দি ক্রাইম ডেস্ক: তিন দফা দাবি মানার মৌখিক আশ্বাসেও সরছেন না আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা। গাড়ির সামনে শুয়ে আলোচনা করতে আসা প্রতিনিধিদলের পথ রোধ করে রেখেছেন তারা।

রোববার (১৮ মে) বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রাঙ্গণের ভেতরে সেনা সদর দপ্তর থেকে আসা প্রতিনিধিদলের গাড়ির সামনে শুয়ে তাদের পথ রোধ করে রাখতে দেখা যায় আন্দোলনরত সাবেক সেনা সদস্যদের। আন্দোলনে চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য ছাড়াও তাদের অনেকের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন।

এ সময় তাদের দাবি আদায় সংক্রান্ত বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যদের দাবিগুলো হলো-

১। চাকরিচ্যুত সময় থেকে অদ্যাবধি সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল করতে হবে।

২। যদি কোনো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল করা সম্ভব না হয় তাহলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সরকারি সকল সুযোগ সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে।

৩। যে আইন কাঠামো ও এক তরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধানের আর্টিকেল-৪৫ সংস্করণ করতে হবে।

এছাড়া গতকাল শনিবার (১৭ মে) গ্রেপ্তার হওয়া আন্দোলনকারীদের মুখ্য সমন্বয় সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলামের মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

রোববার (১৮ মে) বেলা ১২টা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিন দফা দাবিতে ‘বাংলাদেশ সহযোদ্ধা প্লাটফর্ম – বিসিপি’ এর ব্যানারে অবস্থান নেন বিভিন্ন সময় চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা। সেখান থেকে তারা জাহাঙ্গীর গেট অভিমুখে লং মার্চ করার প্রস্তুতি নেন। সে সময় পুলিশ তাদের লং মার্চে বাধা দেয়। এ সময় একটি পুলিশের একটি জলকামানও সেখানে দেখা যায়। তবে পুলিশ কোনো ধরনের লাঠিচার্জ করেনি।

এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের জানানো হয়, সেনা সদর দপ্তর থেকে একটি প্রতিনিধি দল তাদের সঙ্গে কথা বলতে আসছে। এতে কিছুটা নিবৃত্ত হন আন্দোলনকারীরা। পরে দুপুর ২টায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রেসক্লাবে আসেন। তারপর প্রেসক্লাবের ভেতরে আন্দোলনকারীদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তারা দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন।

এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় বৈঠক শেষে সেনা সদর দপ্তরের প্রতিনিধিদল বের হয়ে আন্দোলনকারীদের জানান, তাদের দাবিগুলো যুক্তি সহকারে দেখা হবে। তারা যেন তাদের চাকরি ফেরতের আবেদন সেনা সদর দপ্তরে জমা দেন। এছাড়া আগামীকাল সোমবার (১৯ মে) আন্দোলনকারীদের সদরদপ্তরে কথা বলতে আমন্ত্রণও জানান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যদের দাবির বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমান বলেন, যাদের ছোট অপরাধে চাকরি গেছে তাদের একজন একজন করে চাকরি ফেরত দেওয়া হবে। তবে যাদের অপরাধ গুরুতর তাদের চাকরি ফেরতের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। যদি সম্ভব হয় সেটি ফেরত দেওয়া হবে। এছাড়া গতকাল গ্রেপ্তার সৈনিককের মুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কিন্তু এই মৌখিক আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেননি চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা। বরং তারা গিয়ে প্রতিনিধিদলের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন এবং স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় আন্দোরনকারীদের নেতৃত্বে থাকা সমন্বয়করাও চেষ্টা করে তাদের সরাতে পারেনি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রতিনিধিদল আন্দোলনকারীদের সরাতে বিভিন্ন ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলকারীরা জানান, মৌখিক আশ্বাসে তারা আন্দোলন থেকে সরবেন না। সেনাবাহিনী থেকে লিখিত না দেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পাশাপাশি আজকের মধ্যে গ্রেপ্তার সেনা সদস্যকে মুক্তি দিতে হবে।

