রাউজান প্রতিনিধি: রাউজানে পুকুর জলাশয় কমছে, বাড়ছে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার সরকারী বেসরকারী ভাবে বসানো হচ্ছে গভীর নলকুপ। ব্যাপকভাবে গভীর নলকুপ বসিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে অগভীর নলকুপ গুলোতে পানি উঠছেনা । যে কোন সময়ে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট দেখা দেওয়ার আশংকা রয়েছে ।

চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একসময়ে পুকুর জলাশয়ের পানি ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত গোসলসহ ঘরের আসবাব পত্র ধোয়া মোচার কাজ করতো এলাকার বাসিন্দ্বারা । অগভীর নলকুপ থেকে উত্তোলন করা পানি খাওয়ার পানি হিসাবে ব্যবহার করতো । গত কয়েক বৎসর ধরে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর জলাশয় ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বাণ্যিজিক ভবন, আবাসিক ভবন।

পুকুর জলাশয়ের পানি ব্যবহার না করে সরকারী ভাবে বসানো গভীর নলকুপ, বেসরকারী ভাবে প্রতিটি এলাকার ঘরে ঘরে ব্যক্তিগত ভাবে বসানো হয়েছে গভীর নলকুপ  প্রতিটি এলাকার বসবাসকারী বাসিন্দরা গভীর নলকুপের পানি বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে উত্তোলন করে ঘরের মধ্যে গোসল, ধোয়া মোচার কাজ আসবাব পত্র ধৌত করছে ।

গভীর নলকুপের পানি খাওয়ার পানি হিসাবে ব্যবহার করছে । রাউজানে পুকুর জলাশয় ভরাট করার কারণে কমছে পুকুর জলাশয়, বাড়ছে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার ।

সরেজমিনে পরিদর্শন ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক যুগ পুর্বে রাউজানের নোয়াপাড়ায় ভরাট করা হয়েছে কমলার দিঘি, রাজার দীঘি, রাউজান নোয়াপাড়া পথের হাট বাজার ও বাজারের পাশে কয়েকটি পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বাণ্যিজিক ভবন, আবাসিক ভবন, কর্তার দীঘির একাংশ ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে আবাসিক ভবন।

রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের পাহাড়তলী চৌমুহনী এলাকা ও উনসত্তর পাড়া এলাকায় কয়েকটি পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বাণ্যিজিক ভবন, আবাসিক ভবন।

রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের রঘুনন্দন চৌধুরী হাট, রাম বাজার, মগদাই কাগতিয়া উত্তর গুজরা এলাকার কয়েকটি পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা ।

পুর্ব গুজরা ইউনিয়নের বড়ঠাকুর পাড়া, হেয়ারা পাড়া, আধার মানিক, পশ্চিম আধার মানিক এলাকায় ও ভরাট করা হয়েছে বেশ কিছু পুকুর । পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে আবাসিক ভবন।

রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের আমির হাট বাজারের দক্ষিণ পাশে শত বৎসরের পুরাতন পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে বাণ্যিজিক ভবন ।

রাউজান পৌরসভার ৪নং ওযার্ডের সুলতানপুর দাইয়্যার ঘাটা এলাকায় শত বৎসরের পুরাতন পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয় বাণ্যিজিক ভবন।

রাউজান পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর বণিক পাড়া, নন্দীপাড়া এলাকায় কয়েকটি পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে আবাসিক ভবন ।

রাউজান পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া এলাকার প্রবেশমুখে পৌর কাউন্সিলর এডভোকেট সমীর দাশ গুপ্তের বাড়ীর সামনে শত বৎসরের পুরাতন পুকুরটি ভরাট করে । ভরাট করা পুকুরের একাংশে নির্মাণ করা হয়েছে বাণ্যিজিক প্রতিষ্ঠান । অবশিষ্ট ভরাট করা অংশে প্লট করে ঘরবাড়ী নির্মাণের জন্য বিক্রয় করা হচ্ছে ।

রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দাশ পাড়ার প্রবেশ মুখে ব্যবসায়ী স্বপন দাশ গুপ্তের বাড়ীর দক্ষিণ পাশে শত বৎসরের পুরাতন পুকুর ভরাট করা হয়েছে ।

রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের দারগো বাড়ীর উত্তর পাশে একটি পুরাতন পুকুর ভরাট কাজ চলছে । ছত্র পাড়া এলাকায় একটি পুকুর ভরাট করা হয়েছে । রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাইন্যা পুকুরের পশ্চিম পাশে কুলাল পাড়া এলাকায় পুরাতন পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে আবাসিক ভবন।

