জাহিদ হাসান,লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: লামায় সুপেয় পানি সংকট নিরষন প্রকল্পে সরকারী প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হলেও সুফল মেলেনি লামাবাসীর। বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ সুত্রিতার কারণে জীবন ঘনিষ্ট এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করার কথা থাকলেও প্রকল্পের অর্থ হরিলুঠের কারণে প্রকল্পের কাজে মন্তরগতি লক্ষণীয়।
মানুষের ব্যবহৃত বিশুদ্ধ পানির প্রায় ৭০% ব্যবহৃত হয় কৃষিকার্যে। পার্বত্যাঞ্চলের ভূ-বাস্তবতা পানি সংকট স্বাভাবিক একটি বিষয়। এর পরও এখানকার নদী, ঝিরি ঝর্ণা দিয়ে প্রবাহিত মিঠা পানির উৎস রয়েছে।সাম্প্রতিককালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কৃষি খাতকে উন্নয়ন টেকসই করতে সেচ ড্রেন করে দিচ্ছে। যার সফলতার কৃষি সেক্টরে লাগতে শুরু করেছে।
মানব জাতিসহ অন্যান্য প্রাণীর জীবনধারণের জন্য সুপেয় পানি অপরিহার্য। গত কয়েক দশকে পৃথিবীর প্রায় সকল প্রান্তেই সুপেয় পানির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও প্রায় একশ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত।নিরাপদ পানির ব্যবহারের সাথে মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনের সুস্পষ্ট পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের ধারনা, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকাংশেরও বেশি পানি সংক্রান্ত সঙ্কটের সম্মুখীন হবে। নভেম্বর, ২০০৯-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে কয়েকটি উন্নয়নশীল অঞ্চলে যোগানের তুলনায় পানির চাহিদা ৫০% ছাড়িয়ে যাবে।বিশ্ব অর্থনীতিতে পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ পানি বহু রাসায়নিক পদার্থের দ্রাবক হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন শিল্পে শীতলীকরণ এবং পরিবহনের কাজে সহায়তা করে।
Post Views: 415



