নিজস্ব প্রতিবেদক: কাঁধে ব্যাগ,আর চেষ্ট পকেটে নোট বুক নিয়ে পুরো চট্টগ্রাম মহানগরী ঘুরে বেড়ান কে এই চৌধুরি? কখনো তিনি ডিবি পুলিশ,কখনো পুলিশের বিশেষ শাখার দারোগা(অব:),আবার কখনোবা তিনি ইন্সপেক্টর(অব:)।এছাড়া তার আরো পরিচয়,কখনো তিনি মানবাধিকার কর্মী,কখনো বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক,আবার কখনো তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা। আসলে তার নাম পরিচয় নিয়ে জনমনে নানা কৌতুহল ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে,তার পুরো নাম কি,স্থায়ী আবাসের ঠিকানা কোথায় কেউ জানে না।চৌধুরী নামেই তিনি তার নিজের পরিচয় দেন সব জায়গায়।নানা ভুয়া পদবীর পরিচয়ে তিনি পুরো চট্টগ্রাম মহানগরী চষে বেড়ান এবং চাঁদাবাজি করেন।তাঁর চাঁদাবাজির ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে,হুন্ডি ব্যবসায়ী,মাদক ব্যবসায়ী,মহানগরীর বিভিন্ন ভেজাল ব্যবসায়ী,ভেজাল ঔষধ ব্যবসায়ী,অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ী,জুয়া খেলার আসর,পতিতা ব্যবসায়ী,আবাসিক হোটেল ও দাগী অপরাধীদের তিনি পুলিশের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় সহ বিভিন্ন অপরাধী এবং অপরাধমুলক কর্মকান্ড পরিচালনাকারীদের কাছ থেকে সাপ্তাহিক ও মাসিক চাঁদা আদায় করা।চাঁদাবাজি ছাড়া তার আর অন্য কোন দ্বিতীয় পেশা নেই,পেশা বলতে চট্টগ্রাম মহানগরীতে চাঁদাবাজিই তার একমাত্র মূল পেশা।
বর্তমানে সিএমপি হেডকোয়ার্টার দামপাড়ায় হলেও ইতিপূর্বে ছিল লালদিঘি পূর্ব পাড়ে। তখন চৌধুরী লালদিঘি পাড় জেলা পরিষদ মার্কেট এলাকায় ঘুরঘুর করে নিজের বিভিন্ন ভুয়া পরিচয় জাহির ও চটকদারি কথাবার্তা বলে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সবার সাথে পরিচিত হতেন। এভাবে তিনি সেখানে সিটিএসবি,সিআইডি,ডিবি’র দারোগা/কনষ্টেবলদর সাথেও পরিচিত হয়ে ভাব জমিয়ে মাঝেমধ্যে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন কিন্তু সোর্স হিসেবে কাজ করার সুবাদে সেখানেও ব্লেকমেইলিং মাধ্যমে পুলিশের নামেই মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সামারি/চাঁদাবাজি করা আরম্ভ করিলে তা পুলিশের নজরে আসে।
এছাড়া পুলিশি অভিযানের আগাম সংবাদ তিনি পৌছে দিতেন বিভিন্ন অপরাধী ও আসামীদের কাছে। বিনিময়ে তিনি এসব অপরাধীদের কাছ থেকে মোটা অংকের ফায়দা নিতেন।এভাবে সোর্স হিসেবে তার কদর কমে আসে। পরে তিনি পুরোদমে নেমে পড়েন চাঁদাবাজিতে।
গত ২৪/০৯/২০২৪ইং সিএমপি হেডকোয়ার্টারে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন,চট্টগ্রামের জনৈক ভুক্তভোগী মোহাম্মদ জাফর। অভিযোগ নং-১৪৪৫৫।এভাবে তার কারণে সিএমপি পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে তিনি বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে আবার পূণরায় পূর্ণোদ্যমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন।
অপর একটি সূত্র জানায়,তার বাড়ী চাঁদপুর হাজীগঞ্জ থানা শাহতলী গ্রামে।সেখানে তিনি চাঁদাবাজির টাকায় আলিশান বাড়ী তৈরি করেছেন এবং প্রচুর জায়গাজমিও ক্রয় করেছেন।চট্টগ্রামে তিনি খাতুনগঞ্জের মদিনা ট্রেড সেন্টারে ১১২ নাম্বার রুমে মাসিক ভাড়ায় বসবাস করেন।তার রুম তল্লাশি চালালে সেখানে একাধিক ভুয়া পরিচয় পত্র পাওয়া যাবে এবং সাথে তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হলে কল লিষ্টে চাঁদাবাজির সব ক্ষেত্রের তথ্যও পাওয়া যাবে বলে সূত্রটি জানায়।




