উত্তরা প্রতিনিধি: ঢাকা ১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ্ব মো. হাবিব হাসান। কিন্তু এই আসনে আর এক প্রতারক খুনি মাজেদ নিজেকে এমপি পরিচয় দেয়। মুঠো ফোনে জনৈক এক ব্যাক্তিকে তিনি এমপি পরিচয় দিয়ে বলেন, এমপি কি, হাবিব হাসান এমপি আমি। হাবিব হাসানরে কে এমপি বানাইছে? আমি তো আমি বানাইছি। দৈনন্দিন জীবনে টাকার পাহাড় গড়তে মাজেদ খাঁন এখন অপরাধ চক্রের একজন হিরো বললেই চলে। হঠাৎই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠার রহস্যময় অজানা গল্প আর অজানা নেই।
রাজধানীর উত্তরায় রাজউক কমার্শীয়াল মাকেটের কমিটিতে আসার পর পরই দেখা গেছে তার দখলবাজি আর প্রতারণার তিব্রতা, শুধু রাজউক মার্কেটেই সীমাবদ্ধ না, বরং দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে ব্যাবসায়ী মহল দেখে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা ।
জানা গেছে, খুনের মামলা সহ একাধিক প্রতারণার ভয়ংকর অভিযোগ নিয়েও সমাজে আতঙ্কের হিরো হয়ে ঘুরে বেড়ান মাজেদ। রাজউক মার্কেটে মসজিদ ভেঙে মার্কেট বানিয়ে ভাড়া দেবার মত জঘন্য কাজেও সফল হয়েছে মাজেদ। কুষ্টিয়ার আইলচারা গ্রাম/ রাস্তা ও আইলচারা ডাকঘর কুষ্টিয়া সদরের এক ব্যাবসায়ী ঢাকায় ব্যবসা বিনিয়োগী কামরুজ্জামান বলেন, মাজেদ তার আবাসিক হোটেল বাণিজ্যিক বলে প্রতারণা করে আমাকে ভাড়া দেবে বলে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জামানত নিয়েছে। পরে যাবতীয় পেপার্স ও বিল্ডিং হস্তান্তর না করে পাঁয়তারা করছে। আমি তার হোটেল এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এই হোটেল একি অপরাধ আর পাপের সম্রাজ্য ? মাজেদের কাছ থেকে পরে আমি টাকা ফেরত চাইলে মাজেদ তালবাহানা করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি এ বিষয়ে বনানী থানায় একটি অভিযোগ করেছি। মাজেদ আমাকে এখনও টাকা ফেরত দেয়নি। জানাগেছে, মাজেদ খাঁন কামরুজ্জামান নামক এই ভদ্রলোককে ব্লু ওশেন নামক একটি নতুন বার লাইসেন্স কার্যক্রম সম্পন্ন করে দেবে বলে মাজেদ খাঁন উত্তরায় তার রিভার ওয়েব নামক হোটেলটি ভাড়া দেবে বলে ১ কোটি ১০লক্ষ টাকা জামানত নেন।
অভিনব কায়দায় প্রতারণার পর প্লটটি আর বুঝিয়ে দেয়নি। এই প্রতারক মাজেদ গত ২১-০৫- ২০২১ ইং তারিখে জামানত হিসাবে টাকা বুঝিয়া নেয় কিন্তু প্লট বুঝিয়া দিতে বিড়ম্বনা করতে থাকে।
পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে প্লটটি আবাসিক। বাণিজ্যিক প্লট বলে জামানত টাকা নিয়ে ভয়ংকর প্রতারণা করেছে। উত্তরাবাসী এই প্রতারক খুনি মাজেদের এমন প্রকাশ্যে প্রতারণা আর নিজেকে ভাল জাহির করতে দাড়ি রেখে লোক দেখানো ধর্মীয় কাজে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। রাজধানীর উত্তরায় মাজেদ নিজেকে কখনো কখনো ১৮ আসনের এমপি বলেও জাহির করে। মাজেদ আবার রাজনীতিতে বড় নেতা সাজতে দেয় বড় বড় ভাইটাল পোস্ট যার ফলে দেখা গেছে, যারা তার প্রতারণায় ভুক্তভুগী তারা এখন হতাশ। উত্তরা বাসীর মনে এখন একটাই প্রশ্ন মানবতা কোথায় আর এই খুনি প্রতারক মাজেদ খাঁনের খুটির জোর কোথায়? এই বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।




