সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ১০ বছর বয়সী হেফজ খানার এক ছাত্রকে একাধিকবার বলাৎকারের অভিযোগে হাফেজ কায়েম উদ্দিন রাব্বি (১৮) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২০ জুন) সকালে ওই শিক্ষককে সেনাবাহিনী পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। শিক্ষক হাফেজ রাব্বি সাতকানিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইছামতিরকূল এলাকার মো.ইউনুছের ছেলে এবং পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আশেকের পাড়া হাবিবিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে একমাত্র আসামি করে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে বলাৎকারের শিকার ছাত্র জানায় , রাব্বি হুজুর বিভিন্ন সময় রাতে তার শোয়ার ঘরে গিয়ে ৫ থেকে ৬ বার খারাপ কাজ করেছে। এতে রাজি না থাকলেও তাকে মেরে ফেলাসহ নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখানো হত। ভয়ে বিষয়গুলো সে মা’কেও বলেনি। পরে সহ্য করতে না পেরে বিষয়টি মা’কে খুলে বলে। মা প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারেনি। অপমান সহ্য করতে না পেরে মাদ্রাসার সামনে সাতকানিয়া সরকারি কলেজের ভেতর থাকা সেনাক্যাম্পে গিয়ে বললে তারা হুজুরকে ধরে এনে পুলিশে দিয়ে দেয়।

ওই ছাত্রের মা বলেন, এক বছর আগে ছেলেকে হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্যে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখা গেছে শিক্ষার বদলে হুজুর আমার ছেলের সাথে খারাপ কাজ করেছে। যেটি আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। এ অবস্থা যদি ধর্ম শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে ঘটে তাহলে একজন অভিভাবক কিভাবে তার সন্তানকে মাদ্রাসায় পড়তে দিয়ে নিরাপদে থাকবে ? এ ঘটনায় থানায় আমি মামলা করেছি। আমি ওই শিক্ষককের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

আশেকের পাড়া হাবিবিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা হারুনুর রশিদ বলেন, সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসায় এসে বলে যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক কায়েম উদ্দিন রাব্বিকে সেনা ক্যাম্পে শুক্রবার সকালে হাজির হওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী ওই শিক্ষক সেনা ক্যাম্পে গেলে সেনাবাহিনী তাকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগে কোন অভিযোগ পায়নি। তবে, এর আগে মাদ্রাসার মো.জাহেদুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষককে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

সাতকানিয়ায় স্থাপিত সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন মো. শামীম পারভেজ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক তার দোষ স্বীকার করেন এবং অতীতেও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে এমন কর্মকাণ্ড করেছেন বলে জানান। পরে তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতকানিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

সাতকানিয়া পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.তফিকুল আলম বলেন, এ ঘটনায় কিছুক্ষণ (শুক্রবার রাত ৯টা) আগে থানায় বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রের মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আগামীকাল সকালে গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষককে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ১০ বছর বয়সী হেফজ খানার এক ছাত্রকে একাধিকবার বলাৎকারের অভিযোগে হাফেজ কায়েম উদ্দিন রাব্বি (১৮) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২০ জুন) সকালে ওই শিক্ষককে সেনাবাহিনী পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। শিক্ষক হাফেজ রাব্বি সাতকানিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইছামতিরকূল এলাকার মো.ইউনুছের ছেলে এবং পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আশেকের পাড়া হাবিবিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে একমাত্র আসামি করে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে বলাৎকারের শিকার ছাত্র জানায় , রাব্বি হুজুর বিভিন্ন সময় রাতে তার শোয়ার ঘরে গিয়ে ৫ থেকে ৬ বার খারাপ কাজ করেছে। এতে রাজি না থাকলেও তাকে মেরে ফেলাসহ নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখানো হত। ভয়ে বিষয়গুলো সে মা’কেও বলেনি। পরে সহ্য করতে না পেরে বিষয়টি মা’কে খুলে বলে। মা প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারেনি। অপমান সহ্য করতে না পেরে মাদ্রাসার সামনে সাতকানিয়া সরকারি কলেজের ভেতর থাকা সেনাক্যাম্পে গিয়ে বললে তারা হুজুরকে ধরে এনে পুলিশে দিয়ে দেয়।

ওই ছাত্রের মা বলেন, এক বছর আগে ছেলেকে হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্যে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখা গেছে শিক্ষার বদলে হুজুর আমার ছেলের সাথে খারাপ কাজ করেছে। যেটি আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। এ অবস্থা যদি ধর্ম শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে ঘটে তাহলে একজন অভিভাবক কিভাবে তার সন্তানকে মাদ্রাসায় পড়তে দিয়ে নিরাপদে থাকবে ? এ ঘটনায় থানায় আমি মামলা করেছি। আমি ওই শিক্ষককের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

আশেকের পাড়া হাবিবিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা হারুনুর রশিদ বলেন, সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসায় এসে বলে যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক কায়েম উদ্দিন রাব্বিকে সেনা ক্যাম্পে শুক্রবার সকালে হাজির হওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী ওই শিক্ষক সেনা ক্যাম্পে গেলে সেনাবাহিনী তাকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগে কোন অভিযোগ পায়নি। তবে, এর আগে মাদ্রাসার মো.জাহেদুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষককে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

সাতকানিয়ায় স্থাপিত সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন মো. শামীম পারভেজ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক তার দোষ স্বীকার করেন এবং অতীতেও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে এমন কর্মকাণ্ড করেছেন বলে জানান। পরে তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতকানিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

সাতকানিয়া পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.তফিকুল আলম বলেন, এ ঘটনায় কিছুক্ষণ (শুক্রবার রাত ৯টা) আগে থানায় বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রের মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আগামীকাল সকালে গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষককে আদালতে সোপর্দ করা হবে।