কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে আজ শনিবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা ও ইউনিয়ন সমুহে আইনগত সহয়তা প্রদান (লিগ্যাল এইড) কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণ এবং গ্রাম আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অর্ধ-বার্ষিকী সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা আইনগত সহয়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল।

সভাপতির স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা, পর্যটন, মাদক, চোরাচালান ও পারিবারিক সহিংসতা সহ নানা কারণে মামলার জট বাড়ছে। এক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যানরা গুরুতৃবপুর্ণ ভুমিকা রাখছে। তবে আইনানুযায়ী একজন চেয়ারম্যান ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিচারকাজ করতে পারে। তাই, এই সমন্বয় সভা থেকে টাকার পরিমাণ আরও বাড়াতে সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে।

ইউপি চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, জেলার তৃণমূল থেকে আপনারা কেউ আওয়ামীলীগ, বিএনপি আবার কেউ কেউ জামায়াত সহ অন্যান্য দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তাই বলে বিচারকার্যে নিরপেক্ষতা হারাবেন না। সব পেশা শ্রেণীর মানুষকে সমান চোখে দেখে নিরপেক্ষ বিচার করার আহবান জানান। কোন বিচারপ্রার্থী বা ভুক্তভোগীর অভিযোগ বা এজাহারের সিডিউল থাকতে হবে এবং স্পষ্ট করে লিপিবদ্ধ করে আদালতে পাঠাতে হবে।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা আইনগত সহয়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল সভাপতিত্ব সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ সাজ্জাতুননেছা লিপি জানান, ‘কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা আইনগত সহয়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইলের নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় লিগ্যাল এইড) কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণ এবং গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনপ্রতিনিধিদের আইন বিষয়ে ধারণা দেয়া হয় এবং আগামী অর্থবছরে লিগ্যাল এইডের জন্য অর্থ বরাদ্দের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়, পাশাপাশি ইউনিয়ন এবং উপজেলা কমিটি গঠন করে সেটি ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদের ওয়েবপোর্টালে আপলোড করতে বলা হয়। যাতে করে জনগন সহজে লিগ্যাল এইড কমিটি সদস্যদের খুজে পায়।

এতে উপস্থিত আইনজীবী, পৌর মেয়র, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানরা বক্তব্য রাখেন।

সভায় কক্সবাজার জেলা আইনগত সহয়তা প্রদান কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত সভায় কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা জজ) মোঃ মশিউর রহমান খান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ আবদুর রহিম, কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকী সহ জেলার অন্যান্য বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার, জিপি এডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম, জেলার সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, স্পেশাল পিপি এডভোকেট বদিউল আলম, এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা, এডভোকেট একরামুল হুদা, জেলা আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীবৃন্দ, সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটরবৃন্দ, জেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পিপিজে-কক্সবাজার প্রকল্পের প্রতিনিধি প্রকল্প ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে আজ শনিবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা ও ইউনিয়ন সমুহে আইনগত সহয়তা প্রদান (লিগ্যাল এইড) কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণ এবং গ্রাম আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অর্ধ-বার্ষিকী সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা আইনগত সহয়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল।

সভাপতির স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা, পর্যটন, মাদক, চোরাচালান ও পারিবারিক সহিংসতা সহ নানা কারণে মামলার জট বাড়ছে। এক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যানরা গুরুতৃবপুর্ণ ভুমিকা রাখছে। তবে আইনানুযায়ী একজন চেয়ারম্যান ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিচারকাজ করতে পারে। তাই, এই সমন্বয় সভা থেকে টাকার পরিমাণ আরও বাড়াতে সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে।

ইউপি চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, জেলার তৃণমূল থেকে আপনারা কেউ আওয়ামীলীগ, বিএনপি আবার কেউ কেউ জামায়াত সহ অন্যান্য দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তাই বলে বিচারকার্যে নিরপেক্ষতা হারাবেন না। সব পেশা শ্রেণীর মানুষকে সমান চোখে দেখে নিরপেক্ষ বিচার করার আহবান জানান। কোন বিচারপ্রার্থী বা ভুক্তভোগীর অভিযোগ বা এজাহারের সিডিউল থাকতে হবে এবং স্পষ্ট করে লিপিবদ্ধ করে আদালতে পাঠাতে হবে।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা আইনগত সহয়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল সভাপতিত্ব সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কক্সবাজার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ সাজ্জাতুননেছা লিপি জানান, ‘কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা আইনগত সহয়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইলের নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় লিগ্যাল এইড) কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণ এবং গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনপ্রতিনিধিদের আইন বিষয়ে ধারণা দেয়া হয় এবং আগামী অর্থবছরে লিগ্যাল এইডের জন্য অর্থ বরাদ্দের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়, পাশাপাশি ইউনিয়ন এবং উপজেলা কমিটি গঠন করে সেটি ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদের ওয়েবপোর্টালে আপলোড করতে বলা হয়। যাতে করে জনগন সহজে লিগ্যাল এইড কমিটি সদস্যদের খুজে পায়।

এতে উপস্থিত আইনজীবী, পৌর মেয়র, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানরা বক্তব্য রাখেন।

সভায় কক্সবাজার জেলা আইনগত সহয়তা প্রদান কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত সভায় কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা জজ) মোঃ মশিউর রহমান খান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ আবদুর রহিম, কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকী সহ জেলার অন্যান্য বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার, জিপি এডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম, জেলার সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, স্পেশাল পিপি এডভোকেট বদিউল আলম, এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা, এডভোকেট একরামুল হুদা, জেলা আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীবৃন্দ, সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটরবৃন্দ, জেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পিপিজে-কক্সবাজার প্রকল্পের প্রতিনিধি প্রকল্প ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।