মীর হোসেন মোল্লা (আরমান): গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে সন্ত্রাসীদের হামলায় ইকবাল হোসেন ও তার ভগ্নিপতি সোলেমান নামক দুই ব্যক্তি সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় শিকার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত রবিবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার লালমাই থানার বড়তুলা আনন্দ বাজার এলাকায় এ ঘঠনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২৫ নভেম্বর দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র ইকবাল হোসেন শামিম(৩৩) ও তার ভগ্নিপতি লালমাই উপজেলার দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সফিকুর রহমানের পুত্র সোলেমান (৩৫) কে অপহরণ করে উপজেলাস্থ চন্দ্রপুর নারানিয়া গ্রামের মৃত রব্বান আলীর পুত্র রুহুল আমিনের বসত ঘরে আটক রাখে। এসময় অপহৃতরা নিজেদের জীবন রক্ষার কৌশল অবলম্বন হিসেবে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে- পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থল রুহুল আমিনের ঘর থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে ভূলইন উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শক্রমে উভয় পক্ষকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০১ ডিসেম্বর (রবিবার) ভিকটিম এবং অপহরণকারীর মূল হোতা চন্দ্রপুর নারানিয়া গ্রামের মৃত রব্বান আলীর পুত্র রুহুল আমিন গংদের নিয়ে গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালমাই থানাধীন বড়তুলা আনন্দ বাজারস্থ আবদুল জলিলের দোকানের সামনে অনুষ্ঠিত একটি গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে- সাবেক চেয়ারম্যান ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিপক্ষের উপর পরিকল্পিতভাবে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্য এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেন শামীম (৩৩) ও তার ভগ্নিপতি লালমাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে সোলেমান (৩৫) গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আশংকাজনক অবস্থায় আহত সোলেমানকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে লালমাই থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।




