অনুসন্ধানী প্রতিবেদন——–

নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকায় নাম নেই তবুও তিনি সাজেন মুক্তিযোদ্ধা, নেতার নাম বিক্রি করে ডাকাত থেকে হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পদধারী নেতারা পালিয়ে গেলেও তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ̄স্থানীয় লোকজন। এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে কুমিল্লা সদরের মুকবুল প্রকাশ মুকবুল ডাকাত নামের এক ভূমিদসু ̈ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পার্শ্ববর্তী জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে বার বার সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন। তার বিরুদ্ধে কথা বললে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাধারণ মানুষকে জেলে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেন না। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে এসব অপরাধ করে বেড়ালেও তার নাম জেলা কিংবা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।

এতো অভিযোগ থাকার পরও তার বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে মানুষের প্রশ্ন আওয়ামী লীগ নেতা মুকবুলের খুঁটির জোর কোথায়.?

একাধিক অভিযোগ ও সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুমিল্লা শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের পুরাতন গোমতী নদীর পাড়ের ইসলামপুর এলাকায় একটি দখলকৃত জায়গায় বসতভিটা তৈরী করে বসবাস করে আসছেন যা নিয়েও আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নং- দেওয়ানী ৪১২/২০২৩।

একসময় এলাকার শীর্ষ ডাকতদলের সদস মুকবুল হোসেন প্রকাশ মুকবুল ডাকাত নামের এক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধ।

স্থানীয় লোকজন জানান, তার গ্রামের বাড়ি গোমতি নদীর অপরপাড়ের আমড়াতলী ইউনিয়নের যশপুর গ্রামে। তার গ্রামের বাড়ি শহরের পাশে হলেও সাবেক সংসদ সদস্যে ̈র কাছের লোক পরিচয় দিয়ে ৪নং ওয়ার্ডে এসে প্রভাব খাটিয়ে ভূমিদখল করে এলাকায় নির্মাণ করেছেন অনুমোদনহীন বহুতল ভবন। ক্ষমাতার প্রভাব খাটিয়ে মানুষের জায়গা দখল সহ বিভিন্ন অপকর্মকরে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা সহ ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকায় অসংখ্য ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও মামলা দায়ের হলেও বর্তমানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন তাকে গ্রেফতার না করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ইদানিং এই ভূমিদস্যুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয় এক আইনজীবীও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে খাটানোয় তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভূমিদস্যু মুকবুল কুমিল্লা আদলতের পূর্ব গেট সংলগ্ন এলাকায় ৪শতাংশ ভূমি ক্রয় করে একটি বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করে। নির্মাণের শুরুতে তাকে স্থানীয় লোকজন ও এলাকাবাসী সিটি কর্পোরেশনের নিয়মনীতি মেনে ভবন নির্মাণের কথা বলে। পার্শবর্তী লোকজনের হাঁটা চলার রাস্তা না রেখে ভবন নির্মাণের কথা বললেও সে স্থানীয় লোকজনের এবং এলাকাবাসীর কোন কথারই গুরুত্ব না দিয়ে ক্ষমতার প্রভাবখাটিয়ে ৪ শতাংশের জায়গার বাইরে গিয়ে জোরপূর্বক আরো অনেক বেশী অংশ দখল করে ভবন নির্মাণ শুরু করে। ওই সময় মকবুল হোসেন ভবন ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের পাশে কোন আবশ্যকখোলা জায়গা না রেখে ভবন নির্মাণ শুরু করে। এই বিষয়গুলো সমাধানের জন্য বার বার অনুরোধ করা হলে মকবুল হোসেন নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে নানা রকম হুমকি-ধমকি প্রদান করে কাজ চালিয়ে যায়। তার এমন অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য এবং তার অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল বিন আবসার গত ০৮/০৫/২০২৪ইং তারিখে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করে। তারপরও সে কাজ বন্ধ না করে চালিয়ে যাচ্ছে। একদিন নির্মাণ সামগ্রী পার্শবর্তী একজন আইনজীবীর বিল্ডিংয়ের টিনসেড করা একটি ছাদে পড়লে তার শিশু সন্তান আহত হয় এবং অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায়। এঘটনায় ওই আইনজীবী কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় গত ০৯/০৭/২০২৪ইং তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এতেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকা থাকায় ভুক্তভোগী আইনজিবী এডভোকেট তৌহিদ বিন আবসার এমন নিয়ম বর্হিভূত কাজ বন্ধ করতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নিকট গত ১০/০৭/২০২৪ ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তখনই টনক নড়ে প্রশাসনের যার প্রেক্ষিতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন গত ১১/০৭/২০২৪ইং তারিখে কুমিল্লা সিটিকর্পোরেশনের বিজ্ঞ নির্বাহী প্রকৌশলী ভবন নির্মাণের কাজবন্ধকরার জন্য লিখিতভাবে নোটিশ প্রদান করেন।

