দি ক্রাইম ডেস্ক: মুক্তিপণের দাবিতে ডন বাহিনীর পরিচয়ে সুন্দরবনে থেকে ৭ জেলে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী, চেলাকাটা, হেতালবুনি খাল থেকে জেলেদের অপহরণ করা হয় বলে ফিরে আসা জেলেরা জানান।

অপহৃত জেলেরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬), আনোয়ার হোসেন (৩২) ও হরিনগর জেলেপাড়ার মুজিবুল হোসেন (৩৫)।

ফিরে আসা দুই জেলে ফজের আলী ও সবুজ মিয়া জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে কাঁকড়া ধরার জন্য সুন্দরবনে যান। বনে যেয়ে একপর্যায়ে কাঁকড়া শিকারের জন্য রোববার তারা মালঞ্চ নদীর বিভিন্ন খালে অবস্থান করছিল। একপর্যায়ে তিনটি নৌকায় ১০ জন বন্দুকধারী তাদেরকে ঘিরে ধরে। প্রতি নৌকা থেকে একজন করে উঠিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিকাশ (০১৭৪১-৮৮২৬৫৭) নম্বর দিয়ে সেখানে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এসব জেলেরা আরও জানায়, ঋণ করে তারা বনে গিয়েছিল। এখন চালান তুলতে না পারার পাশাপাশি মুক্তিপণ দিয়ে সহকর্মীদের ছাড়াতে হবে। প্রতিজনের মুক্তিপণ বাবদ ডন বাহিনী ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে। এমন দুরবস্থার মধ্যে পড়ার থেকে মৃত্যু ভালো ছিল বলেও তারা মন্তব্য করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবনের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক জানান, বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রোল টিমের সদস্যরা নিচে রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি কোস্টগার্ডকেও অবহিত করা হয়েছে।

কোস্টগার্ড কৈখালী বিসিজি স্টেশন সূত্র জানা যায়, ইতিমধ্যে বিষয়টি তারা শুনেছেন। অপহরণের শিকার জেলেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। সবকিছু নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, ডন বাহিনী ইতিপূর্বে ২০১৮ সালে আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর আলিফ ওরফে অলিম, রবিউল বাহিনীর মত ডন বাহিনীও আগের মত সুন্দরবনে উৎপাত শুরু করেছে। বাহিনী প্রধানের বাড়ি খুলনা হলেও তার দলে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের আটিরউপর গ্রামের শাহাজান, একই গ্রামের সফিকুল ইসলাম ওরফে ভেটো কাজ করছে। তবে সফিকুল ইসলাম শাহাজান বনে থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

দি ক্রাইম ডেস্ক: মুক্তিপণের দাবিতে ডন বাহিনীর পরিচয়ে সুন্দরবনে থেকে ৭ জেলে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী, চেলাকাটা, হেতালবুনি খাল থেকে জেলেদের অপহরণ করা হয় বলে ফিরে আসা জেলেরা জানান।

অপহৃত জেলেরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬), আনোয়ার হোসেন (৩২) ও হরিনগর জেলেপাড়ার মুজিবুল হোসেন (৩৫)।

ফিরে আসা দুই জেলে ফজের আলী ও সবুজ মিয়া জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে কাঁকড়া ধরার জন্য সুন্দরবনে যান। বনে যেয়ে একপর্যায়ে কাঁকড়া শিকারের জন্য রোববার তারা মালঞ্চ নদীর বিভিন্ন খালে অবস্থান করছিল। একপর্যায়ে তিনটি নৌকায় ১০ জন বন্দুকধারী তাদেরকে ঘিরে ধরে। প্রতি নৌকা থেকে একজন করে উঠিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিকাশ (০১৭৪১-৮৮২৬৫৭) নম্বর দিয়ে সেখানে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এসব জেলেরা আরও জানায়, ঋণ করে তারা বনে গিয়েছিল। এখন চালান তুলতে না পারার পাশাপাশি মুক্তিপণ দিয়ে সহকর্মীদের ছাড়াতে হবে। প্রতিজনের মুক্তিপণ বাবদ ডন বাহিনী ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে। এমন দুরবস্থার মধ্যে পড়ার থেকে মৃত্যু ভালো ছিল বলেও তারা মন্তব্য করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবনের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক জানান, বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রোল টিমের সদস্যরা নিচে রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি কোস্টগার্ডকেও অবহিত করা হয়েছে।

কোস্টগার্ড কৈখালী বিসিজি স্টেশন সূত্র জানা যায়, ইতিমধ্যে বিষয়টি তারা শুনেছেন। অপহরণের শিকার জেলেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। সবকিছু নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, ডন বাহিনী ইতিপূর্বে ২০১৮ সালে আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর আলিফ ওরফে অলিম, রবিউল বাহিনীর মত ডন বাহিনীও আগের মত সুন্দরবনে উৎপাত শুরু করেছে। বাহিনী প্রধানের বাড়ি খুলনা হলেও তার দলে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের আটিরউপর গ্রামের শাহাজান, একই গ্রামের সফিকুল ইসলাম ওরফে ভেটো কাজ করছে। তবে সফিকুল ইসলাম শাহাজান বনে থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।