উত্তরা প্রতিনিধি: দৈনন্দিন জীবনে টাকার পাহাড় গড়তে মাজেদ খাঁন এখন অপরাধ চক্রের একজন হিরো বললেই চলে। হঠাৎই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠার রহস্যময় অজানা গল্প আর অজানা নেই। রাজধানীর উত্তরায় রাজউক কমার্শীয়াল মার্কেটের কমিটিতে আসার পর পরই দেখা গেছে তার দখলবাঁজি আর প্রতারণার তিব্রতা।
শুধু রাজউক মার্কেটেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে ব্যাবসায়ী মহল দেখে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা ।
জানা গেছে, খুনের মামলা সহ একাধীক প্রতারণার ভয়ংকর অভিযোগ নিয়েও সমাজে আতঙ্কের হিরো হয়ে ঘুড়ে বেড়ান মাজেদ। রাজউক মার্কেটের মসজিদ ভেঙে মার্কেট বানিয়ে ভাড়া দেবার মত জঘন্য কাজও ইতোমধ্যে সফল করেছে মাজেদ।
কুষ্টিয়ার আইলচারা গ্রাম/ রাস্তা ও আইলচারা ডাকঘর কুষ্টিয়া সদরের জনৈক ব্যাবসায়ী ঢাকায় ব্যাবসায় বিনিয়োগী কামরুজ্জামান বলেন, মাজেদ তার আবাসিক হোটেল বানিজ্যিক বলে প্রতারণা করে আমাকে ভাড়া দেবে বলে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জামানত নিয়েছে। পরে যাবতীয় নথিপত্র ও বিল্ডিং হস্তান্তর না করার পাঁয়তারা করছে। আমি তার হোটেল এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পরি এই হোটেলে অসামাজিক ব্যবসা করে পাপের সম্রাজ্য গড়ে তুলেছে মাজেদ। এসব বিষয় জেনে যাওয়ার পরে আমি টাকা ফেরত চাইলে মাজেদ কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে তালবাহানা করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে রীতিমতো। এ বিষয়ে আমি বনানী থানায় একটি অভিযোগ করি। মাজেদ আমাকে এখনও টাকা ফেরত দেয়নি।
আরো জানা গেছে, মাজেদ খাঁন ব্যবসায়ী কামরুজ্জামানকে ব্লু ওশেন নামক একটি নতুন বার লাইসেন্স করে দিবে বলে আরো বেশ কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়। একই সাথে বিবাদী প্রতারক মাজেদ খাঁন উত্তরায় তার রিভার ওয়েব নামক হোটেলটি ভাড়া দেবে বলেও ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জামানত নেন। অভিনব কায়দায় প্রতারণার পর তাকে প্লটটি আর বুঝিয়ে দেয়নি।
এই প্রতারক মাজেদ ২১-০৫- ২০২১ ইং তারিখে জামানত হিসাবে টাকা বুঝিয়া নেয়, কিন্তু প্লট বুঝিয়া দিতে বললে আজ দিবে কাল দিবে বলে বিড়ম্বনা করতে থাকে।, পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্লটটি আবাসিক। বানিজ্যিক প্লট বলে প্রতারণামূলকভাবে জামানতের টাকা নিয়ে ভংয়কর প্রতারণা করে। উত্তরাবাসী এই প্রতারক খুনি মাজেদের এমন প্রকাশ্যে প্রতারণা আর নিজেকে ভাল জাহির করতে লোক দেখানো ধর্মীয় কাজে নিয়োজিত হয়ে নিজেকে আঁড়াল করার চেষ্টা করছে।
রাজধানীর উত্তরায় মাজেদ নিজেকে কখনো কখনো ১৮ আসনের এমপি বলেও জাহির করে । আবার রাজনীতিতে বড় নেতা সাঁজতে দেয় বড় বড় ব্যনার ও পোষ্টার। ফলে দেখা গেছে, যারা তার প্রতারণায় ভুক্তভোগী তারা এখন হতাশ। উত্তরা বাসীর মনে এখন একটাই প্রশ্ন মানবতা কোথায়, আর এই খুনি প্রতারক মাজেদ খাঁনের খুটির জোর কোথায়?
এবিষয়ে জানতে মাজেদের সাথে মুঠোফোনে একাধীকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি ।( ২য় কিস্তি)