প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রমজানে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সেবা সংস্থাসমূহের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ শনিবার (০২ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি সেবা সংস্থাসমূহের প্রতি এ অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জনগনের সুপেয় পানি নিশ্চিত করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন যা অতীতের যে কোন সরকারের তুলনায় আশাতীত। কিন্তু তারপরও জনগন ওয়াসার কাছ থেকে কাংখিত সুফল পাচ্ছেন না। প্রায়শই নগরীর বিভিন্ন এলাকার জনগন ওয়াসার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সম্প্রতি ৩৮নং ওয়ার্ড থেকে ৪১নং ওয়ার্ডসহ নগরীর বেশ কিছু এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ওয়াসার পানি নেই। ফলে তীব্র গরমে তাদের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঐ এলাকায় বসবাসরত অধিবাসীদের ড্রামজাত পানি ক্রয় করে তাদের প্রাত্যহিক কাজ সারতে হচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবে নগরবাসীর প্রশ্ন জাগে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচের পরেও জনগন যদি এর সুফল না পায় তাহলে ওয়াসার কর্তাব্যক্তিরা থেকে লাভ কি? ওয়াসার ভিতর অবস্থান করে কেউ সরকার বিরোধী কোন ধরণের উস্কানিমূলক কাজে জড়িত রয়েছে কিনা সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।
পবিত্র রমজান মাসে পানির জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইবাদত যাতে বাঁধাপ্রাপ্ত না হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান। এছাড়া সংস্কার কিংবা অন্য কোন কারণে যেসব এলাকায় পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে সেসব এলাকায় ভাউচারের মাধ্যমে পানি সরবরাহেরও অনুরোধ সুজনের। তাছাড়া বিদ্যুৎ বর্তমান সময়ের একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। বিদ্যুৎ ছাড়া একটি মিনিটও কল্পনা করা যায় না। বিগত সময়গুলোতে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতে হতো সেখানে বর্তমান সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্বড়িৎ সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর পদক্ষেপের কারণে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি নেই বললেই চলে। তবে সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগের সেই সাফল্য ম্লান হতে চলেছে।
নিউমুরিং এবং হালিশহর এলাকার জনগনকে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হচ্ছে। এতে করে ঐ এলাকার বিশাল একটি জনগোষ্ঠী সরকারের সুফল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইফতার, সেহেরী এবং তারাবীর নামাজ বাঁধাগ্রস্ত হবে। তাই নগরবাসী যাতে স্বস্তিতে রমজান মাসের যাবতীয় কর্মকান্ড সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর গ্রাহকরা দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক সংযোগের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। আবাসিক খাতে নতুন সংযোগ প্রদান না করায় নগরীর বিশাল একটি জনগোষ্ঠী সরকারের উন্নয়ন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া যে সকল এলাকায় গ্যাসের সংযোগ রয়েছে সে সকল এলাকা থেকেও গ্যাসের বিভ্রাটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে গ্যাসের চাপ কম এবং নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকায় গৃহস্থালি কাজে গৃহিনীদের খুব বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রমজান মাসে গ্রাহকগণ যাতে কোন প্রকার দুর্ভোগে না পড়ে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপন এখন সময়ের দাবী হলেও অদৃশ্য কারণে সে মিটার স্থাপন বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে গ্রাহকগণ বিভিন্ন দূর্নীতি এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই চট্টগ্রামে বানিজ্যিক ও আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ চালু এবং প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট উদাত্ত আহবান জানান সুজন। তিনি রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা, পচা, বাসী এবং ভেজালমুক্ত খাবার পরিবেশনের লক্ষে বাজারে বাজারে নাগরিক উদ্যোগের প্রচারণা অব্যাহত রাখবেন বলে উল্লেখ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রমজানে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সেবা সংস্থাসমূহের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ শনিবার (০২ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি সেবা সংস্থাসমূহের প্রতি এ অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জনগনের সুপেয় পানি নিশ্চিত করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন যা অতীতের যে কোন সরকারের তুলনায় আশাতীত। কিন্তু তারপরও জনগন ওয়াসার কাছ থেকে কাংখিত সুফল পাচ্ছেন না। প্রায়শই নগরীর বিভিন্ন এলাকার জনগন ওয়াসার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সম্প্রতি ৩৮নং ওয়ার্ড থেকে ৪১নং ওয়ার্ডসহ নগরীর বেশ কিছু এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ওয়াসার পানি নেই। ফলে তীব্র গরমে তাদের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঐ এলাকায় বসবাসরত অধিবাসীদের ড্রামজাত পানি ক্রয় করে তাদের প্রাত্যহিক কাজ সারতে হচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবে নগরবাসীর প্রশ্ন জাগে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচের পরেও জনগন যদি এর সুফল না পায় তাহলে ওয়াসার কর্তাব্যক্তিরা থেকে লাভ কি? ওয়াসার ভিতর অবস্থান করে কেউ সরকার বিরোধী কোন ধরণের উস্কানিমূলক কাজে জড়িত রয়েছে কিনা সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।
পবিত্র রমজান মাসে পানির জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইবাদত যাতে বাঁধাপ্রাপ্ত না হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান। এছাড়া সংস্কার কিংবা অন্য কোন কারণে যেসব এলাকায় পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে সেসব এলাকায় ভাউচারের মাধ্যমে পানি সরবরাহেরও অনুরোধ সুজনের। তাছাড়া বিদ্যুৎ বর্তমান সময়ের একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। বিদ্যুৎ ছাড়া একটি মিনিটও কল্পনা করা যায় না। বিগত সময়গুলোতে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতে হতো সেখানে বর্তমান সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্বড়িৎ সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর পদক্ষেপের কারণে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি নেই বললেই চলে। তবে সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগের সেই সাফল্য ম্লান হতে চলেছে।
নিউমুরিং এবং হালিশহর এলাকার জনগনকে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হচ্ছে। এতে করে ঐ এলাকার বিশাল একটি জনগোষ্ঠী সরকারের সুফল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইফতার, সেহেরী এবং তারাবীর নামাজ বাঁধাগ্রস্ত হবে। তাই নগরবাসী যাতে স্বস্তিতে রমজান মাসের যাবতীয় কর্মকান্ড সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর গ্রাহকরা দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক সংযোগের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। আবাসিক খাতে নতুন সংযোগ প্রদান না করায় নগরীর বিশাল একটি জনগোষ্ঠী সরকারের উন্নয়ন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া যে সকল এলাকায় গ্যাসের সংযোগ রয়েছে সে সকল এলাকা থেকেও গ্যাসের বিভ্রাটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে গ্যাসের চাপ কম এবং নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকায় গৃহস্থালি কাজে গৃহিনীদের খুব বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রমজান মাসে গ্রাহকগণ যাতে কোন প্রকার দুর্ভোগে না পড়ে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপন এখন সময়ের দাবী হলেও অদৃশ্য কারণে সে মিটার স্থাপন বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে গ্রাহকগণ বিভিন্ন দূর্নীতি এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই চট্টগ্রামে বানিজ্যিক ও আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ চালু এবং প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট উদাত্ত আহবান জানান সুজন। তিনি রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা, পচা, বাসী এবং ভেজালমুক্ত খাবার পরিবেশনের লক্ষে বাজারে বাজারে নাগরিক উদ্যোগের প্রচারণা অব্যাহত রাখবেন বলে উল্লেখ করেন।