দি ক্রাইম ডেস্ক: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড এলাকায় যানজটে আটকে থাকা একটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় হানা দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল, টাকা পয়সা ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের শুকলাল হাট এস.কে এম জুটমিল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ডাকাতির শিকার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন উন্নয়ন সংগঠন ডিডিআরসি’র নির্বাহী পরিচালক শহীদুল ইসলাম সাজ্জাদ এবং ফিল্ড ট্রেইনার নুরুননাহার। সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ শেষে মাইক্রোবাস যোগে চট্টগ্রাম ফেরার পথে তারা ডাকাতের কবলে পড়েন।
শহীদুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, শুকলাল হাটের কাছে এলে যানজটে অপেক্ষামান অবস্থায় সাত থেকে আট জনের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের গাড়ির ওপর হামলা করে। বাম পাশের তিনটি গ্লাস ভেঙে গাড়ির ভেতর প্রবেশ করে নগদ টাকার মানিব্যাগ, তিনটি মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণের রিং ছিনিয়ে নেন।
গাড়ি চালক মো. একরাম হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে আমি যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। তখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও পড়ছিল। ছিল না কোনো সড়কবাতি। এক পর্যায়ে আমরা শুকলাল হাট এস কে এম জুট মিল এলাকায় গিয়ে জ্যামে পড়ি। এই সময় ওই এলাকার একটি গলির ভেতর থেকে ৭ থেকে ৮ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল গলি থেকে বের হয়ে আমার গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলে। তারপর প্রথমে আমার মোবাইল ও যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ নগদ টাকা, একটি স্বর্ণের রিং, এক নারী থেকে স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায় ডাকাত দল। ডাকাতদের মধ্যে একজন বয়স্ক ব্যক্তি মুখোশ পন্ ছিল। আর বাকি ডাকাতগুলোর মুখে মুখোশ ছিল না।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর বলেন, বৃষ্টি হওয়ার কারণে সড়কে যানজট দেখা দেয়। এ সুযোগে কিছু ছিনতাইকারী একটি নোহা গাড়িতে হামলা চালিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীরা থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। তারপরেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে ও ছিনতাই রোধে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।




