ঢাকা ব্যুরো: ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ কারণে মিরপুর রোডে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল। সেই সঙ্গে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাত থেকে এ পর্যন্ত চার সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন।

তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা পুলিশকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। দুপুর একটার দিকে তারা সংঘর্ষস্থলে আসে।

এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ এর বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার।

এদিকে, নিউমার্কেট এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে আন্দোলনকারীরা। তারা সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনও নিয়ে যায়। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি রোগীবাহী অ্যাম্বুল্যান্সও। তারা সেটিও ভাংচুর করেছে।

পুলিশের হামলা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সোমবার রাতের সংঘর্ষের জেরে আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা। পরে নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলতে এলে বাধা দেয় ছাত্ররা। এরপরই পাল্টা আক্রমণ চালায় ব্যবসায়ীরা।

 
এসময় নিজেদের ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা। অবরুদ্ধ থাকার পর সকাল ১১টার দিকে আবারও সড়ক অবরোধ শুরু করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ঢাকা কলেজের ছাদ থেকেও নিউমার্কেটের দিকে শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন- দীপ্ত টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আসিফ সুমিত ও ক্যামেরাপার্সন ইমরান লিপু।
 
এই মুহূর্তে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সর্বশেষ পরিস্থিতিতে জানা গেছে, দুপক্ষই মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে। তবে রমনা জোনের ডিসির কার্যালয়ে ব্যাবসায়িক নেতাদের সঙ্গে নিউমার্কেট এলাকার চলমান সংকট নিয়ে আলোচনায় বসেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এদিকে, পুলিশের গুলিতে আহত এক ছাত্র স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, নিউমার্কেটের একটি দোকানের কর্মচারী তাদের গায়ে হাত তুলে। পরে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য দলবল নিয়ে নিউমার্কেট এলাকায় আসে। এসময় তারা প্রথমে নিউমার্কেটের ৪ নম্বর গেট ও পরে ২ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। ২ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে কয়েকজন ঢুকেও পড়ে। পরে আমরা তাদের বুঝিয়ে হলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করি। তারা ফিরেও যায়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা রাস্তায় চলে আসার কারণে তাদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থার সৃষ্টি হয়।

পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্র নিউমার্কেটে যায়। যে দোকানে তারা গেছিল, সেই দোকানের কর্মচারীর সঙ্গে তাদের তর্ক হয়।

শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনো রাবার বুলেট নিক্ষেপ করিনি। আমরা শুধু টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছি। আমাদের বাহিনীকে সে রকমই নির্দেশ দেয়া ছিল। রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়ের বিষয়ে অবশ্যই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

সোমবার রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেটে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ভোর চারটার দিকে ফেসবুকে সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা ব্যুরো: ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ কারণে মিরপুর রোডে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল। সেই সঙ্গে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাত থেকে এ পর্যন্ত চার সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন।

তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা পুলিশকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। দুপুর একটার দিকে তারা সংঘর্ষস্থলে আসে।

এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের অন্তত ৩০ এর বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার।

এদিকে, নিউমার্কেট এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে আন্দোলনকারীরা। তারা সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনও নিয়ে যায়। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি রোগীবাহী অ্যাম্বুল্যান্সও। তারা সেটিও ভাংচুর করেছে।

পুলিশের হামলা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সোমবার রাতের সংঘর্ষের জেরে আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা। পরে নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলতে এলে বাধা দেয় ছাত্ররা। এরপরই পাল্টা আক্রমণ চালায় ব্যবসায়ীরা।

 
এসময় নিজেদের ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা। অবরুদ্ধ থাকার পর সকাল ১১টার দিকে আবারও সড়ক অবরোধ শুরু করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ঢাকা কলেজের ছাদ থেকেও নিউমার্কেটের দিকে শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন- দীপ্ত টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আসিফ সুমিত ও ক্যামেরাপার্সন ইমরান লিপু।
 
এই মুহূর্তে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সর্বশেষ পরিস্থিতিতে জানা গেছে, দুপক্ষই মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে। তবে রমনা জোনের ডিসির কার্যালয়ে ব্যাবসায়িক নেতাদের সঙ্গে নিউমার্কেট এলাকার চলমান সংকট নিয়ে আলোচনায় বসেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এদিকে, পুলিশের গুলিতে আহত এক ছাত্র স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, নিউমার্কেটের একটি দোকানের কর্মচারী তাদের গায়ে হাত তুলে। পরে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য দলবল নিয়ে নিউমার্কেট এলাকায় আসে। এসময় তারা প্রথমে নিউমার্কেটের ৪ নম্বর গেট ও পরে ২ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। ২ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে কয়েকজন ঢুকেও পড়ে। পরে আমরা তাদের বুঝিয়ে হলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করি। তারা ফিরেও যায়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা রাস্তায় চলে আসার কারণে তাদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থার সৃষ্টি হয়।

পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্র নিউমার্কেটে যায়। যে দোকানে তারা গেছিল, সেই দোকানের কর্মচারীর সঙ্গে তাদের তর্ক হয়।

শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনো রাবার বুলেট নিক্ষেপ করিনি। আমরা শুধু টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছি। আমাদের বাহিনীকে সে রকমই নির্দেশ দেয়া ছিল। রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়ের বিষয়ে অবশ্যই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

সোমবার রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেটে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ভোর চারটার দিকে ফেসবুকে সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ।