ঢাকা ব্যুরো: নানা অভিযোগের কারণে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডে অবস্থিত কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের সব ধরনের অনুমোদন বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবা বিলকিস সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন সমস্যার কারণে ২৩ অক্টোবরের সভায় এই মেডিক্যাল কলেজের কর্মকাণ্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সে কারণে ‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২’ এর ধারা-২৪ অনুযায়ী কলেজটির অনুমোদন বাতিল করা হয়।
এর আগে, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে রিট পিটিশন করে কার্যক্রম চালু রাখে। গত ২৬ জুলাই রিট পিটিশনটি প্রত্যাহার করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত পাঁচ বছরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজটির মানোন্নয়ন করতে পারেনি এবং একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের গঠিত পরিদর্শন কমিটি গত ১৪ জুন কেয়ার মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করে। পরিদর্শন প্রতিবেদনে দেখা যায়, কলেজটিতে সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ নেই। শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। হাসপাতাল ও কলেজের নামে নিজস্ব জমি নেই। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল একই ক্যাম্পাসে অবস্থিত নয়, হাসপাতালের বেড ৭০ শতাংশের স্থলে মাত্র ১০ শতাংশ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা, ২০১১ (সংশোধিত) এবং ‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০১২’ অনুযায়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ পরিচালনার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের আবেদন এবং সূত্রস্থ ২ নম্বর স্মারকের পত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে। এরপর সূত্রস্থ ২ নম্বর স্মারকের মাধ্যমে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণ করা হয়। মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় ২৩ অক্টোবর সচিবের সভাপতিত্বে কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সভা হয়। সভায় কলেজটির নানা ঘাটতি ও সমস্যা থাকায় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএসে কোনও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়নি বলে জানান প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। তারা জানান, কলেজটি পরিচালনায় আর আগ্রহী নন।




