নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০৮ সালের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা উপেক্ষা করে নিজস্ব আইন বাস্তবায়ন করার কারণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় বিগত বছরের তুলনায় আশংকাজনকহারে হ্রাস পেয়েছে। চউকে’র রাজস্ব খাতের প্রধান উৎস ছিল ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র,নকশা ও ল্যান্ড শাখা। বর্তমান ইন্টেরিম সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিডিএ ল্যান্ড শাখার কার্যক্রমগুলো সাব রেজিষ্টারের নিকট অর্পণ করায় এ খাতের রাজস্বও থমকে যায়।
ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান ও সিডিএ’র “জঞ্জাল” নামে খ্যাত অবৈধ পদবীদারী এ জিএম সেলিম নকশা অনুমোদনে তার মনগড়া আইন বাস্তবায়ন করায় ভবন নির্মাণকারী কিংবা ডেভলাপারগন তার অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে নকশা অনুমোদনে বিমুখ হওয়ায় এ খাত থেকে পূর্বের তুলনায় রাজস্ব আয় ধ্বস নেমেছে।
সুত্রে জানা গেছে, ইমারত নির্মাণ আইন মোতাবেক ভবন মালিকরা ফার ও এমজিসি অনুযায়ী যে ভুমিতে লিগ্যাললি ১০ তালা অনুমোদন পাওয়ার যোগ্য সেখানে এ জিএম সেলিম তার “উদ্ভট’ আইন প্রতিফলন করে ৮ তালা অনুমোদন দিচ্ছে। অন্যদিকে ১০ তালার উপরে ভবন মালিকরা ভবন নির্মাণ করতে চাইলে তাকে “প্রভিশনাল” অনুমোদন দিচ্ছে। আবার তার সাথে যে বা যাহারা নকশা অনুমোদনে আন্ডারগ্রাউন্ডে “চুক্তি” করে তাকে ইমারত নির্মাণ বিধি মোতাবেক নকশা অনুমোদন দিচ্ছে। এছাড়াও প্লিন্থ লেভেলে নকশা অনুমোদনের পূর্বে কাজ করলে “তার মনোনীত” তাকে জরিমানা করে নকশা অনুমোদন দিচ্ছেন এই “কথিত সৎ কর্মকর্তা”।
সুত্রটি আরো জানান, “কথিত সৎ কর্মকর্তা” ১৯৯৮ সালে সিডিএতে যোগদান করার পর থেকে চেয়ারম্যান কিংবা সচিব ও তার উর্দ্ধত্বন কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে গালাগালি ও হুমকি দিয়ে থাকলেও এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কেউ বিধিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় সে বেপরোয়াভাবে এহেন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্রটি আরো জানান,গত মাস দুয়েক আগে সিডিএ’র সাবেক প্রকৌশলীকে চেয়ারম্যান করার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের সচিবের মাধ্যমে জোড় লবিং করে বর্তমান চেয়ারমান প্রকৌশলী নুরুল করিমকে অপসারণ করতে চেষ্ঠা করেছিল। তার নিয়োজিত জনৈক গণমাধ্যমকর্মীকে দিয়ে গণপূর্ত উপদেষ্ঠাকে ভুল বার্তা দেওয়ার জন্য নিয়োজিত করেন। ওই প্রকৌশলী চেয়ারম্যান হলে এজিএম সেলিম প্রধান প্রকৌশলী ও তার কুপরামর্শদাতা কলিগ সিটিপি পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। পত্রিকার জনৈক সম্পাদকের কারণে সে চেষ্ঠা বিফলে যায়।
সুত্রে জানা গেছে, বিসি কেইচ নং-২২০/২৪,২৩২/২৪-২৫ নকশা অনুমোদনের পুর্বে ভবন তৈরী হয়ে যাওয়া সত্বেও সম্পূন্ন বেআইনিভাবে অনুমোদন দিয়ে দেয়। বাকলিয়ার বাদ্যার টেকে ২৩২ নকশাটি তদ্রুপভাবে মোটাংকের উৎকোচের বিনিময়ে ইতোমধ্যে নকশাটি ভবন মালিকদেরকে সরবরাহ করেছে। অন্যদিকে বাকলিয়া এক্সেস রোডে বিসি কেইচ নং-২৭৭/২৪-২৫ নকশাটি গত বছর ইমারত নির্মাণ কমিঠিতে চুড়ান্তভাবে অনুমোদন হওয়া সত্বেও মালিকের সাথে ডবল চেয়ারম্যানের বনিবনা না হওয়ায় তার কলিগ কু-পরামর্শের ইন্ধনদাতা আরেক অবৈধ পদবীধারীর মাধ্যমে সুকৌশলে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে আটকিয়ে রাখে।
এছাড়াও মোস্তফা কনভেশন সেন্টারের জমাকৃত বিসি কেইচ নং-৯৮৪/২১-২২ নথিটি তার শ্বশুরের জায়গাটি খালের উত্তর পাশে ও মোস্তফা কনভেশন সেন্টারের জায়গাটি খালের দক্ষিণ পার্শ্বে হওয়া সত্বেও “জলাবদ্ধতা প্রকল্পের” অজুহাত দেখিয়ে তার মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে নথিটি অনুমোদন স্থগিত করে দেয়। যা নথি পর্যবেক্ষণ করলে ডবল চেয়াম্যানের আসল রুপ বেড়িয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে ভবন নির্মাণকারী কথেক প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালিক এ প্রতিবেদককে বলেন, কথিত সৎ এজিএম সেলিমকে অবৈধ পদোন্নতি দিয়ে ইমারত নির্মাণ কমিঠির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করার পর থেকে প্রতিনিয়ত ইমারত নির্মাণ বিধিমালা উপেক্ষা করে আসছে।তার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। অন্যথায় আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।