সিটি কর্পোরেশনের নিবার্হী প্রকৌশলীর নির্দেশনার প্রতিবৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সে তার কাজ চালিয়ে যায়। পূণরায় তার ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার জন ̈ ০২/১০/২০২৪ইং তারিখে সিটি কর্পোরেশন ২য় বার নোটিশ পাঠায়। নোটিশ পাওয়ার পর ভূমিদস্যু মকবুল আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং অভিযোগ কারী আইনজীবী তৌহিদ বিন আবসার ও তার ভাই সাইফুল বিন আবসারের বাড়িতে গত ০৭/১০/২০২৪ইং তারিখ বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় ২/৩ জন সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হামলা করে। এসময় তাদের বাড়ির গেট লক থাকায় গেটে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ভাংচুর করে এবং তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বলেন। এঘটনা এলাকায় জানা জানি হলে লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং এলাকাবাসীর পরামর্শে ভূক্তভোগী আইনজীবীর বড় ভাই সাইফুল বিন আবসার ০৭/১০/২০২৪ইং তারিখে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এতেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় ভুক্তভোগী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে দেং-৩৩০/২০২৪ইং এ একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ জজ আদালত গত ৩১/১০/২০২৪ইং কাজ বন্ধ করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। এবং সর্ব প্রকার কাজ এই অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়ার আগে বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।

এতো সব অভিযোগ এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পূণরায় কাজ চালিয়ে গেলে সাইফুল বিন আবসার বিষয়টি গত ০৬/১১/২০২৪ইং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসককে লিখিতভাবে অবহিত করলে ভূমিদসু ̈ মুকবুল হোসেন পূর্বের হুমকি অনুযায়ী আইনজীবী পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য কোতোয়ালী মডেল থানায় পাঠালে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা এবং একটি তদন্তাধীন মামলার বাদীকে কোন কারণ ছাড়াই কোতোয়ালী মডেল থানায় একাধিক অভিযোগ থাকা বাদীর পক্ষ নিয়ে বেআইনী ভাবে আইনজীবীর বড় ভাই সাইফুল বিন আবসারকে গ্রেফতার করেন। এতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আইনজিবী তৌহিদ বিন আবসার।

তার অভিযোগ এক ব্যাক্তির ভূমিদখল করে নিয়ম বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগ থাকার পরও তার পক্ষ নিয়ে কিভাবে সাধারণ একজন কে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকার কোথাও পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাজু কমান্ডারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন ,সে মুক্তিযোদ্ধা না। যদি সে মুক্তিযোদ্ধা হতো তাহলে আমরা জানাতাম এবং আমাদের তালিকায় তার নাম থাকতো।

অভিযোগ রয়েছে, ভূমিদস্যু মুকবুল ওই এলাকায় বসবাসরত বাড়িটি নিয়েও তার অপর এক ব্যাক্তির সাথে মামলা চলমান রয়েছে যার মামলা নং- দেওয়ানী ৪১২/২০২৩।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, সে বিগত সরকারের সময়ে ̄স্থানীয় সংসদ সদস্যের খুব ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় তাকে কুমিল্লা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে দায়িত্ব প্রদান করেন। সে এই পদের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি এবং ভূমিদখল করছে। অসংখ ̈ অভিযোগ থাকা এই সন্ত্রাসী প্রকতির ব্যক্তির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের উচ্চমহল এবং স্থানীয় প্রশাসনের নিকট এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার এবং তাকে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করার দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মুকবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন——–

নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকায় নাম নেই তবুও তিনি সাজেন মুক্তিযোদ্ধা, নেতার নাম বিক্রি করে ডাকাত থেকে হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পদধারী নেতারা পালিয়ে গেলেও তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ̄স্থানীয় লোকজন। এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে কুমিল্লা সদরের মুকবুল প্রকাশ মুকবুল ডাকাত নামের এক ভূমিদসু ̈ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পার্শ্ববর্তী জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে বার বার সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন। তার বিরুদ্ধে কথা বললে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাধারণ মানুষকে জেলে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেন না। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে এসব অপরাধ করে বেড়ালেও তার নাম জেলা কিংবা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।

এতো অভিযোগ থাকার পরও তার বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে মানুষের প্রশ্ন আওয়ামী লীগ নেতা মুকবুলের খুঁটির জোর কোথায়.?

একাধিক অভিযোগ ও সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুমিল্লা শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের পুরাতন গোমতী নদীর পাড়ের ইসলামপুর এলাকায় একটি দখলকৃত জায়গায় বসতভিটা তৈরী করে বসবাস করে আসছেন যা নিয়েও আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নং- দেওয়ানী ৪১২/২০২৩।

একসময় এলাকার শীর্ষ ডাকতদলের সদস মুকবুল হোসেন প্রকাশ মুকবুল ডাকাত নামের এক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধ।

স্থানীয় লোকজন জানান, তার গ্রামের বাড়ি গোমতি নদীর অপরপাড়ের আমড়াতলী ইউনিয়নের যশপুর গ্রামে। তার গ্রামের বাড়ি শহরের পাশে হলেও সাবেক সংসদ সদস্যে ̈র কাছের লোক পরিচয় দিয়ে ৪নং ওয়ার্ডে এসে প্রভাব খাটিয়ে ভূমিদখল করে এলাকায় নির্মাণ করেছেন অনুমোদনহীন বহুতল ভবন। ক্ষমাতার প্রভাব খাটিয়ে মানুষের জায়গা দখল সহ বিভিন্ন অপকর্মকরে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা সহ ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকায় অসংখ্য ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও মামলা দায়ের হলেও বর্তমানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন তাকে গ্রেফতার না করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ইদানিং এই ভূমিদস্যুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয় এক আইনজীবীও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে খাটানোয় তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভূমিদস্যু মুকবুল কুমিল্লা আদলতের পূর্ব গেট সংলগ্ন এলাকায় ৪শতাংশ ভূমি ক্রয় করে একটি বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করে। নির্মাণের শুরুতে তাকে স্থানীয় লোকজন ও এলাকাবাসী সিটি কর্পোরেশনের নিয়মনীতি মেনে ভবন নির্মাণের কথা বলে। পার্শবর্তী লোকজনের হাঁটা চলার রাস্তা না রেখে ভবন নির্মাণের কথা বললেও সে স্থানীয় লোকজনের এবং এলাকাবাসীর কোন কথারই গুরুত্ব না দিয়ে ক্ষমতার প্রভাবখাটিয়ে ৪ শতাংশের জায়গার বাইরে গিয়ে জোরপূর্বক আরো অনেক বেশী অংশ দখল করে ভবন নির্মাণ শুরু করে। ওই সময় মকবুল হোসেন ভবন ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের পাশে কোন আবশ্যকখোলা জায়গা না রেখে ভবন নির্মাণ শুরু করে। এই বিষয়গুলো সমাধানের জন্য বার বার অনুরোধ করা হলে মকবুল হোসেন নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে নানা রকম হুমকি-ধমকি প্রদান করে কাজ চালিয়ে যায়। তার এমন অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য এবং তার অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল বিন আবসার গত ০৮/০৫/২০২৪ইং তারিখে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করে। তারপরও সে কাজ বন্ধ না করে চালিয়ে যাচ্ছে। একদিন নির্মাণ সামগ্রী পার্শবর্তী একজন আইনজীবীর বিল্ডিংয়ের টিনসেড করা একটি ছাদে পড়লে তার শিশু সন্তান আহত হয় এবং অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায়। এঘটনায় ওই আইনজীবী কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় গত ০৯/০৭/২০২৪ইং তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এতেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকা থাকায় ভুক্তভোগী আইনজিবী এডভোকেট তৌহিদ বিন আবসার এমন নিয়ম বর্হিভূত কাজ বন্ধ করতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নিকট গত ১০/০৭/২০২৪ ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তখনই টনক নড়ে প্রশাসনের যার প্রেক্ষিতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন গত ১১/০৭/২০২৪ইং তারিখে কুমিল্লা সিটিকর্পোরেশনের বিজ্ঞ নির্বাহী প্রকৌশলী ভবন নির্মাণের কাজবন্ধকরার জন্য লিখিতভাবে নোটিশ প্রদান করেন।

