দি ক্রাইম ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তৎপরতা বৃদ্ধিতে জেলেরা কিছুদিন নির্বিঘ্নে মৎস্য শিকার করতে পারলেও সাম্প্রতিক সময়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরপরই জলদস্যুদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। তেমনি এক ঘটনায় সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা চরপাড়ার সাবেক কাউন্সিলর খায়ের হোসেনের মালিকানাধীন মাছ ধরার ট্রলার এফবি সাফওয়ান। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গোপসাগরের গুলিদ্ধার লাশের ফারের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতরা ফিশিং ট্রলারটির এক জেলেকে কুপিয়ে সাগরে ফেলে দিয়ে অপর ১২ মাঝি মাল্লাকে মারধর করে ট্রলারে আটকে রেখে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সাগরে মাছ ধরারত অপর একটি ফিশিং ট্রলার ঘটনাটি মালিক খায়ের হোসেনকে জানালে তিনি দ্রুত সাগরে গিয়ে ট্রলার ও ১২ মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করে গতকাল বুধবার মহেশখালী উপকূলে নিয়ে আসে।
দস্যু কবলিত এফবি সাফওয়ান ফিশিং ট্রলার মালিক খায়ের হোসেন জানান, সম্প্রতি ২২ দিন সরকারি বন্ধের পর প্রথমবার সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল আমার ফিশিং ট্রলারটি। গত সোমবার গুলিরদ্বারের পশ্চিমে মাছ ধরারত অবস্থায় তারা জলদস্যুর কবলে পড়ে। ডাকাতির সময় ট্রলারে থাকা ১৩ মাঝিমাল্লার মধ্যে ১২ জনকে মারধর করে ট্রলারের কোল্ডস্টোরেজে আটকে রাখে জলদস্যুরা। এ সময় হারেছ নামের এক জেলেকে কুপিয়ে সাগরে ফেলে দেয়।
ট্রলারের মাঝি নবি হোসেন জানান, মাছ ধরার সময় হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে জলদস্যুদের একটি ট্রলার তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। ডাকাতরা মাছ, জাল, মেশিন, মোবাইল, ব্যাটারি ও অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার সম্পদ লুট করে নেয় এবং ট্রলারটি সাগরে ভাসিয়ে দেয়। সাগরে মাছ ধরার অন্য জেলেদের মাধ্যমে আমরা মালিককে ঘটনার কথা জানালে তিনি উপর একটি ট্রলার নিয়ে সাগরে গিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে কূলে নিয়ে আসে। ট্রলারে থাকা ১২ মাঝিমাল্লা সকলেই আহত থাকায় এবং সাগরে তলিয়ে যাওয়া নিখোঁজ জেলে হারেছকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমরা সাগরে জলদস্যুদের উৎপাত বন্ধে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল জোরদারের আবেদন জানাচ্ছি।




