চকরিয়া অফিস : চকরিয়ায় অসহায় ব্যক্তির জমি দখল নিয়ে রাতারাতি টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দখলবাজ চক্র। ওই চক্রটি টিনের ঘরটি পুড়ে দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্ঠা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মাষ্টার আলীর পাড়া এলাকায়।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মাষ্টার আলীর পাড়ার বাসিন্দা মাওলানা সলিম উল্লাহ জানান, তার পিতা আশরাফ মিয়া ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সনে ফাঁসিয়াখালী মৌজায় ২০১ খতিয়ানের ৮ আনা অংশের মালিক গোপাল চন্দ্র কুলাল ও একই খতিয়ানের মালিক অপর অংশের মালিক সুকুমার কুলাল এর কাছ থেকে ০.৫০ একর নাল জমি। তার বাবা আশরাফ মিয়া সুকুমার কুলালের ০.৫০ একর জমি ক্রয় করেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে ঘেরাবেড়া দিয়ে ভোগ দখলে রয়েছি। সেখানে বেশকিছু গাছ গাছালিও রয়েছে। এরই মধ্যে দূর্লোভের বশীভূত হয়ে জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে একই এলাকার দক্ষিণ সিকদারপাড়া ও মাষ্টার আলী পাড়ার মৃত নজু মিয়া ও মৃত সোলতান আহমদের পুত্রগণ। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখল নিতে নানাভাবে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি মো: ইয়াহিয়া, আনোয়ার হোছন, মো: আবছার (প্রকাশ আনসার), মো: আবুল কালাম প্রকাশ দুদু মিয়া, ইসমাইল ও আবিদের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের লাঠিয়াল নিয়ে দখলের চেষ্ঠা করে। গত ৭ আগস্ট গভীর রাতে দখলবাজ চক্র ওইজমিতে টিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি ঘর তৈরী করে।
১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দখলবাজ চক্রটি ঘরটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ঘরটি পুড়িয়ে উল্টো আমাকে ফাঁসানোর চেষ্ঠা করছেন। আমাকে মামলা দিয়ে ঘর ছাড়া করবেন বলেও হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। দখলবাজের বিরুদ্ধে অধিনায়ক চকরিয়া সেনাক্যাম্প সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর তারা আরও বেশি ক্ষিপ্ত হন। ইতোমধ্যে তার পিতা আশরাফ মিয়া বাদী হয়ে চকরিয়া জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাও রয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ অধিকতর তদন্ত শেষে উপজেলা জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর থেকে দখলবাজ চক্র তাদের জমি নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও দখল নিতে মরিয়া উঠেছেন। বর্তমানে উল্লেখিত দখলবাজের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানার রয়েছে।
অপরদিকে আশরাফ মিয়া বাদী হয়ে বিগত ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ২০০৯ সনের সৃজিত বিএস ৬০৯, ১৪৯৬, ১৫৭৭ ও ১৯৭৪ নং খতিয়ানাদী বাতিল করার জন্য কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং : ১৫৬/২০২৩। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই জমিতে নির্মাণ কাজ না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেন। সৃজিত বিএস ৬০৯, ১৪৯৬, ১৫৭৭ ও ১৯৭৪ নং খতিয়ানের কার্যকরিতা স্থগিতাদেশ দেন।




