ঢাকা ব্যুরো: গণবিরোধী সরকার আর অবৈধ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে ভোক্তা জনগণের পকেট কাটার মহোৎসব চলছে। আজ শুক্রবার (০৬ মে) বিকাল ৪টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা দক্ষিণ কমিটি আয়োজিত সয়াবিনসহ ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে জননেতা কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদের পর একদিনের জন্য সরকারি অফিস আদালত খুলেছিলো। সেই দিনে সরকারের মন্ত্রীদের সবচেয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিক কাজ হিসেবে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘বিনা ভোটের সরকার’ দেশের মানুষকে আজ ভাতে মারতে চলেছে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তাদের লুটপাটের সকল দায় জনসাধারণের কাঁধে চাপিয়ে যাচ্ছে। কমরেড সেলিম দেশবাসীকে লুটপাটতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সভাপতি শামসুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেন, সাইফুল ইসলাম সমীর, ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সদস্য শংকর আচার্য, আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সর্বব্যাপী লুটপাটের ধাক্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আনেক আগেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। গণবিরোধী সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর, মজুদদারদের স্বার্থের ‘পাহারাদার’ হিসেবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি সরকার কোনো দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে না। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, শাসকদল মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে নয়া উদারনীতিবাদ ও মুক্তবাজার দর্শনের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে। সরকারের বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের অভাবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে যাচ্ছিল। সর্বশেষ সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে সরকার মূল্যবৃদ্ধির প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
সমাবেশ থেকে সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার অবিলম্বে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি চলমান লুটপাটতন্ত্র ও দুঃশাসনের অবসান ঘটানোর লড়াইয়ে দেশের সকল বিবেকবান মানুষকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান। গণপ্রতিরোধকে গণঅভ্যুত্থানে রূপান্তরের মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক দুঃশাসন অবসানের আহ্বান জানান।
সমাবেশ থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানো, শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু, টিসিবির কার্যক্রম জোরদার করা, ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু, ‘বাফার স্টক’ গড়ে তোলা, অবৈধ ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া, লুটেরা-মজুদদার-মুনাফাখোর-মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশের শেষে সয়াবিনসহ ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
ঢাকা ব্যুরো: গণবিরোধী সরকার আর অবৈধ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে ভোক্তা জনগণের পকেট কাটার মহোৎসব চলছে। আজ শুক্রবার (০৬ মে) বিকাল ৪টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা দক্ষিণ কমিটি আয়োজিত সয়াবিনসহ ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে জননেতা কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদের পর একদিনের জন্য সরকারি অফিস আদালত খুলেছিলো। সেই দিনে সরকারের মন্ত্রীদের সবচেয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিক কাজ হিসেবে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘বিনা ভোটের সরকার’ দেশের মানুষকে আজ ভাতে মারতে চলেছে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তাদের লুটপাটের সকল দায় জনসাধারণের কাঁধে চাপিয়ে যাচ্ছে। কমরেড সেলিম দেশবাসীকে লুটপাটতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সভাপতি শামসুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেন, সাইফুল ইসলাম সমীর, ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সদস্য শংকর আচার্য, আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সর্বব্যাপী লুটপাটের ধাক্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আনেক আগেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। গণবিরোধী সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর, মজুদদারদের স্বার্থের ‘পাহারাদার’ হিসেবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি সরকার কোনো দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে না। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, শাসকদল মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে নয়া উদারনীতিবাদ ও মুক্তবাজার দর্শনের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে। সরকারের বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের অভাবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে যাচ্ছিল। সর্বশেষ সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে সরকার মূল্যবৃদ্ধির প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
সমাবেশ থেকে সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার অবিলম্বে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি চলমান লুটপাটতন্ত্র ও দুঃশাসনের অবসান ঘটানোর লড়াইয়ে দেশের সকল বিবেকবান মানুষকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান। গণপ্রতিরোধকে গণঅভ্যুত্থানে রূপান্তরের মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক দুঃশাসন অবসানের আহ্বান জানান।
সমাবেশ থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানো, শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু, টিসিবির কার্যক্রম জোরদার করা, ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু, ‘বাফার স্টক’ গড়ে তোলা, অবৈধ ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া, লুটেরা-মজুদদার-মুনাফাখোর-মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশের শেষে সয়াবিনসহ ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।