সাতকানিয়া প্রতিনিধি: সাতকানিয়ায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। হয় পরে।
গ্রেফতারকৃত সালাহ উদ্দিন সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের দক্ষিণ ছৈয়দাবাদ এলাকার রফিক আহমদের ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ ও মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ জুলাই সাতকানিয়ার কেরানীহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে এ হামলা হয়। দেশি-বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল হামলাকারী অবস্থান কর্মসূচিতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
হামলাকারীরা কয়েকটি দোকান ও যানবাহনে ভাঙচুর চালিয়ে একটি অটোরিকশায় আগুন দেয়। এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ৫ জনকে গুরুতরভাবে আহত করে। আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ সিফাতের ডান হাত ভেঙে যায়।
আহতরা হলেন- খুরশিদ আলম, মুদাসসির, নুরুল আলম তালুকদার ও মোহাম্মদ সেলিম।
এ ঘটনায় গত ২৮ আগস্ট আহত সিফাতের বাবা মোহাম্মদ তসলিম বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চার ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- কেঁওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওচমান আলী, মাদার্শা ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম সেলিম চৌধুরী, পশ্চিম ঢেমশা ইউপি চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল ইসলাম, ঢেমশা ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম সরোয়ার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, উত্তর সাতকানিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেহ শান, সাতকানিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানসহ প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে সাতকানিয়া থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান জানান, “ঢাকার কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে গত মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।” হামলার ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ জানায়, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।




