আদালত প্রতিবেদক: চাঞ্চল্যকর শিশু বর্ষা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অগ্রগতি রিপোর্ট তলবের জন্য  আজ মঙ্গলবার ০৭ বাদী/সংবাদদাতা পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ আবেদন করলে ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এর আদালত শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন।আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে পরবর্তী ধার্য্য তারিখের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত ২৪ অক্টোবর’২২ ইং জামাল খান এলাকায় ০৭ বছরের শিশু কন্যা বর্ষা নিখোঁজ ও পরবর্তীতে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত রিপোর্ট এখনও আদালতে আসেনি। তাই সংবাদদাতা পক্ষে মামলার অগ্রগতি রিপোর্ট তলবের আবেদন করা হয়। বাদী/সংবাদদাতা পক্ষে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে মানবাধিকার সংগঠন – বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্‌ ফাউন্ডেশন – বিএইচআরএফ।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সেক্রেটারী সাংবাদিক চৌধুরী মোঃ ফরিদ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের অনুরোধে সংস্থাটি উক্ত মামলা বিনা খরচে পরিচালনা ও ভিকটিম পক্ষকে আইনি সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেয় । সম্প্রতি বার এসোসিয়েশন ভবনে ২ (দুই) কন্যা সহ উপস্থিত হয়ে সংগঠনকে ভিকটিমের মাতা ঝর্ণা বেগম (৫০) মামলাটি পরিচালনার জন্য ওকালতনামা ও নথিপত্র হস্তান্তরকালে বিএইচআরএফ মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্‌সান উক্ত ঘোষণা দেন । তিনি মামলাটি পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ হিউম্যান রাইটস্ এডভোকেট টিম গঠনের ঘোষণাও দেন । বাদী/সংবাদদাতা কর্তৃক মামলার দায়িত্ব হস্তান্তরকালে তিনি হতদরিদ্র পরিবারটির পাশে মানবাধিকার কর্মীরা থাকার আশ্বাস দেন এবং একমাত্র আসামী লক্ষণ দাশ (৩০) এর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ।

এ সময় তিনি আরো বলেন, মামলাটির এজাহার দায়েরের সময় আসামী সনাক্ত ও গ্রেফতার না হওয়ায় দন্ডবিধির ধারা যুক্ত হয়, মামলায় ধর্ষণের পর হত্যার ধারা সংযুক্ত হয়নি । মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় (রেপ উইথ মার্ডার) তদন্ত ও চার্জশীট হবে । মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাই্যবুনালের বিচার্য। মামলা পরিচালনার জন্য মানবাধিকার আইনবিদ টিম সদস্যগণ হচ্ছেন যথাক্রমে- প্রবীণ মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, এডভোকেট এএইচএম জসীম উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এডভোকেট মোঃ সাইফুদ্দিন খালেদ, এড প্রদীপ আইচ দীপু, এড মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট মোঃ বদরুল হাসান, এডভোকেট খুশনুদ রাইসা, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমান।

উল্লেখ্য, শিশু বর্ষা মাছুয়া ঝর্ণা এলাকার মৃত আব্দুল হকের মেয়ে। আব্দুল হক ২০১৮ সালে মারা যান। মোমিন রোডে ইকো প্যাকেজিং নামে তার একটি প্রেস ছিল। মা ঝর্ণা বেগম চাঁদপুরের শাহরাস্তি এলাকার বাসিন্দা। সৎ বাবা ইউসুফ আলী ও মা ঝর্ণা বেগমের সাথে সিকদার হোটেলের পাশের গলিতে শাওন ভবনের নিচ তলায় বসবাস করতো বর্ষা। পড়তো কুসুম কুমারি স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে।

গত ২৪ শে অক্টোবর’ 22ইং সোমবার বিকেল ৪.00 ঘটিকার সময় মায়ের কাছ থেকে ২০ টাকা চেয়ে নিয়ে বাসা থেকে বের হয় বর্ষা। এরপর গলির মুখে সিকদার হোটেলের পাশের আজাদ স্টোর থেকে চিপস ও বিস্কুট কিনে বাসার উদ্দেশ্যেই গিয়েছিল সে। কিন্তু বাসায় না গিয়ে নিখোঁজ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে খুঁজতে বের হয় বাসার লোকজন। আশপাশে সহ নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে বিষয়টি প্রথমে স্থানীয় কাউন্সিলরকে ও পরে থানায় অবহিত করা হয়। তাকে খুঁজে পেতে নগরজুড়ে মাইকিংও করা হয়।