রাউজান পৌর সদরের ফকির হাট বাজারের পাশ্চিম পাশে ১শত ৩৫ শতক আয়তনের শত বৎসরের পুরাতন পুকর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে ডিউ শপিং মার্কেট, তাহের প্লাজা, সিটি সেন্টার, নামের বহুতল বিশিষ্ট বাণ্যিজিক ভবন । রাউজান উপজেলঅ ডাকঘরের বিপরিতে একটি পুকুর ভরাট করা হয়েছে ।

রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের মালিকাধীন মহামুনি দীঘি, রাউজানের কদলপুর লস্কর উজির দীঘি, পুৃর্বগুজরা ইউনিয়নের মহাজনের দীঘি, রাউজান উপজেলার কদলপুরে ফতেহ আলী চৌধুরী দীঘি, রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের জলিল নগর বাস ষ্টেশনের দক্ষিণ পাশে রায়মুকুট দীঘি, রাউজানের ডাবুয়ায় ধরবাড়ী দীঘি, রাউজানের চিকদাইর ইউনিয়নের চিকদাইর মহতের দীঘি, রাউজানের পশ্চিম ডাবয়ায় এককালের প্রভাবশালী জমিদার ভৈরব সওদাগারের দীঘি, রাউজান নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নোয়াজিশপুর ঈশা খা দীঘি, নসরত নদীম পুর দীঘি, চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিণ সর্তা এলাকায় গোলক মহাজন দীঘি, পাঠান পাড়া এলাকায় রয়েছে ছোট্টার দীঘি।

রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের বৃকবানপুর এলাকায় রয়েছে বৃকবানপুর দীঘি । ডাবুয়া ইউনিয়নের কলমপতি এলাকায় রয়েছে সুধীর ডাক্তারদীঘি, ৭ নং রাউজান ইউনিয়নের পশ্চিম রাউজান এলাকায় আমির চৌধুরী দীঘি।

রাউজানের গহিরা ইউনিয়নের কোতয়ালী ঘোনায় রয়েছে নসরত বাদশা দীঘি, দলই নগরে দৌলত শাহ দীঘি । রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মগদাই এলঅকায় রয়েছে জলপাইন্যা দীঘি। এসব দীঘির পানি এলাকার লোকজন গোসলসহ  ধোয়া মোছার কাজ করে আসছে ।

এসব দীঘির পানিতে মাছ চাষ করে বিপুল পরিমাণ মাছ উৎপাদন করছে মাছ চাষীরা । এসব বড় বড় দীঘির মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের মালিকাধীন মহামুনি দীঘি। রাউজানের কদলপুর লস্কর উজির দীঘি, পুৃর্বগুজরা ইউনিয়নের মহাজনের দীঘি, নোয়াজিশপুর ঈশা খা দীঘি, পশ্চিম গুজরা মগদাই জলপাইন্যা দীঘি, হলদিয়া ইউনিয়নের বৃকবানুপর দীঘি সরকারী খাসঁদীঘি । সরকারী খাস মালিকাধীন দীঘি গুলো ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে ইজারাদার লাভবান হয়ে আসছে । গত কয়েক বৎসর ধরে সরকারী খাস দীঘিগুলোর ইজারা নেয়নি কেউ। পুর্বের ইজারাদার মাছ চাষ করে রাউজান উপজেলা প্রশাসনের কাছে বাৎসরিক ইজারা টাকা প্রদান করে আ্সছে ।

রাউজান উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য মতে রাউজানের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় পুকুর রয়েছে ৩ হাজার ৯শত ৭৯টি । পুর্বের গভীর নলকুপের সংখ্যা রয়েছে ৯শত ৭৯টি। সরকারী ভাবে বসানো অগভীর নলকুপের সংখ্যা রয়েছে ৩ হাজার ৮শত ৯৫টি । তবে বর্তমানে সরকারী ভাবে বসানো অগভীর নলকুপগুলো অধিকাংশ অকেজো হয়ে পড়েছে । কিছু সচল থাকলে ও ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অসভীর নলকুপগুলোতে পানি উঠছেনা ।

