নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘আজকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে বলতে চাই দক্ষিণ জেলার যে আসনগুলি আছে আগামী সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকেই মনোনয়ন দেক না কেন তাকেই আপনারা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটা আমার অনুরোধ। জয়যুক্ত করে আনতে পারবেন তখনই যখন আপনারা তৃণমূলকে সংগঠিত করতে পারবেন। তখন আপনারা তৃণমূল পর্যায়ে দৃঢ়তার সহিত জয় পাবেন। এই প্রতিনিধি সভায় এই মেসেজ দেওয়ার জন্য আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসেছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে আপনারা শক্তিশালী কমিটি করবেন। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী কমিটি করবেন এবং যারা ছাত্রলীগ আছে, যুবলীগ আছে তাদেরকেও বলবেন তারা যেন ভোট যখন আসবে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেন তাকে নিয়ে আপনারা ঘরে ঘরে যাবেন, আদবের সহিত ভোট চাইবেন এবং আপনারা যদি আদবের সহিত ভোট চান আপনারা ভোট পাবেন।’ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে দিনব্যাপী শুরু হয়েছে এ প্রতিনিধি সম্মেলন।
কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত করতে প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। এতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আওতাধীন ৮টি উপজেলার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাসহ প্রায় ৩ হাজার নেতা-কর্মী ও নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এ প্রতিনিধি সভায় অংশ নিয়েছেন।
দিনব্যাপী এ প্রতিনিধি সভায় মাঠ পর্যায়ের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নানান অভাব-অভিযোগের কথা শুনবেন কেন্দ্রীয় নেতারা এবং পরবর্তীতে তাদের দিকনির্দেশনা দেবেন।
বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘আমি আমার এলাকায় নয়বার নির্বাচন করছি, সাতবার এমপি হইছি আরও দুইবার হইতাম। হই নাই বিভিন্ন কারণে। তাই আজকে বলতে চাই ভোটে জিতার একমাত্র কৌশল হলো— আমরা সম্মানের সহিত আদবের সহিত মা-বোনের কাছে গিয়ে আমাদের ভোট চাওয়া। আমরা অনেক কাজ করেছি। যারা গৃহহীন তাদের ঘর দিয়েছি।
আজকে সারা বাংলাদেশ আলোকিত হয়েছে কার অবদান? শেখ হাসিনার অবদান। আমি শুধু বলবো আপনাদের মেসেজ দেওয়ার জন্য যে আপনারা প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী কমিটি গঠন করবেন। আপনারা ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করবেন। যেটা আমরা উত্তর জেলায় করি। দক্ষিণ জেলায় শক্তিশালী কমিটি থাকলে আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না। আমি এটা বিশ্বাস করি যে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কর্মী আছে, বঙ্গবন্ধুর কর্মী আছে, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থীকে পরাজিত করা সম্ভব হবে না। তাই আমার বিশ্বাস আপনারা একমাসের মধ্যে ওয়ার্ড কমিটি, থানা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করবেন।’
এ প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। বিশেষ বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগ অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আওয়ামী লীগ উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভীসহ আরও অনেকে।
 
															 
				
 
             
             
             
             
								 
															