নিখোঁজের ৩দিন পর ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় নগরীর জামালখানের সিকদার হোটেলের পিছনের একটি নালা থেকে ৭ বছর বয়সী মারজানা হক বর্ষা নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুটির বাসার অদূরে শ্যামল স্টোর নামের একটি দোকানের কর্মচারী লক্ষণ দাশ (৩০) এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। একই দিনে শ্যামল স্টোর থেকে কর্মচারী লক্ষণ দাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার লক্ষণ দাশ লোহাগাড়ার উত্তর পুদয়া ৩ নং ওয়ার্ডের মনি মিস্ত্রির বাড়ির ফেলোরাম দাশের ছেলে। সে সিকদার হোটেলের পেছনের গোপাল মুহুরীর গলির একেএম জামাল উদ্দিনের বিল্ডিংয়ের নিচতলায় শ্যামল স্টোরের গোডাউনে থাকতো। নিহত শিশুটির মৃতদেহ যখন বস্তা থেকে বের করা হয় তখন বস্তাতে টিসিবি’র সীল দেখতে পাওয়ায় যায়। পুলিশ টিসিবি’র সীলযুক্ত বস্তায় মালামাল বিক্রয়ের দোকান ও আশেপাশের বিভিন্ন রেস্তোরার গোডাউনে টিসিবি’র সীলযুক্ত বস্তা খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে শ্যামল স্টোর নামের দোকানের গোডাউন চেক করার সময় একটি খালি টিসিবি’র সীলযুক্ত বস্তা খুঁজে পায় পুলিশ ।

পরবর্তীতে ওই দোকানের মালিক ও কোন কোন কর্মচারী কাজ করে তাদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয় । একইসাথে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। টিসিবির সীলযুক্ত বস্তা ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় আসামি লক্ষণ দাশকে শনাক্ত করা হয় । পরবর্তীতে শ্যামল স্টোরের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে রাত দেড়টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে লক্ষণ দাশ জানায় সে বিভিন্ন সময় শিশুটিকে দোকান থেকে চিপস, চকলেট দিত।

ঘটনার দিন গত ২৪ অক্টোব ’22 ইং বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সে ১০০ টাকার লোভ দেখিয়ে ভিকটিমকে ডাক দিয়ে দোকানের গোডাউনে নিয়ে যায়। গোডাউনে নেওয়ার পর নাক, মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে রক্তপাত হওয়ায় লক্ষণ দাশ ভয় পেয়ে যায়। এক পর্যায়ে সে শিশুটির শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং গোডাউনে রাখা টিসিবি’র সীলযুক্ত প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে মরদেহ ভরে নালায় ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পরে সে ভিকটিমের কাপড়চোপড় ও ব্যবহৃত স্যান্ডেল পেঁয়াজের খোসার বস্তার ভিতর খোসাসহ ঢুকিয়ে নালায় নিক্ষেপ করে।

আজ শুনানীকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার এডভোকেটগণ যথাক্রমে- এডভোকেট এ.এম জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট এএইচএম জসীম উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এড প্রদীপ আইচ দীপু, এড মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট মোঃ বদরুল হাসান, এডভোকেট খুশনুদ রাইসা, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমান প্রমুখ।

আদালত প্রতিবেদক: চাঞ্চল্যকর শিশু বর্ষা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অগ্রগতি রিপোর্ট তলবের জন্য  আজ মঙ্গলবার ০৭ বাদী/সংবাদদাতা পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ আবেদন করলে ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এর আদালত শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন।আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে পরবর্তী ধার্য্য তারিখের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত ২৪ অক্টোবর’২২ ইং জামাল খান এলাকায় ০৭ বছরের শিশু কন্যা বর্ষা নিখোঁজ ও পরবর্তীতে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত রিপোর্ট এখনও আদালতে আসেনি। তাই সংবাদদাতা পক্ষে মামলার অগ্রগতি রিপোর্ট তলবের আবেদন করা হয়। বাদী/সংবাদদাতা পক্ষে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে মানবাধিকার সংগঠন – বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্‌ ফাউন্ডেশন – বিএইচআরএফ।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সেক্রেটারী সাংবাদিক চৌধুরী মোঃ ফরিদ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের অনুরোধে সংস্থাটি উক্ত মামলা বিনা খরচে পরিচালনা ও ভিকটিম পক্ষকে আইনি সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেয় । সম্প্রতি বার এসোসিয়েশন ভবনে ২ (দুই) কন্যা সহ উপস্থিত হয়ে সংগঠনকে ভিকটিমের মাতা ঝর্ণা বেগম (৫০) মামলাটি পরিচালনার জন্য ওকালতনামা ও নথিপত্র হস্তান্তরকালে বিএইচআরএফ মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্‌সান উক্ত ঘোষণা দেন । তিনি মামলাটি পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ হিউম্যান রাইটস্ এডভোকেট টিম গঠনের ঘোষণাও দেন । বাদী/সংবাদদাতা কর্তৃক মামলার দায়িত্ব হস্তান্তরকালে তিনি হতদরিদ্র পরিবারটির পাশে মানবাধিকার কর্মীরা থাকার আশ্বাস দেন এবং একমাত্র আসামী লক্ষণ দাশ (৩০) এর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ।

এ সময় তিনি আরো বলেন, মামলাটির এজাহার দায়েরের সময় আসামী সনাক্ত ও গ্রেফতার না হওয়ায় দন্ডবিধির ধারা যুক্ত হয়, মামলায় ধর্ষণের পর হত্যার ধারা সংযুক্ত হয়নি । মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় (রেপ উইথ মার্ডার) তদন্ত ও চার্জশীট হবে । মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাই্যবুনালের বিচার্য। মামলা পরিচালনার জন্য মানবাধিকার আইনবিদ টিম সদস্যগণ হচ্ছেন যথাক্রমে- প্রবীণ মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, এডভোকেট এএইচএম জসীম উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এডভোকেট মোঃ সাইফুদ্দিন খালেদ, এড প্রদীপ আইচ দীপু, এড মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট মোঃ বদরুল হাসান, এডভোকেট খুশনুদ রাইসা, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমান।

