নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উত্তরা-১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প(রুয়াপ) এলাকায় বেড়েছে সীমাহীন মশার উপদ্রব। এতে অতিষ্ঠ রুয়াপবাসী। করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতে না হতেই বাড়ছে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের শঙ্কা।
রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প(রুয়াপ) এলাকায় বর্তমানে প্রায় ৫০/৫৫শতাংশ ফ্ল্যাট মালিক বা তাদের ভাড়াটিয়া এখানে বসবাস করছেন।এখানে ‘এ’ ব্লকে ৮৪টি ১৬তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এখানে প্রায় ৬ হাজারের অধিক ফ্লাট রয়েছে। যদিও কিছু ভবনের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি,কিন্তু বেশীরভাগ ভবন তৈরির কাজ শেষ হওয়ায় বরাদ্দপ্রাপ্ত ফ্ল্যাট মালিকদের চাবি ২০১৮ সালের শেষের দিকে তাদের হাতে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এসব অ্যালোটি/ফ্ল্যাট মালিকরা এখন ভবনে এসে বসবাস করছেন। আবার অনেক অ্যালোটিরা নিজেদের ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে ফ্ল্যাটে উঠতে না পারায় মাসিক ভাড়ায় লাগিয়েছেন। এত সুন্দর একটি প্রকল্পে নানা সমস্যার মাঝে এখানে মশার উৎপাত বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ঢাকা শহরে করোনা মহামারী কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসলেও এখন বেড়েছে সর্বত্র মশার উপদ্রব এবং ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে রুয়াপে দিনের বেলায়ও মশারী টাঙ্গানো বা মশার কয়েল ব্যবহার করতে হয় কোন কোন বিল্ডিং বা ফ্লাটে। কদাচিত মাঝে মাঝে ২/১ টি ভবনের ভবন কমিটিগুলো তাদের নিজস্ব উদ্যোগে নিজস্ব গন্ডিতে ঔষধ ছিটায়,তাও খুবই অপ্রতুল। কিন্তু এটা পুরো ৮৪ টি ভবন বা রুয়াপবাসীর সমাধান নয়।এতে রুয়াপবাসীর মুক্তি মিলছে না মশার জালাতন থেকে।
সমগ্র প্রকল্প এলাকার ৫৫ শতাংশ জমি খেলার মাঠ, পার্ক, সবুজায়ন, রাস্তা ইত্যাদির জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এ প্রকল্পটির অবকাঠামোগত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নিয়ে অনেকে মিনি সিঙ্গাপুরের সঙ্গেও তুলনা করছেন। এত সুন্দর এবং সুযোগ-সুবিধার মাঝেও কিন্তু রাজউকের উদাসীনতায় এ প্রকল্পের বসবাসকারীরা এখানে বেশ কিছু সমস্যায় জর্জরিত। প্রকল্পের পানি নিষ্কাশনের জন্যে সড়কের পাশে নালা,ড্রেন ও মাঠগুলোতে ঘাসের জঞ্জালে বাড়ছে মশার বংশবৃদ্ধি। বসবাসরত ফ্ল্যাট মালিকদের সঙ্গে রাজউক কর্মকর্তারা মাসের পর মাস সভা করেও সে সব ‘জটিলতা’ কাটিয়ে উঠতে পারছেন না দীর্ঘদিন ধরে। তার মধ্যে বর্তমানে এখানে মশাবাহিত রোগ বা মশার উপদ্রব অন্যতম। মশার উপদ্রবের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে রাজউকের উদাসীনতা ও নিষ্ক্রিয়তায় রুয়াপবাসীরা হতাশ।
এই প্রজেক্ট উত্তর সিটি কর্পোরেশ(ডিএনসিসি)’র ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন।মশা নিধনে প্রতিদিন সিটি কর্পোরেশনের ওষুধ ছিটানোর কথা থাকলেও এখানে দেখা মেলে না সিটি কর্পোরেশনের কোন তৎপরতা।
একটি সূত্র জানায়, এ প্রকল্পটি রাজউক এখনো ডিএনসিসি’কে বুঝিয়ে দেয়নি এবং ডিএনসিসি পাচ্ছে না তার কোন প্রকার রাজস্ব। তাই এখানে ডিএনসিসি’রও কোন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। এতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে রুয়াপের বাসিন্দারা। দিন দিন মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় রুয়াপবাসীরা রাজউকের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Post Views: 661