রাউজান উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ সহকারী প্রকৌশলী রহমত উল্লাহ বলেন., গত চার বৎসরের মধ্যে রাউজানের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় সরকারী ভাবে বসানো হয়েছে ৮শত ৬৫টি গভীর নলকুপ, তার মধ্যে ২৩টি অকেজো হয়ে পড়েছে । অবশিষ্ট ৮শত ৪২টি সচল রয়েছে, সরকারী ভাবে বসানো ৩শত ৬১টি তারা গভীর নলকুপ বসানো হয়েছে ।

এছাড়া ও রাউজানের প্রতিটি এলাকায় প্রতি বাড়ীতে ঘরে ঘরে গভীর নলকুপ ব্যক্তিগত ভাবে বসিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে এলাকার বাসিন্দারা পানি নিত্তনৈমত্তিক কাজে ব্যবহার করছে ।

রাউজানে পুকুর জলাশয় ভরাট করে ব্যাপক হারে বাণ্যিজিক ভবন ও আবাসিক ভবন নির্মাণ করায় পুকুর সরকারী পরিসংখান মতে থাকা পুকুর জলাশয় এখন আর নেই। পুকুর জলাশয়ের সংখ্যা দিন দিন কমছে । ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত ।

রাউজান উপজেলঅ নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, পুকুর জলাশয় ভরাট করা সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে । রাউজান উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় পুকুর জলাশয় ভরাট ও কৃষি জমি ভরাট ও খনন করলে তাদের বিরুদ্বে আইনগতঃ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে । পুকুর জলাশয় ভরাট ও কৃষি জমি ভরাট করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ আরো বলেন, রাউজানে সরকারী খাস দীঘি ও পুকুর গুলো বর্তমান আইন অনুসারে ব্যক্তিগত ভাবে ইজারা দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারী দীঘি ও পুকুর মৎস সমবায় সমিতির কাছে ইজারা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সরকার। সরকারী খাস দীঘি ও পুকুরগুলো মৎস সমবায় সমিতির নামে ইজারা দিতে চাইলে, মৎস সমবায় সমিতি নামের কেউ ইজারা নেয়নি ।

বর্তমানে সরকারী খাস দীঘি ও পুকুর গুলো সরকারী ভাবে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মাছ চাষীদের কাছ থেকে খাস কালেকশনের মাধ্যমে ইজারা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হলে ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে কোন অনুমতি না পায়নি ।

রাউজান প্রতিনিধি: রাউজানে পুকুর জলাশয় কমছে, বাড়ছে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার সরকারী বেসরকারী ভাবে বসানো হচ্ছে গভীর নলকুপ। ব্যাপকভাবে গভীর নলকুপ বসিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে অগভীর নলকুপ গুলোতে পানি উঠছেনা । যে কোন সময়ে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট দেখা দেওয়ার আশংকা রয়েছে ।

চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একসময়ে পুকুর জলাশয়ের পানি ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত গোসলসহ ঘরের আসবাব পত্র ধোয়া মোচার কাজ করতো এলাকার বাসিন্দ্বারা । অগভীর নলকুপ থেকে উত্তোলন করা পানি খাওয়ার পানি হিসাবে ব্যবহার করতো । গত কয়েক বৎসর ধরে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর জলাশয় ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বাণ্যিজিক ভবন, আবাসিক ভবন।

পুকুর জলাশয়ের পানি ব্যবহার না করে সরকারী ভাবে বসানো গভীর নলকুপ, বেসরকারী ভাবে প্রতিটি এলাকার ঘরে ঘরে ব্যক্তিগত ভাবে বসানো হয়েছে গভীর নলকুপ  প্রতিটি এলাকার বসবাসকারী বাসিন্দরা গভীর নলকুপের পানি বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে উত্তোলন করে ঘরের মধ্যে গোসল, ধোয়া মোচার কাজ আসবাব পত্র ধৌত করছে ।

গভীর নলকুপের পানি খাওয়ার পানি হিসাবে ব্যবহার করছে । রাউজানে পুকুর জলাশয় ভরাট করার কারণে কমছে পুকুর জলাশয়, বাড়ছে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার ।

সরেজমিনে পরিদর্শন ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক যুগ পুর্বে রাউজানের নোয়াপাড়ায় ভরাট করা হয়েছে কমলার দিঘি, রাজার দীঘি, রাউজান নোয়াপাড়া পথের হাট বাজার ও বাজারের পাশে কয়েকটি পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বাণ্যিজিক ভবন, আবাসিক ভবন, কর্তার দীঘির একাংশ ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে আবাসিক ভবন।

রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের পাহাড়তলী চৌমুহনী এলাকা ও উনসত্তর পাড়া এলাকায় কয়েকটি পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বাণ্যিজিক ভবন, আবাসিক ভবন।

রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের রঘুনন্দন চৌধুরী হাট, রাম বাজার, মগদাই কাগতিয়া উত্তর গুজরা এলাকার কয়েকটি পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা ।

পুর্ব গুজরা ইউনিয়নের বড়ঠাকুর পাড়া, হেয়ারা পাড়া, আধার মানিক, পশ্চিম আধার মানিক এলাকায় ও ভরাট করা হয়েছে বেশ কিছু পুকুর । পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে আবাসিক ভবন।

রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের আমির হাট বাজারের দক্ষিণ পাশে শত বৎসরের পুরাতন পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে বাণ্যিজিক ভবন ।

রাউজান পৌরসভার ৪নং ওযার্ডের সুলতানপুর দাইয়্যার ঘাটা এলাকায় শত বৎসরের পুরাতন পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয় বাণ্যিজিক ভবন।

রাউজান পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর বণিক পাড়া, নন্দীপাড়া এলাকায় কয়েকটি পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে আবাসিক ভবন ।

রাউজান পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া এলাকার প্রবেশমুখে পৌর কাউন্সিলর এডভোকেট সমীর দাশ গুপ্তের বাড়ীর সামনে শত বৎসরের পুরাতন পুকুরটি ভরাট করে । ভরাট করা পুকুরের একাংশে নির্মাণ করা হয়েছে বাণ্যিজিক প্রতিষ্ঠান । অবশিষ্ট ভরাট করা অংশে প্লট করে ঘরবাড়ী নির্মাণের জন্য বিক্রয় করা হচ্ছে ।

রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দাশ পাড়ার প্রবেশ মুখে ব্যবসায়ী স্বপন দাশ গুপ্তের বাড়ীর দক্ষিণ পাশে শত বৎসরের পুরাতন পুকুর ভরাট করা হয়েছে ।

রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের দারগো বাড়ীর উত্তর পাশে একটি পুরাতন পুকুর ভরাট কাজ চলছে । ছত্র পাড়া এলাকায় একটি পুকুর ভরাট করা হয়েছে । রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাইন্যা পুকুরের পশ্চিম পাশে কুলাল পাড়া এলাকায় পুরাতন পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে আবাসিক ভবন।

রাউজান পৌর সদরের ফকির হাট বাজারের পাশ্চিম পাশে ১শত ৩৫ শতক আয়তনের শত বৎসরের পুরাতন পুকর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে ডিউ শপিং মার্কেট, তাহের প্লাজা, সিটি সেন্টার, নামের বহুতল বিশিষ্ট বাণ্যিজিক ভবন । রাউজান উপজেলঅ ডাকঘরের বিপরিতে একটি পুকুর ভরাট করা হয়েছে ।

রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের মালিকাধীন মহামুনি দীঘি, রাউজানের কদলপুর লস্কর উজির দীঘি, পুৃর্বগুজরা ইউনিয়নের মহাজনের দীঘি, রাউজান উপজেলার কদলপুরে ফতেহ আলী চৌধুরী দীঘি, রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের জলিল নগর বাস ষ্টেশনের দক্ষিণ পাশে রায়মুকুট দীঘি, রাউজানের ডাবুয়ায় ধরবাড়ী দীঘি, রাউজানের চিকদাইর ইউনিয়নের চিকদাইর মহতের দীঘি, রাউজানের পশ্চিম ডাবয়ায় এককালের প্রভাবশালী জমিদার ভৈরব সওদাগারের দীঘি, রাউজান নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নোয়াজিশপুর ঈশা খা দীঘি, নসরত নদীম পুর দীঘি, চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিণ সর্তা এলাকায় গোলক মহাজন দীঘি, পাঠান পাড়া এলাকায় রয়েছে ছোট্টার দীঘি।

রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের বৃকবানপুর এলাকায় রয়েছে বৃকবানপুর দীঘি । ডাবুয়া ইউনিয়নের কলমপতি এলাকায় রয়েছে সুধীর ডাক্তারদীঘি, ৭ নং রাউজান ইউনিয়নের পশ্চিম রাউজান এলাকায় আমির চৌধুরী দীঘি।

