বিনোদন ডেস্ক: সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি সুচিত্রা সেনের মৃত্যুদিবস। ১৯৩১-এ জন্ম বাংলাদেশেই। ১৯১৪ সালের আজকের এই দিনে তিনি কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল বেলভিউতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।

তাঁর রোমান্টিক দৃষ্টির মধ্যে ছিল সম্মোহনী শক্তি, যার আকর্ষণে দর্শকরা হতেন মোহাবিষ্ট। বিশেষ করে তাঁর মুখ, গভীর চোখের চাহনি, কথা বলার ভঙ্গি ও মোহময়ী হাসির মধ্যে গড়ে উঠেছিল এক অসাধারণ স্ক্রিন পার্সোনালিটি। বিগত শতাব্দের পঞ্চাশের দশকে আত্মপ্রকাশ সুচিত্রা সেনের।

উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলা ছবিতে যেন একটা নতুন মাত্রা এনেছিলেন। অনেকেই বলে থাকেন সুচিত্রা সেন নাকি তাঁর রূপ দিয়েই সিনেমার রাজত্বটা অর্ধেক জয় করে নিয়েছিলেন। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি দক্ষ অভিনেত্রীর পরিচয়ও রেখেছেন।

‘সপ্তপদী’, ‘দীপ জ্বেলে যাই,’ ‘হারানো সুর’, ‘সাত পাকে বাঁধা’ এবং হিন্দি ‘দেবদাস’, ‘আঁধি’ ছবিগুলোই তার প্রমাণ। বাঙালির মানস-সুন্দরী সুচিত্রা সেন কখনো গ্ল্যামারাস নায়িকা, কখনো স্নেহময়ী মা, কখনো আটপৌরে বউ…। ছবির টাইটেলে লেখা থাকত উত্তম-সুচিত্রা, পরে সেটা বদলে হয়েছিল সুচিত্রা-উত্তম।

বাংলা সিনেমার অঙ্গনে সুচিত্রার পদার্পণের পর শুরু হয়েছিল নতুন এক অধ্যায়ের। পাশের বাড়ির অতি চেনা-জানা ছেলে উত্তমের সঙ্গে স্বপ্নসুন্দরী সুচিত্রার ভালোবাসার গল্পে বাঙালি খুঁজে পেয়েছিল কবিতার বনলতা সেনকে! উত্তম কুমারের সঙ্গে তাঁর জুটি হয়ে উঠেছিল চিরন্তন প্রেমের প্রতীক। একটা সময় গেছে যখন উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত বিভিন্ন ছবির অনুকরণে নবদম্পতিরা ফটো স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তুলে আনন্দ পেতেন।

২৬ বছরের অভিনয় জীবনে ৬১টি ছবিতে অভিনয় করেছেন সুচিত্রা সেন। বেশির ভাগ ছবিই দর্শকের হৃদয় বিপুলভাবে মুগ্ধতার আবেশে জড়িয়ে রেখেছে। সুচিত্রা সেন নামটিতেই যে অনিন্দ্যসুন্দর অবয়ব ভেসে ওঠে, তাঁর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে রূপকথার রাজকন্যাকে। কোনো এক পরীর জাদুতেই হয়তো সুচিত্রা জয় করে নিয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষের মন। সুচিত্রার চিবুকের তিল, সুবিন্যস্ত দাঁত, টিকালো নাকের চেয়েও দর্শক ভালোবেসেছিলেন তাঁর বাঙ্ময় চোখ আর সেই চোখের ভাষা। থ্রি কোয়ার্টার হাতার কাজ করা ব্লাউজ, শাড়িতে লেস এমনকি শুধু বেণিবাঁধা চুলকে সামনে নিয়ে আসার স্টাইলে পঞ্চাশের দশকেও সুচিত্রা পুরোপুরি আধুনিক।

আটপৌরে বাঙালি নারীও যে আবেদনময়ী আর অনন্য হয়ে উঠতে পারেন, সুচিত্রা সেন যেন তাঁর প্রকৃত উদাহরণ।