সিটি কর্পোরেশনের নিবার্হী প্রকৌশলীর নির্দেশনার প্রতিবৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সে তার কাজ চালিয়ে যায়। পূণরায় তার ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার জন ̈ ০২/১০/২০২৪ইং তারিখে সিটি কর্পোরেশন ২য় বার নোটিশ পাঠায়। নোটিশ পাওয়ার পর ভূমিদস্যু মকবুল আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং অভিযোগ কারী আইনজীবী তৌহিদ বিন আবসার ও তার ভাই সাইফুল বিন আবসারের বাড়িতে গত ০৭/১০/২০২৪ইং তারিখ বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় ২/৩ জন সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হামলা করে। এসময় তাদের বাড়ির গেট লক থাকায় গেটে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ভাংচুর করে এবং তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বলেন। এঘটনা এলাকায় জানা জানি হলে লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং এলাকাবাসীর পরামর্শে ভূক্তভোগী আইনজীবীর বড় ভাই সাইফুল বিন আবসার ০৭/১০/২০২৪ইং তারিখে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এতেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় ভুক্তভোগী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে দেং-৩৩০/২০২৪ইং এ একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ জজ আদালত গত ৩১/১০/২০২৪ইং কাজ বন্ধ করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। এবং সর্ব প্রকার কাজ এই অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়ার আগে বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।

এতো সব অভিযোগ এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পূণরায় কাজ চালিয়ে গেলে সাইফুল বিন আবসার বিষয়টি গত ০৬/১১/২০২৪ইং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসককে লিখিতভাবে অবহিত করলে ভূমিদসু ̈ মুকবুল হোসেন পূর্বের হুমকি অনুযায়ী আইনজীবী পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য কোতোয়ালী মডেল থানায় পাঠালে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা এবং একটি তদন্তাধীন মামলার বাদীকে কোন কারণ ছাড়াই কোতোয়ালী মডেল থানায় একাধিক অভিযোগ থাকা বাদীর পক্ষ নিয়ে বেআইনী ভাবে আইনজীবীর বড় ভাই সাইফুল বিন আবসারকে গ্রেফতার করেন। এতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আইনজিবী তৌহিদ বিন আবসার।

তার অভিযোগ এক ব্যাক্তির ভূমিদখল করে নিয়ম বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগ থাকার পরও তার পক্ষ নিয়ে কিভাবে সাধারণ একজন কে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকার কোথাও পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাজু কমান্ডারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন ,সে মুক্তিযোদ্ধা না। যদি সে মুক্তিযোদ্ধা হতো তাহলে আমরা জানাতাম এবং আমাদের তালিকায় তার নাম থাকতো।

অভিযোগ রয়েছে, ভূমিদস্যু মুকবুল ওই এলাকায় বসবাসরত বাড়িটি নিয়েও তার অপর এক ব্যাক্তির সাথে মামলা চলমান রয়েছে যার মামলা নং- দেওয়ানী ৪১২/২০২৩।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, সে বিগত সরকারের সময়ে ̄স্থানীয় সংসদ সদস্যের খুব ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় তাকে কুমিল্লা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে দায়িত্ব প্রদান করেন। সে এই পদের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি এবং ভূমিদখল করছে। অসংখ ̈ অভিযোগ থাকা এই সন্ত্রাসী প্রকতির ব্যক্তির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের উচ্চমহল এবং স্থানীয় প্রশাসনের নিকট এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার এবং তাকে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করার দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মুকবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।