নিজস্ব প্রতিবেদক: পঞ্চভুত চক্র ভোজ্যতেলসহ ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। আজ রবিবার (১৫ মে ) বিকেলে সুজনের উত্তর কাট্টলীস্থ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এ অভিযোগ করেন ।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সবসময়ই নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাস্তবসম্মত পদক্ষেপগুলো ভন্ডুল করতে চক্রান্ত করে একটি সুবিধাবাদী চক্র। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও এ চক্রের সাথে সরাসরি যুক্ত। সম্প্রতি তারা দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলত প্রতি কেজিতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে তারা রাতারাতি জনগনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে তারা সবসময় একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। এদের রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়। দেখা যাচ্ছে যে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ ব্রান্ডের ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হচ্ছে।
সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, যারা বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই জনগন মনে করে সরকারকে পরিকল্পিতভাবে বেকায়দায় ফেলে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারাতে লিপ্ত রয়েছে পঞ্চভুত চক্রটি। তিনি জনগনকে চোখ কান খোলা রাখার পরামর্শ দিয়ে হাট, বাজার, দোকান কিংবা গুদামে কোন ধরণের ভোগ্যপণ্য গুদামজাত করার খবর পেলে সাথে সাথে ভোক্তা অধিকার কিংবা নাগরিক উদ্যোগকে জানানোর অনুরোধ জানান। নাগরিক উদ্যোগ ভোক্তাদের স্বার্থে প্রয়োজনে জনগনকে সাথে নিয়ে বাজারে বাজারে গিয়ে এসব অশুভ চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এসব সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সুজন।
তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামের গুরুত্ব উপলব্দি করে চট্টগ্রামের জনগনের স্বাস্থ্য সেবায় একটি বিশেষায়িত হৃদরোগ হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব চট্টগ্রামের সন্তান ড. আহমদ কায়কাউস এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সুজন।
তিনি আরো বলেন সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। ঈদের সময় বিপুল সংখ্যক মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে গিয়েছেন। আমরা বিভিন্ন তথ্য মতে জানতে পেরেছি অনেকেই বিদেশ থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরে আসছেন। দেশে ফেরার পর তারা কেউই করোনার নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। নমুনা পরীক্ষা না করে তারা সভা-সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠান, অফিস-আদালত কিংবা ব্যবসা বাণিজ্যে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে আসছেন। ফলে বিদেশ থেকে আসা একজন ব্যক্তিও যদি করোনায় আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ পুনরায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। তাই দেশের সকল বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থল ও নৌ বন্দরে স্ক্রিনিং এবং করোনার নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। এ ব্যাপারে দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনি।
সুজন নগরবাসীকে মাস্ক পরিধান করার উপরও গুরুত্বারোপ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা প্রদান করেছেন এবং যে কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। তারপরও সচেতন থাকার কোন বিকল্প নেই। তাই নগরবাসীকে মাস্ক পড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান খোরশেদ আলম সুজন।
নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান মিয়া, নুরুল কবির, মো. ইলিয়াছ, মো. মোরশেদ আলম, শিশির কান্তি বল, নিজাম উদ্দিন, অর্নিবাণ দাশ বাবু, মো. আলাউদ্দিন, রকিবুল আলম সাজ্জী, মো. জাহাঙ্গীর, মো. ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মো. মামুন, জোবায়ের হোসেন, তুষার আহমেদ, ফয়সাল ওয়াসি, মো. ফোরকান প্রমূখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: পঞ্চভুত চক্র ভোজ্যতেলসহ ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। আজ রবিবার (১৫ মে ) বিকেলে সুজনের উত্তর কাট্টলীস্থ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এ অভিযোগ করেন ।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সবসময়ই নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাস্তবসম্মত পদক্ষেপগুলো ভন্ডুল করতে চক্রান্ত করে একটি সুবিধাবাদী চক্র। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও এ চক্রের সাথে সরাসরি যুক্ত। সম্প্রতি তারা দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলত প্রতি কেজিতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে তারা রাতারাতি জনগনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে তারা সবসময় একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। এদের রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়। দেখা যাচ্ছে যে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ ব্রান্ডের ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হচ্ছে।
সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, যারা বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই জনগন মনে করে সরকারকে পরিকল্পিতভাবে বেকায়দায় ফেলে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারাতে লিপ্ত রয়েছে পঞ্চভুত চক্রটি। তিনি জনগনকে চোখ কান খোলা রাখার পরামর্শ দিয়ে হাট, বাজার, দোকান কিংবা গুদামে কোন ধরণের ভোগ্যপণ্য গুদামজাত করার খবর পেলে সাথে সাথে ভোক্তা অধিকার কিংবা নাগরিক উদ্যোগকে জানানোর অনুরোধ জানান। নাগরিক উদ্যোগ ভোক্তাদের স্বার্থে প্রয়োজনে জনগনকে সাথে নিয়ে বাজারে বাজারে গিয়ে এসব অশুভ চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এসব সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সুজন।
তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামের গুরুত্ব উপলব্দি করে চট্টগ্রামের জনগনের স্বাস্থ্য সেবায় একটি বিশেষায়িত হৃদরোগ হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব চট্টগ্রামের সন্তান ড. আহমদ কায়কাউস এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সুজন।
তিনি আরো বলেন সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। ঈদের সময় বিপুল সংখ্যক মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে গিয়েছেন। আমরা বিভিন্ন তথ্য মতে জানতে পেরেছি অনেকেই বিদেশ থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরে আসছেন। দেশে ফেরার পর তারা কেউই করোনার নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। নমুনা পরীক্ষা না করে তারা সভা-সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠান, অফিস-আদালত কিংবা ব্যবসা বাণিজ্যে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে আসছেন। ফলে বিদেশ থেকে আসা একজন ব্যক্তিও যদি করোনায় আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ পুনরায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। তাই দেশের সকল বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থল ও নৌ বন্দরে স্ক্রিনিং এবং করোনার নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। এ ব্যাপারে দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনি।
সুজন নগরবাসীকে মাস্ক পরিধান করার উপরও গুরুত্বারোপ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা প্রদান করেছেন এবং যে কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। তারপরও সচেতন থাকার কোন বিকল্প নেই। তাই নগরবাসীকে মাস্ক পড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান খোরশেদ আলম সুজন।
নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান মিয়া, নুরুল কবির, মো. ইলিয়াছ, মো. মোরশেদ আলম, শিশির কান্তি বল, নিজাম উদ্দিন, অর্নিবাণ দাশ বাবু, মো. আলাউদ্দিন, রকিবুল আলম সাজ্জী, মো. জাহাঙ্গীর, মো. ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মো. মামুন, জোবায়ের হোসেন, তুষার আহমেদ, ফয়সাল ওয়াসি, মো. ফোরকান প্রমূখ।