বিনোদন ডেস্ক: সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি সুচিত্রা সেনের মৃত্যুদিবস। ১৯৩১-এ জন্ম বাংলাদেশেই। ১৯১৪ সালের আজকের এই দিনে তিনি কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল বেলভিউতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।

তাঁর রোমান্টিক দৃষ্টির মধ্যে ছিল সম্মোহনী শক্তি, যার আকর্ষণে দর্শকরা হতেন মোহাবিষ্ট। বিশেষ করে তাঁর মুখ, গভীর চোখের চাহনি, কথা বলার ভঙ্গি ও মোহময়ী হাসির মধ্যে গড়ে উঠেছিল এক অসাধারণ স্ক্রিন পার্সোনালিটি। বিগত শতাব্দের পঞ্চাশের দশকে আত্মপ্রকাশ সুচিত্রা সেনের।

উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলা ছবিতে যেন একটা নতুন মাত্রা এনেছিলেন। অনেকেই বলে থাকেন সুচিত্রা সেন নাকি তাঁর রূপ দিয়েই সিনেমার রাজত্বটা অর্ধেক জয় করে নিয়েছিলেন। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি দক্ষ অভিনেত্রীর পরিচয়ও রেখেছেন।

‘সপ্তপদী’, ‘দীপ জ্বেলে যাই,’ ‘হারানো সুর’, ‘সাত পাকে বাঁধা’ এবং হিন্দি ‘দেবদাস’, ‘আঁধি’ ছবিগুলোই তার প্রমাণ। বাঙালির মানস-সুন্দরী সুচিত্রা সেন কখনো গ্ল্যামারাস নায়িকা, কখনো স্নেহময়ী মা, কখনো আটপৌরে বউ…। ছবির টাইটেলে লেখা থাকত উত্তম-সুচিত্রা, পরে সেটা বদলে হয়েছিল সুচিত্রা-উত্তম।

বাংলা সিনেমার অঙ্গনে সুচিত্রার পদার্পণের পর শুরু হয়েছিল নতুন এক অধ্যায়ের। পাশের বাড়ির অতি চেনা-জানা ছেলে উত্তমের সঙ্গে স্বপ্নসুন্দরী সুচিত্রার ভালোবাসার গল্পে বাঙালি খুঁজে পেয়েছিল কবিতার বনলতা সেনকে! উত্তম কুমারের সঙ্গে তাঁর জুটি হয়ে উঠেছিল চিরন্তন প্রেমের প্রতীক। একটা সময় গেছে যখন উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত বিভিন্ন ছবির অনুকরণে নবদম্পতিরা ফটো স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তুলে আনন্দ পেতেন।

২৬ বছরের অভিনয় জীবনে ৬১টি ছবিতে অভিনয় করেছেন সুচিত্রা সেন। বেশির ভাগ ছবিই দর্শকের হৃদয় বিপুলভাবে মুগ্ধতার আবেশে জড়িয়ে রেখেছে। সুচিত্রা সেন নামটিতেই যে অনিন্দ্যসুন্দর অবয়ব ভেসে ওঠে, তাঁর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে রূপকথার রাজকন্যাকে। কোনো এক পরীর জাদুতেই হয়তো সুচিত্রা জয় করে নিয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষের মন। সুচিত্রার চিবুকের তিল, সুবিন্যস্ত দাঁত, টিকালো নাকের চেয়েও দর্শক ভালোবেসেছিলেন তাঁর বাঙ্ময় চোখ আর সেই চোখের ভাষা। থ্রি কোয়ার্টার হাতার কাজ করা ব্লাউজ, শাড়িতে লেস এমনকি শুধু বেণিবাঁধা চুলকে সামনে নিয়ে আসার স্টাইলে পঞ্চাশের দশকেও সুচিত্রা পুরোপুরি আধুনিক।

আটপৌরে বাঙালি নারীও যে আবেদনময়ী আর অনন্য হয়ে উঠতে পারেন, সুচিত্রা সেন যেন তাঁর প্রকৃত উদাহরণ।