উল্লেখ্য, শিশু বর্ষা মাছুয়া ঝর্ণা এলাকার মৃত আব্দুল হকের মেয়ে। আব্দুল হক ২০১৮ সালে মারা যান। মোমিন রোডে ইকো প্যাকেজিং নামে তার একটি প্রেস ছিল। মা ঝর্ণা বেগম চাঁদপুরের শাহরাস্তি এলাকার বাসিন্দা। সৎ বাবা ইউসুফ আলী ও মা ঝর্ণা বেগমের সাথে সিকদার হোটেলের পাশের গলিতে শাওন ভবনের নিচ তলায় বসবাস করতো বর্ষা। পড়তো কুসুম কুমারি স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে।

গত ২৪ শে অক্টোবর’ 22ইং সোমবার বিকেল ৪.00 ঘটিকার সময় মায়ের কাছ থেকে ২০ টাকা চেয়ে নিয়ে বাসা থেকে বের হয় বর্ষা। এরপর গলির মুখে সিকদার হোটেলের পাশের আজাদ স্টোর থেকে চিপস ও বিস্কুট কিনে বাসার উদ্দেশ্যেই গিয়েছিল সে। কিন্তু বাসায় না গিয়ে নিখোঁজ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে খুঁজতে বের হয় বাসার লোকজন। আশপাশে সহ নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে বিষয়টি প্রথমে স্থানীয় কাউন্সিলরকে ও পরে থানায় অবহিত করা হয়। তাকে খুঁজে পেতে নগরজুড়ে মাইকিংও করা হয়।

নিখোঁজের ৩দিন পর ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় নগরীর জামালখানের সিকদার হোটেলের পিছনের একটি নালা থেকে ৭ বছর বয়সী মারজানা হক বর্ষা নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুটির বাসার অদূরে শ্যামল স্টোর নামের একটি দোকানের কর্মচারী লক্ষণ দাশ (৩০) এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। একই দিনে শ্যামল স্টোর থেকে কর্মচারী লক্ষণ দাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার লক্ষণ দাশ লোহাগাড়ার উত্তর পুদয়া ৩ নং ওয়ার্ডের মনি মিস্ত্রির বাড়ির ফেলোরাম দাশের ছেলে। সে সিকদার হোটেলের পেছনের গোপাল মুহুরীর গলির একেএম জামাল উদ্দিনের বিল্ডিংয়ের নিচতলায় শ্যামল স্টোরের গোডাউনে থাকতো। নিহত শিশুটির মৃতদেহ যখন বস্তা থেকে বের করা হয় তখন বস্তাতে টিসিবি’র সীল দেখতে পাওয়ায় যায়। পুলিশ টিসিবি’র সীলযুক্ত বস্তায় মালামাল বিক্রয়ের দোকান ও আশেপাশের বিভিন্ন রেস্তোরার গোডাউনে টিসিবি’র সীলযুক্ত বস্তা খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে শ্যামল স্টোর নামের দোকানের গোডাউন চেক করার সময় একটি খালি টিসিবি’র সীলযুক্ত বস্তা খুঁজে পায় পুলিশ ।

পরবর্তীতে ওই দোকানের মালিক ও কোন কোন কর্মচারী কাজ করে তাদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয় । একইসাথে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। টিসিবির সীলযুক্ত বস্তা ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় আসামি লক্ষণ দাশকে শনাক্ত করা হয় । পরবর্তীতে শ্যামল স্টোরের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে রাত দেড়টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে লক্ষণ দাশ জানায় সে বিভিন্ন সময় শিশুটিকে দোকান থেকে চিপস, চকলেট দিত।

ঘটনার দিন গত ২৪ অক্টোব ’22 ইং বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সে ১০০ টাকার লোভ দেখিয়ে ভিকটিমকে ডাক দিয়ে দোকানের গোডাউনে নিয়ে যায়। গোডাউনে নেওয়ার পর নাক, মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে রক্তপাত হওয়ায় লক্ষণ দাশ ভয় পেয়ে যায়। এক পর্যায়ে সে শিশুটির শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং গোডাউনে রাখা টিসিবি’র সীলযুক্ত প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে মরদেহ ভরে নালায় ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পরে সে ভিকটিমের কাপড়চোপড় ও ব্যবহৃত স্যান্ডেল পেঁয়াজের খোসার বস্তার ভিতর খোসাসহ ঢুকিয়ে নালায় নিক্ষেপ করে।

আজ শুনানীকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার এডভোকেটগণ যথাক্রমে- এডভোকেট এ.এম জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট এএইচএম জসীম উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এড প্রদীপ আইচ দীপু, এড মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট মোঃ বদরুল হাসান, এডভোকেট খুশনুদ রাইসা, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমান প্রমুখ।