মিজবাউল হক, চকরিয়া : ছৈয়ুদুল আমিন। তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। গত ১৩ বছর ধরে চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের দলনেতা হিসেবে কাজ করেছেন। পরিবারে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কোন রকম সংসার চালিয়ে আসছিলেন। দলনেতার কাজ স্বেচ্চায় শ্রম হলেও সামান্য ভাতা পেতেন সরকার থেকে। সামান্য হলেও সম্মানের মনে করতেন ছৈয়ুদুল আমিন। হঠাৎ জানতে পারেন স্বেচ্চাশ্রমের চাকরিটাও নেই। তাকে স্বেচ্চাশ্রমের ইউনিয়নের দলনেতা থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাকে অপসারণ করা হয়। গত ২৪ অক্টোবর আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক (অপারেশনস্) মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও ধরিয়ে দিয়েছেন ছৈয়ুদুল আমিনকে। চিঠি পেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।

ছৈয়ুদুল আমিন বলেন, চাকরিতে যোগদানের পর অত্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। কখনো কর্তব্যকাজে ফাঁকি দেইনি। দেশপ্রেম ও স্বেচ্চাসেবার মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মাধ্যমে নিজ বাহিনীর প্রতি অনুগত ছিলাম। কিন্তু গত ৫ আগষ্টে সরকার পতনের পর বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অপসারণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, যৌথ পরিবারের তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার নির্ভর করে চলতো পুরো পরিবারের সকল সদস্য। এখন চাকরি থেকে অপসারিত হওয়ার পর পরিবারের খরচ বহন করা তার জন্য কঠিন তথা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে করে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন।

ছৈয়ুদুল আমিন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণীত। ব্যক্তিগতভবে হয়রানি করার জন্যই একটি চক্র এমন কাজটি করেছে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি অনুগত আছি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। চকরিয়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা তাহেরা বেগম তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন ঢাকা অফিসে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা তাহেরা বেগম বলেন, ছৈয়ুদুল আমিনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দিইনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন তিনি। ঢাকা অফিস তার নাম ঠিকানা চেয়েছে, শুধু এসব দিয়েছি। চাকরি সুবাদে তার সাথে আমার ভাল সম্পর্ক রয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন।

মিজবাউল হক, চকরিয়া : ছৈয়ুদুল আমিন। তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। গত ১৩ বছর ধরে চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের দলনেতা হিসেবে কাজ করেছেন। পরিবারে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কোন রকম সংসার চালিয়ে আসছিলেন। দলনেতার কাজ স্বেচ্চায় শ্রম হলেও সামান্য ভাতা পেতেন সরকার থেকে। সামান্য হলেও সম্মানের মনে করতেন ছৈয়ুদুল আমিন। হঠাৎ জানতে পারেন স্বেচ্চাশ্রমের চাকরিটাও নেই। তাকে স্বেচ্চাশ্রমের ইউনিয়নের দলনেতা থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাকে অপসারণ করা হয়। গত ২৪ অক্টোবর আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক (অপারেশনস্) মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও ধরিয়ে দিয়েছেন ছৈয়ুদুল আমিনকে। চিঠি পেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।

ছৈয়ুদুল আমিন বলেন, চাকরিতে যোগদানের পর অত্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। কখনো কর্তব্যকাজে ফাঁকি দেইনি। দেশপ্রেম ও স্বেচ্চাসেবার মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মাধ্যমে নিজ বাহিনীর প্রতি অনুগত ছিলাম। কিন্তু গত ৫ আগষ্টে সরকার পতনের পর বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অপসারণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, যৌথ পরিবারের তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার নির্ভর করে চলতো পুরো পরিবারের সকল সদস্য। এখন চাকরি থেকে অপসারিত হওয়ার পর পরিবারের খরচ বহন করা তার জন্য কঠিন তথা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে করে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন।

ছৈয়ুদুল আমিন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণীত। ব্যক্তিগতভবে হয়রানি করার জন্যই একটি চক্র এমন কাজটি করেছে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি অনুগত আছি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। চকরিয়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা তাহেরা বেগম তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন ঢাকা অফিসে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা তাহেরা বেগম বলেন, ছৈয়ুদুল আমিনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দিইনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন তিনি। ঢাকা অফিস তার নাম ঠিকানা চেয়েছে, শুধু এসব দিয়েছি। চাকরি সুবাদে তার সাথে আমার ভাল সম্পর্ক রয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন।