কক্সবাজার প্রতিনিধি: প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক ঘিরে হয়রানি ও লুটপাটের রাজত্ব চলছে। টমটম ও ভ্যান গাড়ির ভাড়া থেকে শুরু করে প্রতিটি পণ্যের দাম দ্বিগুন নেয়া হচ্ছে এমনটাই অভিযোগ পর্যটকদের। এতে দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা প্রতিনিয়তেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ থেকে বিমুখ হবেন পর্যটকরা। এটি অন্য একটি দেশ নয়, কক্সবাজারের পর্যটন স্পটের একটি অংশ। এই নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের গৌরব বহনকারী কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পর্যটন স্পট হিসেবে দাম একটু বাড়তি থাকবে এটিই স্বাভাবিক। এছাড়াও কেরিং চার্জ অতিরিক্ত যাওয়ায় বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বিভিন্ন পণ্যের দাম।

সচেতন মহল বলছে, পর্যটন শিল্প রক্ষার পাশাপাশি পর্যটকদের সেন্টমার্টিনমূখী করতে এসব নানা অনিয়ম রোধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি জরুরি। অন্যথায় একটা সময় এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে পর্যটকরা।

জানা যায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপে যে টমটম ও ভ্যানগাড়ি চলাচলা করছে তার কোন লাইসেন্স নেই। পূর্বেই ভ্যান গাড়ি সমিতির উদ্যোগে কোন স্থানে কত টাকা ভাড়া নেয় তার একটি তালিকা টাঙ্গানো ছিল। এখন সেই তালিকাও নেই। এর ফলে পর্যটকদের কাছ থেকে বেপরোয়াভাবে ভাড়া নিচ্ছেন ভ্যান গাড়ির চালকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জাহাজ থেকে নেমে জেটির পরেই ভ্যান গাড়ি। সেই ভ্যান গাড়ি নিয়ে যেখানে যাবেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে ১০০ টাকা নিচে কোন ভ্যান গাড়িতে উঠা যায়না। এছাড়াও খাবার থেকে শুরু করে প্রতিটি পণ্যের দাম ডাবল নেয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেস্টুরেন্ট, মুদিরদোকান, কটেজসহ বিভিন্ন স্থানে যে গলাকাটা বাণিজ্য। এতে হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা।

বিষয়টি স্বীকার করে সেন্টমার্টিনে এক রেস্তোরাঁর মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা সমিতির পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে বার বার তাগাদা দেই, কিন্তু কার কথা কে শুনে।

ব্যবসায়ীদের এসব অনিয়ম রোধে প্রশাসন কঠোর না হলে এক সময় গিয়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকের হার কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান।

তিনি বলেন, শুধু রেস্তোরাঁগুলোতে নয়, মৌসুমে বেশির ভাগ কটেজেও গলাকাটা দাম আদায় করা হয়। এখনই সময় পর্যটন প্রসারে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।

সেন্টমার্টিনে ভ্যান গাড়ি সমিতির সভাপতি ইসহাক চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে কোথায় গেলে কত টাকা নেয় তার একটি তালিকা টাঙ্গানো ছিল। এখন সেটি নেই বলে বেপরোয়া ভাড়া নিচ্ছে সেটি আমি শুনেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটি আবারো টাঙ্গানো হবে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান বলেন, আমিও শুনেছি সব কিছুর দাম বাড়তি নিচ্ছে। তবে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি বেশি দিন হয়নি। আস্তে আস্তে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়াও সামনে আইনশৃঙ্খলা মিটিং আছে সেখানেই সব সমস্যার কথা তোলে ধরবো।

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি: প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক ঘিরে হয়রানি ও লুটপাটের রাজত্ব চলছে। টমটম ও ভ্যান গাড়ির ভাড়া থেকে শুরু করে প্রতিটি পণ্যের দাম দ্বিগুন নেয়া হচ্ছে এমনটাই অভিযোগ পর্যটকদের। এতে দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা প্রতিনিয়তেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ থেকে বিমুখ হবেন পর্যটকরা। এটি অন্য একটি দেশ নয়, কক্সবাজারের পর্যটন স্পটের একটি অংশ। এই নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের গৌরব বহনকারী কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পর্যটন স্পট হিসেবে দাম একটু বাড়তি থাকবে এটিই স্বাভাবিক। এছাড়াও কেরিং চার্জ অতিরিক্ত যাওয়ায় বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বিভিন্ন পণ্যের দাম।

সচেতন মহল বলছে, পর্যটন শিল্প রক্ষার পাশাপাশি পর্যটকদের সেন্টমার্টিনমূখী করতে এসব নানা অনিয়ম রোধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি জরুরি। অন্যথায় একটা সময় এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে পর্যটকরা।

জানা যায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপে যে টমটম ও ভ্যানগাড়ি চলাচলা করছে তার কোন লাইসেন্স নেই। পূর্বেই ভ্যান গাড়ি সমিতির উদ্যোগে কোন স্থানে কত টাকা ভাড়া নেয় তার একটি তালিকা টাঙ্গানো ছিল। এখন সেই তালিকাও নেই। এর ফলে পর্যটকদের কাছ থেকে বেপরোয়াভাবে ভাড়া নিচ্ছেন ভ্যান গাড়ির চালকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জাহাজ থেকে নেমে জেটির পরেই ভ্যান গাড়ি। সেই ভ্যান গাড়ি নিয়ে যেখানে যাবেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে ১০০ টাকা নিচে কোন ভ্যান গাড়িতে উঠা যায়না। এছাড়াও খাবার থেকে শুরু করে প্রতিটি পণ্যের দাম ডাবল নেয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেস্টুরেন্ট, মুদিরদোকান, কটেজসহ বিভিন্ন স্থানে যে গলাকাটা বাণিজ্য। এতে হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা।

বিষয়টি স্বীকার করে সেন্টমার্টিনে এক রেস্তোরাঁর মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা সমিতির পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে বার বার তাগাদা দেই, কিন্তু কার কথা কে শুনে।

ব্যবসায়ীদের এসব অনিয়ম রোধে প্রশাসন কঠোর না হলে এক সময় গিয়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকের হার কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান।

তিনি বলেন, শুধু রেস্তোরাঁগুলোতে নয়, মৌসুমে বেশির ভাগ কটেজেও গলাকাটা দাম আদায় করা হয়। এখনই সময় পর্যটন প্রসারে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।

সেন্টমার্টিনে ভ্যান গাড়ি সমিতির সভাপতি ইসহাক চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে কোথায় গেলে কত টাকা নেয় তার একটি তালিকা টাঙ্গানো ছিল। এখন সেটি নেই বলে বেপরোয়া ভাড়া নিচ্ছে সেটি আমি শুনেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটি আবারো টাঙ্গানো হবে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান বলেন, আমিও শুনেছি সব কিছুর দাম বাড়তি নিচ্ছে। তবে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি বেশি দিন হয়নি। আস্তে আস্তে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়াও সামনে আইনশৃঙ্খলা মিটিং আছে সেখানেই সব সমস্যার কথা তোলে ধরবো।