দি ক্রাইম ডেস্ক: তিন দফা দাবি মানার মৌখিক আশ্বাসেও সরছেন না আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা। গাড়ির সামনে শুয়ে আলোচনা করতে আসা প্রতিনিধিদলের পথ রোধ করে রেখেছেন তারা।

রোববার (১৮ মে) বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রাঙ্গণের ভেতরে সেনা সদর দপ্তর থেকে আসা প্রতিনিধিদলের গাড়ির সামনে শুয়ে তাদের পথ রোধ করে রাখতে দেখা যায় আন্দোলনরত সাবেক সেনা সদস্যদের। আন্দোলনে চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য ছাড়াও তাদের অনেকের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন।

এ সময় তাদের দাবি আদায় সংক্রান্ত বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যদের দাবিগুলো হলো-

১। চাকরিচ্যুত সময় থেকে অদ্যাবধি সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল করতে হবে।

২। যদি কোনো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল করা সম্ভব না হয় তাহলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সরকারি সকল সুযোগ সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে।

৩। যে আইন কাঠামো ও এক তরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধানের আর্টিকেল-৪৫ সংস্করণ করতে হবে।

এছাড়া গতকাল শনিবার (১৭ মে) গ্রেপ্তার হওয়া আন্দোলনকারীদের মুখ্য সমন্বয় সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলামের মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

রোববার (১৮ মে) বেলা ১২টা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিন দফা দাবিতে ‘বাংলাদেশ সহযোদ্ধা প্লাটফর্ম – বিসিপি’ এর ব্যানারে অবস্থান নেন বিভিন্ন সময় চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা। সেখান থেকে তারা জাহাঙ্গীর গেট অভিমুখে লং মার্চ করার প্রস্তুতি নেন। সে সময় পুলিশ তাদের লং মার্চে বাধা দেয়। এ সময় একটি পুলিশের একটি জলকামানও সেখানে দেখা যায়। তবে পুলিশ কোনো ধরনের লাঠিচার্জ করেনি।

এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের জানানো হয়, সেনা সদর দপ্তর থেকে একটি প্রতিনিধি দল তাদের সঙ্গে কথা বলতে আসছে। এতে কিছুটা নিবৃত্ত হন আন্দোলনকারীরা। পরে দুপুর ২টায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রেসক্লাবে আসেন। তারপর প্রেসক্লাবের ভেতরে আন্দোলনকারীদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তারা দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন।

এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় বৈঠক শেষে সেনা সদর দপ্তরের প্রতিনিধিদল বের হয়ে আন্দোলনকারীদের জানান, তাদের দাবিগুলো যুক্তি সহকারে দেখা হবে। তারা যেন তাদের চাকরি ফেরতের আবেদন সেনা সদর দপ্তরে জমা দেন। এছাড়া আগামীকাল সোমবার (১৯ মে) আন্দোলনকারীদের সদরদপ্তরে কথা বলতে আমন্ত্রণও জানান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যদের দাবির বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমান বলেন, যাদের ছোট অপরাধে চাকরি গেছে তাদের একজন একজন করে চাকরি ফেরত দেওয়া হবে। তবে যাদের অপরাধ গুরুতর তাদের চাকরি ফেরতের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। যদি সম্ভব হয় সেটি ফেরত দেওয়া হবে। এছাড়া গতকাল গ্রেপ্তার সৈনিককের মুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কিন্তু এই মৌখিক আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেননি চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা। বরং তারা গিয়ে প্রতিনিধিদলের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন এবং স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় আন্দোরনকারীদের নেতৃত্বে থাকা সমন্বয়করাও চেষ্টা করে তাদের সরাতে পারেনি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রতিনিধিদল আন্দোলনকারীদের সরাতে বিভিন্ন ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলকারীরা জানান, মৌখিক আশ্বাসে তারা আন্দোলন থেকে সরবেন না। সেনাবাহিনী থেকে লিখিত না দেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পাশাপাশি আজকের মধ্যে গ্রেপ্তার সেনা সদস্যকে মুক্তি দিতে হবে।