রাউজানের গহিরা ইউনিয়নের কোতয়ালী ঘোনায় রয়েছে নসরত বাদশা দীঘি, দলই নগরে দৌলত শাহ দীঘি । রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মগদাই এলঅকায় রয়েছে জলপাইন্যা দীঘি। এসব দীঘির পানি এলাকার লোকজন গোসলসহ  ধোয়া মোছার কাজ করে আসছে ।

এসব দীঘির পানিতে মাছ চাষ করে বিপুল পরিমাণ মাছ উৎপাদন করছে মাছ চাষীরা । এসব বড় বড় দীঘির মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের মালিকাধীন মহামুনি দীঘি। রাউজানের কদলপুর লস্কর উজির দীঘি, পুৃর্বগুজরা ইউনিয়নের মহাজনের দীঘি, নোয়াজিশপুর ঈশা খা দীঘি, পশ্চিম গুজরা মগদাই জলপাইন্যা দীঘি, হলদিয়া ইউনিয়নের বৃকবানুপর দীঘি সরকারী খাসঁদীঘি । সরকারী খাস মালিকাধীন দীঘি গুলো ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে ইজারাদার লাভবান হয়ে আসছে । গত কয়েক বৎসর ধরে সরকারী খাস দীঘিগুলোর ইজারা নেয়নি কেউ। পুর্বের ইজারাদার মাছ চাষ করে রাউজান উপজেলা প্রশাসনের কাছে বাৎসরিক ইজারা টাকা প্রদান করে আ্সছে ।

রাউজান উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য মতে রাউজানের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় পুকুর রয়েছে ৩ হাজার ৯শত ৭৯টি । পুর্বের গভীর নলকুপের সংখ্যা রয়েছে ৯শত ৭৯টি। সরকারী ভাবে বসানো অগভীর নলকুপের সংখ্যা রয়েছে ৩ হাজার ৮শত ৯৫টি । তবে বর্তমানে সরকারী ভাবে বসানো অগভীর নলকুপগুলো অধিকাংশ অকেজো হয়ে পড়েছে । কিছু সচল থাকলে ও ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অসভীর নলকুপগুলোতে পানি উঠছেনা ।

রাউজান উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ সহকারী প্রকৌশলী রহমত উল্লাহ বলেন., গত চার বৎসরের মধ্যে রাউজানের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় সরকারী ভাবে বসানো হয়েছে ৮শত ৬৫টি গভীর নলকুপ, তার মধ্যে ২৩টি অকেজো হয়ে পড়েছে । অবশিষ্ট ৮শত ৪২টি সচল রয়েছে, সরকারী ভাবে বসানো ৩শত ৬১টি তারা গভীর নলকুপ বসানো হয়েছে ।

এছাড়া ও রাউজানের প্রতিটি এলাকায় প্রতি বাড়ীতে ঘরে ঘরে গভীর নলকুপ ব্যক্তিগত ভাবে বসিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে এলাকার বাসিন্দারা পানি নিত্তনৈমত্তিক কাজে ব্যবহার করছে ।

রাউজানে পুকুর জলাশয় ভরাট করে ব্যাপক হারে বাণ্যিজিক ভবন ও আবাসিক ভবন নির্মাণ করায় পুকুর সরকারী পরিসংখান মতে থাকা পুকুর জলাশয় এখন আর নেই। পুকুর জলাশয়ের সংখ্যা দিন দিন কমছে । ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত ।

রাউজান উপজেলঅ নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, পুকুর জলাশয় ভরাট করা সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে । রাউজান উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় পুকুর জলাশয় ভরাট ও কৃষি জমি ভরাট ও খনন করলে তাদের বিরুদ্বে আইনগতঃ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে । পুকুর জলাশয় ভরাট ও কৃষি জমি ভরাট করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ আরো বলেন, রাউজানে সরকারী খাস দীঘি ও পুকুর গুলো বর্তমান আইন অনুসারে ব্যক্তিগত ভাবে ইজারা দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারী দীঘি ও পুকুর মৎস সমবায় সমিতির কাছে ইজারা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সরকার। সরকারী খাস দীঘি ও পুকুরগুলো মৎস সমবায় সমিতির নামে ইজারা দিতে চাইলে, মৎস সমবায় সমিতি নামের কেউ ইজারা নেয়নি ।

বর্তমানে সরকারী খাস দীঘি ও পুকুর গুলো সরকারী ভাবে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মাছ চাষীদের কাছ থেকে খাস কালেকশনের মাধ্যমে ইজারা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হলে ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে কোন অনুমতি না পায়নি ।