নিজস্ব প্রতিবেদক: সীতাকুণ্ডে কদমরসুল এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় বেসরকারি এ টার্মিনালের আটজনকে আসামি করে অবশেষে মামলা করেছে পুলিশ। সীতাকুণ্ড থানার এসআই আশরাফ সিদ্দিকী গত মঙ্গলবার রাতে দন্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় এ মামলা করেন বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম বলেন, ডিপোতে অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। সেখানে আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। ডিপো কর্মকর্তাদের আসামি করার কথা জানালেও ‘তদন্তের স্বার্থে’ তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে থানার একজন পরিদর্শক আসামিদের নাম নিশ্চিত করেন।
আসামিরা হলেন- বিএম কন্টেইনার ডিপোর ডিজিএম (অপারেশন) নুরুল আকতার, ম্যানেজার (অ্যাডমিন) খালেদুর রহমান, সহকারী অ্যাডমিন অফিসার আব্বাস উল্লাহ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী ব্যবস্থাপক (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) আবদুল আজিজ, কন্টেইনার ফ্রেইট স্টেশনের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, একই বিভাগের নজরুল ইসলাম ও জিএম (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) নাজমুল আকতার খান।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মাসুদ রানা নামে আরও একজনের মত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে। আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদ রানা মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন আইসিইউর চিকিৎসক ডা. হারুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাসুদ রানাকে আইসিইউতে আনা হলে সকালে তিনি মারা যান।
গত শনিবার (৪ জুন) বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ড থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে টানা ৭২ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।



