চকরিয়া অফিস : চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে গভীর রাতে বাইর থেকে দু’টি গরু এনে আওয়ামী লীগ নেতার ভাইয়ের গোয়ালঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে কৌশলে উদ্ধার নাটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার(০২ জানুয়ারী) বিকালে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পুকপুকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার তার বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে গরু উদ্ধারের ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজনের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে চকরিয়া থানা পুলিশ জসিম উদ্দিনের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে চারটি গরু উদ্ধার করে। বাড়ির মালিক জসিম উদ্দিন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই।

সাংবাদিক সম্মেলনে জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তার ভাসুর গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে আমার স্বামী জসিম উদ্দিনকেও একাধিক মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। অথচ আমার স্বামী কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। তারপরও সে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে চার মাসের বেশি সময় ধরে তার স্বামী জসিম উদ্দিন বাড়িতে থাকে না। ছোট দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন তিনি।

সেলিনা আক্তার বলেন, বুধবার রাতে ছেলে মেয়েকে নিয়ে আমি বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এরইমধ্যে রাতের যে কোনো সময় এলাকার কতিপয় কুচক্রীমহল পরিকল্পিত ভাবে বাইর থেকে দু’টি গরু এনে আমার বাড়ির উঠানে গোয়ালঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে যায়। এদিন ফজরের নামাজ পড়ে যখন আমি বাড়ির দরজা খুলছিলাম, তখন ৮/১০ জন অপরিচিত মানুষ এসে আমার বাড়ির উঠানে জড়ো হয়। এসময় আমি তাদের কাছে জানতে চাই, কেন আমার বাড়িতে এসেছেন, তখন তারা বলে, আপনার বাড়িতে চোরাই গরু আছে।

সেলিনা আক্তার দাবি করেন, যেখানে আমার স্বামী জসিম উদ্দিন রাজনৈতিক মামলার আসামি হওয়ায় ভয়ে পাঁচ মাস ধরে বাড়িতে থাকে না, সেখানে কীভাবে আমার গোয়ালঘরে চোরাই গরু আসবে উল্টো তাদের প্রশ্ন করি। এরইমধ্যে গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে চকরিয়া থানার পুলিশ এসে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে দু’টি গরু উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ আমার পালিত দু’টি গরুর বাছুরও নিয়ে যায়।

জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেছেন, আমার ভাসুর গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বারের চেয়ারম্যান। ৩২ বছর ধরে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক ছিলেন। মুলত তার সম্মানহানির জন্য এবং নতুন করে মামলায় জড়িয়ে আমার স্বামীসহ পরিবার সদস্যদের হয়রানি করার জন্য এলাকার কতিপয় মহল পরিকল্পিত ভাবে আমার বাড়ির গোয়ালঘরে রাতের আঁধারে গরু ঢুকিয়ে দিয়ে কৌশলে এই উদ্ধার নাটক সাঁজিয়েছে। আমি এধরণের মানহানিকর ঘটনায় সাংবাদিকদের সত্য লেখনির মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসন ও এলাকার সর্বস্থরের জনগণের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।

এব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনজুর কাদের ভূইয়া বলেন, স্থানীয় জনগণের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে দু.টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। এবিষয়ে গরু মালিক অভিযোগ দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

চকরিয়া অফিস : চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে গভীর রাতে বাইর থেকে দু’টি গরু এনে আওয়ামী লীগ নেতার ভাইয়ের গোয়ালঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে কৌশলে উদ্ধার নাটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার(০২ জানুয়ারী) বিকালে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পুকপুকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার তার বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে গরু উদ্ধারের ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজনের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে চকরিয়া থানা পুলিশ জসিম উদ্দিনের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে চারটি গরু উদ্ধার করে। বাড়ির মালিক জসিম উদ্দিন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই।

সাংবাদিক সম্মেলনে জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তার ভাসুর গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে আমার স্বামী জসিম উদ্দিনকেও একাধিক মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। অথচ আমার স্বামী কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। তারপরও সে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে চার মাসের বেশি সময় ধরে তার স্বামী জসিম উদ্দিন বাড়িতে থাকে না। ছোট দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন তিনি।

সেলিনা আক্তার বলেন, বুধবার রাতে ছেলে মেয়েকে নিয়ে আমি বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এরইমধ্যে রাতের যে কোনো সময় এলাকার কতিপয় কুচক্রীমহল পরিকল্পিত ভাবে বাইর থেকে দু’টি গরু এনে আমার বাড়ির উঠানে গোয়ালঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে যায়। এদিন ফজরের নামাজ পড়ে যখন আমি বাড়ির দরজা খুলছিলাম, তখন ৮/১০ জন অপরিচিত মানুষ এসে আমার বাড়ির উঠানে জড়ো হয়। এসময় আমি তাদের কাছে জানতে চাই, কেন আমার বাড়িতে এসেছেন, তখন তারা বলে, আপনার বাড়িতে চোরাই গরু আছে।

সেলিনা আক্তার দাবি করেন, যেখানে আমার স্বামী জসিম উদ্দিন রাজনৈতিক মামলার আসামি হওয়ায় ভয়ে পাঁচ মাস ধরে বাড়িতে থাকে না, সেখানে কীভাবে আমার গোয়ালঘরে চোরাই গরু আসবে উল্টো তাদের প্রশ্ন করি। এরইমধ্যে গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে চকরিয়া থানার পুলিশ এসে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে দু’টি গরু উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ আমার পালিত দু’টি গরুর বাছুরও নিয়ে যায়।

জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেছেন, আমার ভাসুর গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বারের চেয়ারম্যান। ৩২ বছর ধরে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক ছিলেন। মুলত তার সম্মানহানির জন্য এবং নতুন করে মামলায় জড়িয়ে আমার স্বামীসহ পরিবার সদস্যদের হয়রানি করার জন্য এলাকার কতিপয় মহল পরিকল্পিত ভাবে আমার বাড়ির গোয়ালঘরে রাতের আঁধারে গরু ঢুকিয়ে দিয়ে কৌশলে এই উদ্ধার নাটক সাঁজিয়েছে। আমি এধরণের মানহানিকর ঘটনায় সাংবাদিকদের সত্য লেখনির মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসন ও এলাকার সর্বস্থরের জনগণের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।

এব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনজুর কাদের ভূইয়া বলেন, স্থানীয় জনগণের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে দু.টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। এবিষয়ে গরু মালিক অভিযোগ দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে