মেলনে শব্দ নিয়ন্ত্রণ অব্যাবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।কয়েক সংবাদ কর্মীর নিজকে জাহির করার প্রবনতা ছিল আরও বিরক্তিকর। যদিও এদিন কিছু মিডিয়া সম্পাদক / মালিক / সিইও’র ভাঁড়ামো দেখা যায়নি। রাইজিং বিডি ডট কম নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদ কর্মি লিখিত প্রশ্ন জমা দেন। নাম পড়েই প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, এগুলো কী রেজিষ্টার্ড? উত্তর আসে নেতিবাচক। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রশ্নটা সরিয়ে দিয়ে বলেন, আগে রেজিষ্টার্ড হোক, তারপর প্রশ্ন। এর আগে নতুন প্রকাশিত দৈনিক ”দেশ রূপান্তর’ সাংবাদিকের প্রশ্নেও পত্রিকাটি চিনতে না পেরে বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরো কত্তো পত্রিকা বের হবে? অবশ্য দেশ রূপান্তর এখন মানসম্মত দৈনিক।
আবার ফিরি অনলাইন পোর্টাল/ টিভি প্রসঙ্গে। মূলধারার কিছু জাতীয় দৈনিক ও সর্বোচ্চ ডজন দেড় মানসম্মত অনলাইন পোর্টাল বাদ দিলে সারাদেশে এখন ‘যেমন খুশি তেমন’ পোর্টাল/ টিভির বন্যা। পাড়া, মহল্লা, গ্রাম, ইউনিয়ন, থানা সবখানে। অবশ্য রেজিষ্ট্রেশন ফরম যাদের বাতিল হয়েছে, তারা গায়েব হচ্ছে ধীরে ধীরে। তবুও যার ইচ্ছে তিনিই বের করেই যাচ্ছেন । অনলাইন সাংবাদিকে ডুবে গেছে দেশ! হাজার হাজার সম্পাদক, লাখ-লাখ সাংবাদিক! এরা কারা! অনলাইন পোর্টাল/ টিভি কী কচুরিপানার জঙ্গল? সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ, তাৎক্ষণিক ও নিখুঁত সংবাদ পরিবেশনা মাধ্যমটিকে কেন এতো নিচে নামিয়ে আনা হচ্ছে? দায়টা কার? মুড়ি মুড়কির দোকানিও অনলাইন পোর্টাল বা অনলাইন টিভি সম্পাদক! বহু আবর্জনাও রেজিষ্ট্রেশন লাভের অনুমতি পেয়েছে, ভাল যোগাযোগ সুবাদে। বাঁচা মরার মালিক ভবিষ্যৎ! প্রশ্ন হচ্ছে, সাংবাদিকতার মত সবচে’ মর্যাদার পেশাটির আর কতো অবনমন দেখতে হবে?
পাহাড়ের উপর টংঘর
প্রথম শ্রেণির মিডিয়া সম্পাদক মানেই প্রতিষ্ঠান। তাঁর সম্মান-সম্মানী সচিবের বেশি। কিন্তু ‘অ-ক’ না জানা পান-বিড়ির দোকানী বা বাংলা বাক্যে এক গন্ডা ভুল লেখা জন বা বুয়াও যদি মিডিয়া বা পোর্টাল সম্পাদক পরিচয় দেয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটির হবে কী! এটা ছাগলের খোয়াড় হতে আর বাকি থাকে কী? আশা করি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এবং দায়িত্বশীল মিডিয়া কর্মিরা নিজদের পেশাগত মর্যাদার স্বার্থে কঠোর এবং সতর্ক হবেন।
লেখক: প্রয়াত মোস্তফা কামাল পাশা সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট