সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও: কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানে টহলরত অবস্থায় দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বনপ্রহরীসহ ৩ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৎমধ্যে বন প্রহরী আরমানের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রাশিক আহসান। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) ভোর ৪ টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী হাইস্কুলের সামনে ঘটে এ দুর্ঘটনা।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, এদিন ভোর ৪ টার দিকে মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানে টহলরত টিমের সদস্যরা মোটরসাইকেল নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মহাসড়কের খুটাখালী হাই স্কুল এলাকায় পৌঁছলে কক্সবাজারমুখী দ্রুতগামী মারছা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রে-ব-১৫-৮৮৬১) মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।
আহতরা হলেন-মেদাকচ্ছপিয়া বিটের বনপ্রহরী,চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার বসুয়া গ্রামের মাহবুব আলমের পুত্র মোঃ আরমান হোসেন (২৮), মেদাকচ্ছপিয়া সিপিজি দলের সদস্য চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর মেদাকচ্ছপিয়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের পুত্র আবুল কাসেম (৪৪) ও মধ্য মেদাকচ্ছপিয়া গ্রামের মৃত কবির আহমদের পুত্র হেডম্যান মকতুল হোসেন (৫০)। তাদেরকে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তৎমধ্যে বনপ্রহরী আরমানের অবস্থায় সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে চমেকে নেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি টিম দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি জব্দ করেন। তবে চালক-হেলপার পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ওসি মেহেদী হাসান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বন পাহারাদলের সদস্যদের বহনকারীে মোটর সাইকেলকে পেছন থেকে বাসটি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছি, বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক- হেলপার পলাতক এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।