মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন: পেকুয়া নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীক সম্বলিত ‘গামছা’ উপহার দেওয়া সেই বিতর্কিত কর্মকর্তা এখনো পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে স্বদর্পে বহাল তবিয়তে রয়েছে। এছাড়া পেকুয়ায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত ইজিপিপি প্লাস কর্মসূচীর বিভিন্ন প্রকল্প কমিটির কাছ থেকে গত দুই বছরে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অনিয়ম-দূর্নীতিতেও বেপরেয়া হয়ে উঠেছে স্বৈরাচারী আমলের দোসর ওই বিতর্কিত কর্মকর্তা। এ কর্মকর্তার নাম মো: গিয়াস উদ্দিন (৪৪)। তিনি সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থানা অধিদপ্তরের অধীনে পেকুয়া পিআইও অফিসে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত রয়েছে। তার বাড়ি বরিশাল জেলায়।

প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, বিগত ২০১৮ ইংরেজীর ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল-২ আসনের নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব শাহে আলম এর বাড়িতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকার প্রতীক সম্বলিত ১০০পিছ লাল সবুজ রংয়ের গামছা উপহার দেন। এ নিয়ে প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিনের বন্ধু ফরহাদ হোছাইন রাসেল ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ইংরেজী তারিখে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ছবিসহ একটি পোস্ট দেন। সেখানে প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন কর্তৃক নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলমকে নৌকা প্রতীক সম্বলিত গামছা পরিয়ে দিয়ে পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় ছবিতে দেখা গেছে। সেসময় ওই বিতর্কিত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি সেখান থেকে বদলী হয়ে পেকুয়া পিআইও অফিসে আসেন এবং অদ্যবধি পর্যন্ত বহাল তবিয়ে আছেন।

জানা যায়, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কোন প্রার্থীর পক্ষে দলীয় প্রচার প্রচারণায় অংশ নেওয়া ব্যপারে বারণ রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ঘরনার কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন সরকারের আদেশ নিষেধ অমান্য করে আওয়ামী লীগ নেতাকে নৌকা প্রতীকের গামছা উপহার দিয়ে সরাসরি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।

এ বিষয়ে পেকুয়া পিআইও অফিসে কর্মরত সহকারী প্রকৌশলী মো: গিয়াস উদ্দিন এর সাথে মুফোফোনে বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেসময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। আমার নিজ এলাকার এমপি প্রার্থী হিসেবে সর্ম্পক থাকতেই পারে। তিনি এ বিষয়ে রিপোর্ট না করার জন্য এ প্রতিবেদকের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আবু তাহের জানান, তিনি এ ব্যপারে কিছুই জানেন না।

পেকুয়া উপজেলার সচেতন কয়েকজন লোক জানান, পেকুয়া পিআইও অফিসের কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন স্বৈরাচারী সরকার আমলের একজন দলবাজ কর্মচারী। প্রশাসনে এ ধরনের বিতর্কিত কর্মকর্তা ও স্বৈরাচারী আমলের প্রেতাত্মা কর্মরত থাকলে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন বৃথা যাবে। তাই অনতিবিলম্বে ওই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানান স্থানীয়রা।

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন: পেকুয়া নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীক সম্বলিত ‘গামছা’ উপহার দেওয়া সেই বিতর্কিত কর্মকর্তা এখনো পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে স্বদর্পে বহাল তবিয়তে রয়েছে। এছাড়া পেকুয়ায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত ইজিপিপি প্লাস কর্মসূচীর বিভিন্ন প্রকল্প কমিটির কাছ থেকে গত দুই বছরে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অনিয়ম-দূর্নীতিতেও বেপরেয়া হয়ে উঠেছে স্বৈরাচারী আমলের দোসর ওই বিতর্কিত কর্মকর্তা। এ কর্মকর্তার নাম মো: গিয়াস উদ্দিন (৪৪)। তিনি সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থানা অধিদপ্তরের অধীনে পেকুয়া পিআইও অফিসে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত রয়েছে। তার বাড়ি বরিশাল জেলায়।

প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, বিগত ২০১৮ ইংরেজীর ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল-২ আসনের নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব শাহে আলম এর বাড়িতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকার প্রতীক সম্বলিত ১০০পিছ লাল সবুজ রংয়ের গামছা উপহার দেন। এ নিয়ে প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিনের বন্ধু ফরহাদ হোছাইন রাসেল ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ইংরেজী তারিখে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ছবিসহ একটি পোস্ট দেন। সেখানে প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন কর্তৃক নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলমকে নৌকা প্রতীক সম্বলিত গামছা পরিয়ে দিয়ে পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় ছবিতে দেখা গেছে। সেসময় ওই বিতর্কিত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি সেখান থেকে বদলী হয়ে পেকুয়া পিআইও অফিসে আসেন এবং অদ্যবধি পর্যন্ত বহাল তবিয়ে আছেন।

জানা যায়, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কোন প্রার্থীর পক্ষে দলীয় প্রচার প্রচারণায় অংশ নেওয়া ব্যপারে বারণ রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ঘরনার কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন সরকারের আদেশ নিষেধ অমান্য করে আওয়ামী লীগ নেতাকে নৌকা প্রতীকের গামছা উপহার দিয়ে সরাসরি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।

এ বিষয়ে পেকুয়া পিআইও অফিসে কর্মরত সহকারী প্রকৌশলী মো: গিয়াস উদ্দিন এর সাথে মুফোফোনে বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেসময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। আমার নিজ এলাকার এমপি প্রার্থী হিসেবে সর্ম্পক থাকতেই পারে। তিনি এ বিষয়ে রিপোর্ট না করার জন্য এ প্রতিবেদকের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আবু তাহের জানান, তিনি এ ব্যপারে কিছুই জানেন না।

পেকুয়া উপজেলার সচেতন কয়েকজন লোক জানান, পেকুয়া পিআইও অফিসের কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন স্বৈরাচারী সরকার আমলের একজন দলবাজ কর্মচারী। প্রশাসনে এ ধরনের বিতর্কিত কর্মকর্তা ও স্বৈরাচারী আমলের প্রেতাত্মা কর্মরত থাকলে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন বৃথা যাবে। তাই অনতিবিলম্বে ওই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানান স্থানীয়রা।