মিজবাউল হক, চকরিয়া : কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক এমপি জাফর আলমকে ১৮দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে সাবেক এমপি জাফরকে কড়া নিরাপত্তায় চকরিয়া উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে উভয় পক্ষের আইনজীবিদের শুনানী শেষে ৭টি মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালতের হাকিম।

আদালত এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামীলীগ পাল্টাপাল্টি মিছিল করলেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় কোন ধরণের সংঘর্ষ হয়নি। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিলের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে সকাল থেকে পৌরশহরের বিভিন্ন গুরুত্ব পয়েন্টে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও বিপুল পরিমান পুলিশের অবস্থানের কারণে স্বস্থি নেমে সাধারণ মানুুষের মধ্যে।

এরমধ্যে চকরিয়া ৫টি ও পেকুয়া থানায় ২টি মামলায় সাবেক সাংসদ জাফর আলমের ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবির। এদিন আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন ও রিমান্ড চেয়ে আদালতে পৃথক আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর।

চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আসামী পক্ষের আইনজীবীগণের শুনানী শেষে ৭ মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে ৪৯ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ১৮দিন মঞ্জুর করেন বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও এপিপি গোলাম সরওয়ার। আসামীর বিরুদ্ধে শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন বিএনপি সমর্থিত অর্ধশতাধিক আইনজীবী।

এছাড়াও আসামীর পক্ষে কক্সবাজার জেলা বার ও চকরিয়া উপজেলা থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক আইনজীবী আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। আসামীর রিমান্ড বাতিলের জন্য আবেদন করেন বলে জানান আসামী পক্ষের আইনজীবীরা।

এদিকে জাফর আলমকে আদালতে আনার খবর পেয়ে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে থানা রাস্তার মাথা এলাকায় জড়ো হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। তারা সাবেক এমপি জাফর আলমের শাস্তির দাবী করেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক, চকরিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন ফরায়েজী।

অপরদিকে জাফর আলমকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে এর প্রতিবাদে ঝটিকা মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার এলাকায় তাঁরা ঝটিকা মিছিল করেন। এতে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, খুটাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের কর্মী এনামুল হক।

চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে জাফর আলমকে চকরিয়া আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য তোলা হয়। আদালতের আশপাশে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ বিভিন্ন স্তরে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়। সকালে বৃষ্টি থাকায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের কারণে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৪ দিনের রিমান্ডের জন্য সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া আদালত থেকে চকরিয়া থানায় আনা হয়েছে। রিমান্ড শেষ হলে তাঁকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য যে, ২৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে জাফরকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন ঢাকার যবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যায় আসামী দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মিজবাউল হক, চকরিয়া : কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক এমপি জাফর আলমকে ১৮দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে সাবেক এমপি জাফরকে কড়া নিরাপত্তায় চকরিয়া উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে উভয় পক্ষের আইনজীবিদের শুনানী শেষে ৭টি মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালতের হাকিম।

আদালত এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামীলীগ পাল্টাপাল্টি মিছিল করলেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় কোন ধরণের সংঘর্ষ হয়নি। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিলের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে সকাল থেকে পৌরশহরের বিভিন্ন গুরুত্ব পয়েন্টে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও বিপুল পরিমান পুলিশের অবস্থানের কারণে স্বস্থি নেমে সাধারণ মানুুষের মধ্যে।

এরমধ্যে চকরিয়া ৫টি ও পেকুয়া থানায় ২টি মামলায় সাবেক সাংসদ জাফর আলমের ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবির। এদিন আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন ও রিমান্ড চেয়ে আদালতে পৃথক আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর।

চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আসামী পক্ষের আইনজীবীগণের শুনানী শেষে ৭ মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে ৪৯ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ১৮দিন মঞ্জুর করেন বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও এপিপি গোলাম সরওয়ার। আসামীর বিরুদ্ধে শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন বিএনপি সমর্থিত অর্ধশতাধিক আইনজীবী।

এছাড়াও আসামীর পক্ষে কক্সবাজার জেলা বার ও চকরিয়া উপজেলা থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক আইনজীবী আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। আসামীর রিমান্ড বাতিলের জন্য আবেদন করেন বলে জানান আসামী পক্ষের আইনজীবীরা।

এদিকে জাফর আলমকে আদালতে আনার খবর পেয়ে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে থানা রাস্তার মাথা এলাকায় জড়ো হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। তারা সাবেক এমপি জাফর আলমের শাস্তির দাবী করেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক, চকরিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন ফরায়েজী।

অপরদিকে জাফর আলমকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে এর প্রতিবাদে ঝটিকা মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার এলাকায় তাঁরা ঝটিকা মিছিল করেন। এতে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, খুটাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের কর্মী এনামুল হক।

চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে জাফর আলমকে চকরিয়া আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য তোলা হয়। আদালতের আশপাশে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ বিভিন্ন স্তরে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়। সকালে বৃষ্টি থাকায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের কারণে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৪ দিনের রিমান্ডের জন্য সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া আদালত থেকে চকরিয়া থানায় আনা হয়েছে। রিমান্ড শেষ হলে তাঁকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য যে, ২৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে জাফরকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন ঢাকার যবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যায় আসামী দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।