চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : ১৫ বছরের এক কিশোরীকে বখাটে কর্তৃক জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় চলছে পুরো কক্সবাজার জেলায়। চলছে সমালোচনা। ঘটনার তিনদিন পরও এখনো মামলা হয়নি। এরইমধ্যে পুলিশ জড়িত সন্দেহে দু’ দফায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। মূল অপরাধীরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে।

এদিকে ধর্ষণের তিনদিন পরও এখনো মামলা হয়নি চকরিয়া থানায়। ভিকটিম চিকিৎসাধীন থাকায় এজাহার জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এজাহার জমা দিলেই মামলা হিসেবে রুজু করা হবে বলে জানান চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুর কাদের ভূইয়া। তিনি বলেন, শীঘ্রই সকলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ধর্ষণের কিছু আলামত পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। এ পর্যন্ত ৭ জনকে অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঘটনার সাথে জড়িত বলে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপরও কোন নিরহ ব্যক্তি যাবে আসামী না হয় সেদিকে নজর রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ননের ৮নম্বর ওয়ার্ড কলেজ পাড়ার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল (২৩), একই ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড ঢেমুশিয়া পাড়ার আবদুল সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৮) ও ৩নম্বর ওয়ার্ড টুটিয়াখালী পাড়ার মো. বশির (৪৫), ৪নং ওয়ার্ডের বাজারপাড়া জিয়াবুল করিমের পুত্র তাজুল ইসলাম (১৮), একই ওয়ার্ডের নুরুল আবছারের পুত্র সজিব (২৫), ৪নং ওয়ার্ডের টুটিয়াখালী বশির আহমদের পুত্র ছোটন প্রকাশ চোরা ছোটন (২৫), ৩নং ওয়ার্ডের দাতিনাখালীর আবুল ছালেহর পুত্র অমিত হাসান (২৫)।

অপরদিকে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। তারা বদরখালী ও মহেশখালী সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে বদরখালী-মহেশখালী ব্রীজ এলাকায় সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী। খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির আশ্বাস দিলে সড়ক থেকে ব্যারিকেট তুলে নেয় ছাত্র-জনতা।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পুলিশের তত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে ওই কিশোরীর। এখনো চিহিৃত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের কয়েকটি টিম বদরখালী এলাকায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছেন। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করলেও মুলহোতারা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা কুতুব রানা বলেন, ওই কিশোরীকে বহন করা সিএনজির চালকের নাম সায়মন। ওই সিএনজি চালক জড়িত থাকার দাবি করে তিনি। বদরখালী এলাকায় এদের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট রয়েছে। কয়েকজন যুবক এ সিন্ডিকেটের সদস্য। তারা এ ধরণের অপরাধ করে থাকেন রাত বাড়ার সাথে সাথে।

জানা যায়, ওই কিশোরী রাতে বাঁশখালী বোনের বাড়ি থেকে মহেশখালী নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল। রোববার রাত ১০ টার দিকে বদরখালী ব্রীজ থেকে মহেশখালীগামী সিএনজি অটোরিকশায় উঠে। পরে ব্রীজের উপর গিয়ে গাড়ি নষ্ট হওয়ার অযুহাত দেখিয়ে চালক অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেয়। এসময় চার যুবক মুখ চেপে ধরে ভয় দেখিয়ে সড়কের পার্শ্ববর্তী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্যারাবনে নিয়ে যায়। পরে ৮ যুবক মিলে ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফিরলে সে সড়কে এসে চিৎকার দিলে লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করে তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ##

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : ১৫ বছরের এক কিশোরীকে বখাটে কর্তৃক জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় চলছে পুরো কক্সবাজার জেলায়। চলছে সমালোচনা। ঘটনার তিনদিন পরও এখনো মামলা হয়নি। এরইমধ্যে পুলিশ জড়িত সন্দেহে দু’ দফায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। মূল অপরাধীরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে।

এদিকে ধর্ষণের তিনদিন পরও এখনো মামলা হয়নি চকরিয়া থানায়। ভিকটিম চিকিৎসাধীন থাকায় এজাহার জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এজাহার জমা দিলেই মামলা হিসেবে রুজু করা হবে বলে জানান চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুর কাদের ভূইয়া। তিনি বলেন, শীঘ্রই সকলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ধর্ষণের কিছু আলামত পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। এ পর্যন্ত ৭ জনকে অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঘটনার সাথে জড়িত বলে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপরও কোন নিরহ ব্যক্তি যাবে আসামী না হয় সেদিকে নজর রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ননের ৮নম্বর ওয়ার্ড কলেজ পাড়ার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল (২৩), একই ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড ঢেমুশিয়া পাড়ার আবদুল সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৮) ও ৩নম্বর ওয়ার্ড টুটিয়াখালী পাড়ার মো. বশির (৪৫), ৪নং ওয়ার্ডের বাজারপাড়া জিয়াবুল করিমের পুত্র তাজুল ইসলাম (১৮), একই ওয়ার্ডের নুরুল আবছারের পুত্র সজিব (২৫), ৪নং ওয়ার্ডের টুটিয়াখালী বশির আহমদের পুত্র ছোটন প্রকাশ চোরা ছোটন (২৫), ৩নং ওয়ার্ডের দাতিনাখালীর আবুল ছালেহর পুত্র অমিত হাসান (২৫)।

অপরদিকে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। তারা বদরখালী ও মহেশখালী সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে বদরখালী-মহেশখালী ব্রীজ এলাকায় সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী। খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির আশ্বাস দিলে সড়ক থেকে ব্যারিকেট তুলে নেয় ছাত্র-জনতা।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পুলিশের তত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে ওই কিশোরীর। এখনো চিহিৃত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের কয়েকটি টিম বদরখালী এলাকায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছেন। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করলেও মুলহোতারা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা কুতুব রানা বলেন, ওই কিশোরীকে বহন করা সিএনজির চালকের নাম সায়মন। ওই সিএনজি চালক জড়িত থাকার দাবি করে তিনি। বদরখালী এলাকায় এদের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট রয়েছে। কয়েকজন যুবক এ সিন্ডিকেটের সদস্য। তারা এ ধরণের অপরাধ করে থাকেন রাত বাড়ার সাথে সাথে।

জানা যায়, ওই কিশোরী রাতে বাঁশখালী বোনের বাড়ি থেকে মহেশখালী নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল। রোববার রাত ১০ টার দিকে বদরখালী ব্রীজ থেকে মহেশখালীগামী সিএনজি অটোরিকশায় উঠে। পরে ব্রীজের উপর গিয়ে গাড়ি নষ্ট হওয়ার অযুহাত দেখিয়ে চালক অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেয়। এসময় চার যুবক মুখ চেপে ধরে ভয় দেখিয়ে সড়কের পার্শ্ববর্তী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্যারাবনে নিয়ে যায়। পরে ৮ যুবক মিলে ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফিরলে সে সড়কে এসে চিৎকার দিলে লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করে তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ##